ট্রাক ও ট্রাক্টরে চড়ে মিছিল করতে করতে হাজার হাজার কৃষক ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে ঢোকার চেষ্টা করছেন। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা এবং ঋণ মওকুফসহ নানা দাবি তাদের।
সরকারকে চাপ দিতে পাঞ্জাব ও হরিয়ানাসহ উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্যের কৃষকরা দিল্লি অভিমুখে এই যাত্রার ডাক দিয়েছেন।
দিল্লির সীমান্তবর্তী হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ মঙ্গলবার কৃষকদের রাজধানীতে ঢোকা আটকাতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। দিল্লির প্রবেশপথগুলো কাঁটাতার, স্পাইক ও সিমেন্টের ব্লক দিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। তাতে মনে হবে ভারতের রাজধানী এখন একটি নিশ্ছিদ্র দুর্গ। দিল্লিতে বড় সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। হরিয়ানার বেশ কয়েকটি জেলায় ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই বিক্ষোভ দুই বছর আগে কৃষকদের ১৬ মাসব্যাপী আন্দোলনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে।
বিক্ষোভে কারা
পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষক সংগঠনগুলোসহ উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান ও মধ্য প্রদেশের কৃষক ইউনিয়নগুলোও এই বিক্ষোভযাত্রায় অংশ নিচ্ছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তার কেন্দ্রবিন্দু রুগ্ণ কৃষি খাতকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ ও সহায়তার দাবিতেই তাদের এই কর্মসূচি।
বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছে সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম), কিষাণ মজদুর মোর্চা (কেএমএম) ও কিষাণ মজদুর সংগ্রাম কমিটি । আয়োজকরা জানিয়েছেন, ২০০টিরও বেশি কৃষক জোট দিল্লি অভিমুখে এই পদযাত্রায় অংশ নিচ্ছে।
২০২০-২১ সালের বিক্ষোভেও মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম)। সেবার কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য করেছিল। কৃষকদের আশঙ্কা ছিল, আইনগুলো তাদের খরচে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে উপকৃত করবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে বিক্ষোভে নামা কৃষকদের এবারের অভিযোগ, তাদের আয় দ্বিগুণ করাসহ কৃষকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণে ব্যর্থ হয়েছে মোদি সরকার।
২০১৬ সালে মোদি সরকার ২০২২ সালের মধ্যেই কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু কৃষকদের আয় আর বাড়েনি। অথচ গত কয়েক বছরে চাষের খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। এতে চাষাবাদও একটি অলাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে এসকেএম মোদি সরকারের প্রতি কৃষকদের অসন্তোষ প্রকাশ করতে ভারতজুড়ে গ্রামীণ এবং শিল্প ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে।
কী চায় তারা
কৃষকরা নতুন আইন করে তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ এবং আরও বেশি রাষ্ট্রীয় সহায়তার দাবি জানাচ্ছে। যাতে তারা খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারে। এ ছাড়া কৃষি ঋণ মওকুফ এবং কৃষকদের জন্য ক্ষতিকর নীতিগুলো বাতিলেরও দাবি জানাচ্ছে তারা।
ভারত সরকার বর্তমানে প্রতি বছর অন্তত ২০টি ফসল সরকারিভাবে কেনার জন্য বাজারের চেয়ে বাড়তি মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু সরকারি সংস্থাগুলো শুধু চাল আর গম কেনে। এতে দেশটির মাত্র ৭ শতাংশ কৃষক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
কৃষকরা তাদের সব ফসলের দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি হারে নির্ধারণের দাবি করছেন।
বিদ্যুৎ খাতের পরিকল্পিত বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধেও কৃষকরা আন্দোলন করছেন। রাজ্য সরকারগুলো বর্তমানে কৃষকদের কম মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এতে তাদের উৎপাদন খরচ কিছুটা হলেও কম হয়।
২০২০-২১ সালের বিক্ষোভের সময় মারা যাওয়া কৃষকদের ক্ষতিপূরণও তাদের একটি দাবি। সেসময় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোও তুলে নিতে বলছে তারা।
বর্তমান বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করা সংগঠন অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক বিজু কৃষ্ণান বলেছেন, “গত বিক্ষোভের সময় প্রায় ৭৫০ জন কৃষক শহীদ হয়েছেন।”
তাদের আরেকটি দাবি হলো- একজন ফেডারেল মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা। যার ছেলের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের অক্টোবরে উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলায় কৃষকদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
২০২১ সালের বিক্ষোভের সময় বিজেপি সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নেরও দাবি করছেন কৃষকরা।
বিজু কৃষ্ণান বলেন, “সেসময় কৃষকদের জন্য ক্ষতিকর এমন তিনটি আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে আইনগুলোকে পেছনের দরজা দিয়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এমনকি গত বাজেটে ফসল কাটার পরবর্তী ফসল প্রক্রিয়াজাতকরন কর্মকাণ্ডও বেসরকারিকরণের চেষ্টা করা হয়েছে।”
কৃষি পণ্য বিক্রয়, মূল্য নির্ধারণ ও সংরক্ষণ সম্পর্কিত এমন কিছু নিয়ম শিথিল করার জন্য ওই আইনগুলো করা হয়েছিল, যেগুলো কৃষকদেরকে কয়েক দশক ধরে মুক্ত বাজার থেকে রক্ষা করেছে।
২০২১ সালে ভারতের দীর্ঘতম কৃষক বিক্ষোভের পরে ওই তিনটি আইন বাতিল করে মোদী সরকার বলেছিল, কৃষকদের উৎপাদিত সকল ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার উপায় খুঁজে বের করার জন্য কৃষক ও সরকারি কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল তৈরি করা হবে।
কৃষকদের অভিযোগ, কমিটি গঠন করা হলেও এতে পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের প্রতিনিধিদের রাখা হয়নি। অথচ এই প্রদেশগুলোর কৃষকরাই ভারতের বেশিরভাগ শস্য উৎপাদন করে। এ ছাড়া কমিটির কাজের গতিও খুব ধীর।
কৃষিনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষকদের সব ফসলই সরকারের পক্ষে বাজার দরের চেয়ে বেশি মূল্যে কেনা সম্ভবপর না। এটা অর্থনৈতিকভাবেও যৌক্তিকও না।
বাম ঘেঁষা কৃষক সংগঠনগুলো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা থেকে সরে আসার এবং সব ধরনের বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের দাবিও জানিয়ে আসছেন।
উন্নয়নমূলক ও আবাসন প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণও চান কৃষকরা। কৃষকরা তাদের পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্পগুলোতে ১০ শতাংশ প্লট বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, বর্তমানে যে হারে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, তা অপর্যাপ্ত এবং তাদের ভূমিহীন করে রেখেছে। তাদের দাবি, বিগত বছরগুলোত কম দামে জমি অধিগ্রহণের কারণে তারা ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় ভারতের কৃষকরা দীর্ঘমেয়াদী দারিদ্র্যের কবলে পড়ছে। অন্যদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরম আবহাওয়া এবং পানির উৎস কমে যাওয়ায় কৃষি উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। এতে কোনও মৌসুমে ফসলের ফলন ভালো না হলে তাদের মরে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। এজন্যই প্রতি বছর ভারতের হাজার হাজার কৃষক আত্মহত্যা করে।
সরকারের প্রতিক্রিয়া কী
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের একটি প্রতিনিধি দল বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কিন্তু আলোচনায় কোনও ফল আসেনি।
এতে কৃষকরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে মঙ্গলবার হরিয়ানার আম্বালা শহরে পুলিশ কৃষকদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং কয়েকজন কৃষককে আটক করে।
শম্ভুতে ব্যারিকেড ডিঙাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষও হয়। এসময় পুলিশ ড্রোন দিয়ে কৃষকদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
কৃষকরা দিল্লি থেকে এখনও প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে আছে। এরই মধ্যে হরিয়ানা ও পাঞ্জাব থেকে দিল্লিতে প্রবেশের পথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হরিয়ানা প্রদেশেও কৃষকদের রাস্তা আটকানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তারপরও বুধবার হাজার হাজার কৃষককে দিল্লির দিকে আসতে দেখা গেছে। বুধবারও কৃষকদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়েছে। পাঞ্জাব থেকে আসার সময় কৃষকদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়।
কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের ওপর প্লাস্টিক ও রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতের কিছু মিডিয়ায় তাদেরকে ‘সন্ত্রাসী’ বা তারা বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে জোট বেধেছে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
বুধবার সকালে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হাজার হাজার দাঙ্গা পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের দূরে রাখতে দিল্লি সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজধানীর তিন দিকে কাঁটা তার, সিমেন্টের ব্লক ও বেড়া দিয়ে কৃষকদের প্রবেশ ঠেকানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় দিল্লিজুড়ে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর কৃষকদের আবার আলোচনা শুরু করতে বলেছেন।
এনডিটিভির অনুষ্ঠানে তিনি কৃষকদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা আপনাদের (কৃষকদের) বেশিরভাগ দাবিই পূরণ করেছি। আলোচনার মাধ্যমে বাকিগুলোরও সমাধান সম্ভব।”
কৃষক নেতারা বলেছেন, মিডিয়ার মাধ্যমে প্রস্তাবের কথা শুনে তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন।
তাদের একজন নেতা জগজিৎ সিং ডালেওয়াল বলেছেন, “আমাদের দাবি হলো আলোচনা চণ্ডীগড়ে বা প্রতিবাদস্থলের কাছাকাছি কোথাও অনুষ্ঠিত হতে হবে।”
ভারতীয় কৃষি বিশেষজ্ঞ দেবিন্দর শর্মা আল জাজিরাকে বলেন, “দিল্লির প্রবেশ পথ ও হরিয়ানার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে কৃষকদের রাজধানীতে প্রবেশে বাধা দেওয়া গেলেও দেশ থেকে বা রাজধানী থেকে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে তো আর তাদের বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।”
আর আগামী এপ্রিল বা মে মাসে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। এর মধ্যেই শুরু হলো কৃষকদের এই বিক্ষোভ।
ফলে নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা অনেক হলেও মোদি সরকার কৃষকদের সঙ্গে কোনও বড় সংঘর্ষ চায় না।
কারণ কৃষকরা রাজনৈতিকভাবে একজোট হয়ে কাউকে ভোট না দিলেও তারা এখনও গ্রামাঞ্চলে বেশ প্রভাব রাখেন। আর ভারতের বেশিরভাগ মানুষ এখনও গ্রামাঞ্চলেই বাস করে।
মোদি সরকার চায় ২০২২-২১ সালের বছরব্যাপী আন্দোলনের পুনরাবৃত্তি ঠেকানো। সেবার কৃষকরা সরকারকে ভারতের বিশাল কৃষি বাজার থেকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার জন্য করা আইন বাতিলে বাধ্য করেছিলেন।
কৃষকদের শান্ত করতে এবার সরকার হয়তো ২০২৪ সালের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে কেনা শস্যের ন্যূনতম মূল্য আরও বাড়াতে পারে।
এবছর গমের সর্বনিম্ন মূল্য প্রতি ১০০ কেজিতে ২ হাজার ২৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি।
নির্বাচনে এই বিক্ষোভের কতটা প্রভাব পড়বে
ভারতের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিজেপি টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ী হয়ে সরকার গড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকদের এই বিক্ষোভ নির্বাচনের ফলের ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
শর্মা বলেন, “আমরা জানি না, সামনে এই বিক্ষোভ কী রূপ ধারণ করবে। এ থেকে কোনও সমাধান আসবে কি না, তাও আমরা জানি না। তবে বিক্ষোভ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তা অবশ্যই নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলবে।”
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের দুই-তৃতীয়াংশই কৃষক। দেশটির জিডিপির এক-পঞ্চমাংশই আসে কৃষি থেকে। ফলে ভোটের হিসাব-নিকাশে কৃষকরা বেশ প্রভাব রাখতে সক্ষম।
বিজু কৃষ্ণান বলেন, কৃষকবিরোধী ও শ্রমিকবিরোধী নীতির জন্য বিজেপি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে।
তবে কৃষকদের ভোট পাওয়ার জন্য মোদি সরকার নতুন কৌশল নিয়েছে।
গত সপ্তাহে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কৃষক নেতা চৌধুরী চরণ সিং এবং ১৯৬০ ও ৭০ এর দশকে কৃষি বিপ্লবের অগ্রদূত এমএস স্বামীনাথনকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
তবে কৃষকদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে। ফসল তোলার জন্য তাদের গ্রামে ফিরে যাওয়ার তাড়াও নেই। নতুন মৌসুমের গমের ফসল তোলার সময় আসতে এখনও এক মাস বাকি।
২০২১ সালের আন্দোলনের সময় কৃষকরা ফসল কাটার মৌসুমেও মহাসড়কে তাঁবু টানিয়ে টানা বিক্ষোভ চালিয়ে গিয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা কৃষকরা এবারও কাজে লাগাতে পারেন।
পাঞ্জাব ও হরিয়ানার উচ্চ আদালত বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন দিয়েছে। আদালত বলেছে, দেশের নাগরিক হিসাবে কৃষকদের যেকোনো স্থানে ‘অবাধে চলাফেরা করার অধিকার আছে।
ভারতের বিরোধী নেতারাও বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশে বাধা দেওয়ার সরকারের প্রচেষ্টার নিন্দা করেছেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাগড়ে বলেছেন, নির্বাচনে তাদের দল ক্ষমতায় গেলে তারা কৃষকদের দাবিগুলো মেনে নেবেন।
তথ্যসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, আল জাজিরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া