টুর্নামেন্টে পরিষ্কার ফেবারিট ছিল ভারত। অনূর্ধ্ব-১৭ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অনুমিতভাবেই বাংলাদেশকে তারা হারিয়ে দিয়েছে। সোমবার ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ সাফের শিরোপা ধরে রেখেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
২০ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে শেষ মুহূর্তের গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সুযোগ ছিল সেই ম্যাচে হারের প্রতিশোধ নেওয়ার। কিন্তু কোথায় প্রতিশোধ? উল্টো দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ হেরে গেল ভারতের কাছে।
অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে এই বাংলাদেশ দলের ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়াটা দারুণ। মিডফিল্ডে নিখুঁত পাসিং এবং ডিফেন্ডাররাও ঠান্ডা মাথায় বল পাঠাচ্ছে ওপরে। শর্ট ও লং পাসেও ভালো ব্যালেন্সড। দুই উইং থেকে ক্রসও বেশ ভালো হচ্ছে, সেই অনুসারে বক্সে ফুটবলারদের অবস্থানগুলোও সঠিক। এমনকি কর্ণার ও ফ্রি কিকও ভালো। শুধু এই দলের বড় দুর্বলতা ভালো মানের একজন ফিনিশার নেই। এবং সেই যোগ্য ফিনিশারের অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচে পোস্টে বল রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ মাত্র দুয়েক একবার।
বিপরীতে গোল করা ফুটবলারের অভাব নেই ভারতের। ফাইনালের আগে ৩ ম্যাচে ভারত প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে ৮ গোল। সুমিত শর্মা, স্যামসন অহংসাংবান, হেমনেইচুং লুনকিম, বিশাল যাদব, নিংথোউ ঋষি সিং। সবাই গোল পেয়েছেন আগের ম্যাচগুলোতে।
তবে বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা ফাইনালে এদের সামলাতে পারলেও ৫৯ মিনিটে পাওয়া কর্ণার ভালোভাবে কাজে লাগায় ভারত। কর্ণার থেকে উড়ে আসা বলে মাথা ছুঁয়ে মোহাম্মদ কাইফ করেন ম্যাচের প্রথম গোল।
অবশ্য ৩১ মিনিটে বক্সের সামনে সেট পিস পায় ভারত। কিন্তু লেভিস জাংমিনলুনের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়।
গোল খেয়ে বাংলাদেশ একাধিক বদলি নামিয়েছেন। কিন্তু কোনও ফুটবলারই কোচের মুখে হাসি ফোটাতে পারেননি।
ম্যাচে বলার মতো একটাই ভালো সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ ৬৮ মিনিটে। অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল ভারতের গোলরক্ষক সুরাজ সিংকে একা পেয়েও বল তুলে দিল গোলরক্ষকের হাতে।
ম্যাচ শেষের মিনিট খানেক আগে দারুণ শটে ভারতের মোহাম্মদ আরবাজ করেন দ্বিতীয় গোল (২-০)।