নিজেদের বিরোধপূর্ণ সীমান্তে সামরিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে গত সোমবার ভারত ও চীন একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। পশ্চিম হিমালয়ের সীমান্তে মারাত্মক সংঘর্ষের চার বছর পর তাদের সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছিল।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সোমবার ভারতীয় টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, সীমান্ত টহল সংক্রান্ত চুক্তিটি ইঙ্গিত দেয় যে, “চীনের সঙ্গে সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।”
বৃহত্তর সীমান্ত বিরোধ অমীমাংসিত রয়ে গেলেও চুক্তিটি উভয় দেশের সৈন্যদের লাদাখ অঞ্চলের সীমান্তে টহল পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেয়। যাতে তারা তাদের নিজ নিজ আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে পারে এবং নিশ্চিত করতে পারে যে অন্য পক্ষও চুক্তিটি মেনে চলছে।
ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাশিয়ান শহর কাজান সফরের প্রাক্কালে (২২-২৪ অক্টোবর) এই ঘোষণা করা হয়েছিল। সম্মেলনে চীনও অংশগ্রহণ করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চুক্তিটি এশিয়ান জায়ান্টদের মধ্যে উন্নত রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের পথ প্রশস্ত করেছে। এটি মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকের পথও পরিষ্কার করতে পারে, যা ২০২০ সালের পর প্রথম বৈঠক হবে।
চুক্তিতে কী আছে
চুক্তিটির বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। সামান্য কিছু অংশই শুধু জানা যায়।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি বলেছেন, চুক্তিটির লক্ষ্য হল ভারত-চীন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসিতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘাত এড়ানো। এলএসি ভারতের পশ্চিমের রাজ্য লাদাখ থেকে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত, যার কিছু অংশ চীনও দাবি করে। এটি ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার (২,১৬৭ মাইল) বিস্তৃত। এর নাম অনুযায়ী, এলএসি আঞ্চলিক দাবির পরিবর্তে শারীরিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রগুলোকে ভাগ করে।
তবে এই চুক্তির ফলে লাদাখ অঞ্চলের সীমান্তে দুই দেশের মোতায়েনকৃত দশ হাজার অতিরিক্ত সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে কিনা তা স্পষ্ট করেননি মিসরি।
চীন মঙ্গলবার সীমান্তে সামরিক টহল সংক্রান্ত চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে চুক্তিটি পুরো সীমান্তজুড়ে কার্যকর নাকি শুধু সংঘর্ষপ্রবণ হটস্পটগুলোকেই অন্তর্ভুক্ত করে তা ব্যাখ্যা করেননি।
একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, উভয় পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াতে তাদের সৈন্যদের বর্তমান অবস্থান থেকে কিছুটা প্রত্যাহার করবে। তবে একটি সময়সূচী অনুসারে টহল দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে, যা তৈরিতে এখন কাজ করা হচ্ছে। মাসিক পর্যালোচনা সভা এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে উভয় দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এলাকায় সীমা লঙ্ঘন না করাটা নিশ্চিত করা হবে।
নয়াদিল্লি ভিত্তিক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষক মনোজ যোশি আল জাজিরাকে বলেছেন, চুক্তি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের বিস্তারিত তথ্য না দেওয়া ইঙ্গিত করছে, আলোচনা হয়তো এখনো চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, “যদি একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয় এবং সেই চুক্তিটি প্রচার করা হয়, তাহলে আমাদের একটি পরিষ্কার ধারণা হতে পারে কী ঘটতে যাচ্ছে।”
কিন্তু তা না করায় অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। যেমন, যে “বাফার” জোনগুলো এলএসি বরাবর সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল এবং যেগুলোতে কোনও পক্ষই টহল দেওয়ার কথা নয়, সেগুলো এখন বিলুপ্ত করা হবে কিনা তা জানা যায়নি।
কীভাবে এখানে এল দেশ দুটি
গত সাত দশক ধরে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
১৯৬২ সালে সীমান্তের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দেশ দুটি একটি সংক্ষিপ্ত এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধেও জড়ায়। সেই যুদ্ধে ভারত অপমানজনকভাবে পরাজিত হয় এবং লাদাখের সর্ব উত্তর-পূর্বে আকসাই চিনের একটি অংশ হারায়। সেটি এখনো উভয়ের মধ্যে বিবাদের একটি বিন্দু হিসেবে রয়ে গেছে।
এরপর ১৯৯০-র দশকে একাধিক সীমান্ত চুক্তির পর তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার হয়। ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালের চুক্তিগুলোকে প্রায়ই মাইলফলক হিসাবে বিবেচনা করা হলেও ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থা— যে ব্যবস্থা তাদের ১৯৬২ সালের পরে অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সীমান্তে কোনও হতাহতের ঘটনা এড়াতে দেয় তা— সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপের মধ্যে পড়েছে।
২০১৩ ও ২০১৪ সালে শি যখন ভারত সফর করছিলেন এবং এরপর ২০১৭ সালেও দুদেশের সৈন্যরা স্থানীয় ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল। ২০১৯ সালে ভারত তার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে, যা ছিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত, যাতে লাদাখের বিতর্কিত এলাকাগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল। চীন ভারতের এই পদক্ষেপকে একতরফাভাবে তার ভূখণ্ডকে প্রভাবিত করেছে বলে দেখেছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই পদক্ষেপের নিন্দা জানায়।
কিন্তু ২০২০ সালের সংঘর্ষ— এবং এর ফলে উভয় পক্ষের সেনাদের মৃত্যু— দুদেশের সম্পর্ককে আবার সংঘাতমুখর করে তোলে।
ওয়াশিংটন, ডিসি-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইন্সটিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, এই সপ্তাহের চুক্তিটি তাৎপর্যপূর্ণ কিন্তু এর গুরুত্ব বেশি বাড়িয়ে দেখানো উচিৎ নয়।
কুগেলম্যান আল জাজিরাকে বলেছেন, “এটি সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটাবে না। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে লাদাখ সীমান্তের বিষয়গুলো ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া সংকটের আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।”
কুগেলম্যান বলেন, “লাদাখ সঙ্কটের সময় যে সমস্ত এলাকায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল সেসব এলাকায় আর সেনা মোতায়েন না করার আহ্বান জানানো হয়নি। তাই আমাদের এই নতুন চুক্তির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।”
২০২০ সাল থেকে ভারত-চীন সম্পর্কের মূল মুহূর্তগুলো
জুন ২০২০: প্রায় ৬০ বছরের মধ্যে প্রথম মারাত্মক সংঘর্ষে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ছোট-বড় লাঠি দিয়ে হাতে-হাতে মুখোমুখি লড়াইয়ে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য এবং চারজন চীনা সৈন্য নিহত হয়েছিল। এই মৃত্যু ভারতে জনমনে ক্ষোভ এবং রাস্তায় বিক্ষোভের সূত্রপাত করে।
দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা আন্তর্জাতিক উদ্বেগকে আকৃষ্ট করে এবং জাতিসংঘ উভয় পক্ষকে ‘সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের’ আহ্বান জানায়। নয়াদিল্লি চীন থেকে আসা বিনিয়োগ সীমিত করে, টিকটক সহ কয়েক ডজন জনপ্রিয় চীনা মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করে এবং সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। নিষিদ্ধ চীনা অ্যাপের সংখ্যা অবশেষে ৩২১-এ উন্নীত হয়।
জানুয়ারি ২০২১: ভারতীয় ও চীনা সৈন্যরা উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্য সিকিমের সীমান্তে সংঘর্ষে জড়ায়। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেটাকে ‘ছোট মুখোমুখি সংঘর্ষ’ হিসাবে বর্ণনা করে।
ডিসেম্বর ২০২২: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে ছোটখাটো সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়, যার কিছু অংশ চীনও দাবি করে। বেইজিং ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে রুটিন টহলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে। অন্যদিকে, নয়াদিল্লি বলেছে, চীনা সৈন্যরা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে এবং ‘স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার’ চেষ্টা করেছে।
আগস্ট ২০২৩: মোদী এবং শি জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পাশে সংক্ষিপ্ত বৈঠকে সংঘাত ও উত্তেজনা কমানোর প্রচেষ্টা জোরদার করতে সম্মত হন।
জুন ২০২৪: জয়শঙ্কর কাজাখস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, যেখানে তারা তাদের সীমান্তে সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা বাড়াতে সম্মত হয়েছিলেন।
সেপ্টেম্বর ২০২৪: জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে, চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে প্রায় ৭৫ শতাংশ ‘বিচ্ছিন্নতার’ সমস্যা সমাধান করা হয়েছে।
চুক্তির বৃহত্তর প্রেক্ষাপট কী
চীন-ভারত সীমান্ত বিরোধের কোনও নির্দিষ্ট সমাধান অধরাই রয়ে গেছে, তবে উভয় দেশই নতুন করে শুরু করার আগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
কুগেলম্যান বলেন, দুই পারমাণবিক শক্তি ২০২০ সালে সংঘর্ষের পর থেকে সীমান্ত ইস্যুতে আলোচনায় নিযুক্ত রয়েছে।
“প্রশ্ন হল: এখন এই চুক্তি ঘোষণা কেন? ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন এখানে একটা বড় ব্যাপার।”
কুগেলম্যান বলেন, মঙ্গলবার ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে চুক্তিটি ভারতকে সম্মেলনের ফাঁকে মোদি এবং শির মধ্যে বৈঠক করার জন্য কূটনৈতিক সুযোগ করে দেয়।”
তিনি বলেন, “চুক্তিটির কারণে রাজনৈতিকভাবে নয়াদিল্লির পক্ষে এই ধরণের মুখোমুখি বৈঠকে সম্মত হওয়া সহজ হয়েছে।”
এক্ষেত্রে ব্যবসায়িক সম্পর্ক সম্ভবত একটি মূল উদ্দীপক ছিল। চীন দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের শীর্ষ দুই বাণিজ্যিক অংশীদারের একটি। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে চীন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ১১৮.৪ বিলিয়ন ডলারের লেনদেন নিয়ে ভারতের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল।
বেইজিং ভারতের পণ্যের সবচেয়ে বড় উৎস এবং ভারতীয় ওষুধ শিল্পের জন্য টেলিকমিউনিকেশন হার্ডওয়্যার থেকে কাঁচামাল পর্যন্ত শিল্প পণ্যের বৃহত্তম সরবরাহকারী হিসাবে রয়ে গেছে।
চীনের জন্যও উত্তেজনা কমানো সুবিধাজনক কারণ দেশটি ব্রিকস সহ বহুপাক্ষিক ফোরামের মাধ্যমে তার বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় আছে। অনেক চীনা কোম্পানিও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরায় স্বাভাবিক করার আশা করছে। কারণ ২০২০ সালের পরে ভারত বিনিয়োগের নিয়মগুলো কঠোর করায় এবং জনপ্রিয় চীনা অ্যাপগুলোকে নিষিদ্ধ করায় তারা দেশটিতে ব্যবসা করতে পারছিল না।
অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষক এবং আন্ডারস্ট্যান্ডিং দ্য ইন্ডিয়া-চায়না বর্ডারের লেখক মনোজ জোশি বলেছেন, ভারতীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের চাপও সীমান্ত চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, “২০২০ সালের ঘটনার পরে ভারত চীনা বিনিয়োগ এবং ভিসার উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দিক থেকে সম্পর্কটি পুনঃস্থাপনের জন্য চাপ ছিল।”
তিনি আরও বলেন, সম্পর্কে পারস্পরিক বিশ্বাস কমে গেলেও চুক্তিটি ইঙ্গিত দেয় “চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার নীতি সফল হয়েছে।”
জোশি বলেন, “২০২০ সালে বিশ্বাস ভেঙ্গে গিয়েছিল। এটি একটি নতুন সূচনা যা পুরনো ভালো দিনগুলোতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়, যখন সম্পর্ক স্থিতিশীল ছিল।”
কুগেলম্যান অবশ্য আরও সতর্ক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “আমি মনে করি না যে, এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে বড় ধরনের উন্নতির সূচনা করবে। কারণ তাদের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার কারণে এখনো অনেক উত্তেজনা রয়ে গেছে।”
তার মতে, ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান নৌ উপস্থিতি, পাকিস্তানের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের দৃঢ় সম্পর্ক এসব ইস্যুও দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের কিছু পয়েন্ট।
কুগেলম্যান বলেন, “চুক্তিটি একটি আস্থা-নির্মাণের পদক্ষেপ এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিম্ন স্তরে ডুবে যাওয়া সম্পর্কের জন্য এটি একটি ভাল জিনিস। কিন্তু আমি মনে করি না, চুক্তিটিকে সার্বিক সম্পর্ক স্বাভাবিক অবস্থায় আনার জন্য বৃহত্তর প্রচেষ্টার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে দেখা উচিৎ।”
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা