Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

ভারতে চতুর্থ দফার ভোট কোথায় কোথায়, পরীক্ষায় কারা

আসাদ উদ্দিন ওয়াইসি, অখিলেশ যাদব, মহুয়া মৈত্র, ইউসুফ পাঠান।
আসাদ উদ্দিন ওয়াইসি, অখিলেশ যাদব, মহুয়া মৈত্র, ইউসুফ পাঠান।
[publishpress_authors_box]

ভারতে অষ্টাদশ জাতীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন তথা দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার ১৮তম নির্বাচনে চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ চলছে। আজ সোমবার সকাল ৭টা থেকে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকাল ৬টা পর্যন্ত।

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরসহ ৯টি রাজ্য তথা অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ঝাড়খণ্ড, উড়িশ্যা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গের মোট ৯৬টি আসনে আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

এবারের নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া) নামে ২৬ দলের একটি জোট ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন ৪১ দলের জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সকে (এনডিএ) পরাজিত করার আশা করছে।

যদিও জনমত জরিপগুলোতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিই এগিয়ে রয়েছে। মোদীর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা আপাতদৃষ্টিতে অক্ষুণ্ণ বলে মনে হলেও এবার ভোটে আগের মতো মোদী জোয়ার ওঠেনি। সমীক্ষায় এবারের নির্বাচনে মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্ব ভোটারদের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে।

প্রথম তিন দফার ভোটে গত নির্বাচনের চেয়ে কম ভোটার উপস্থিতি, প্রধানমন্ত্রী মোদীসহ বিজেপি নেতাদের মুসলিম বিদ্বেষী বক্তৃতা ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছে।

এতে নির্বাচনকে ঘিরে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বাগযুদ্ধ আরও তীব্র হয়েছে। কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, মোদী ও বিজেপি যেকোনও মূল্যে ক্ষমতায় যেতে চাইছে।

১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল ও ৭ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রথম তিন ধাপে যথাক্রমে ৬৬ দশমিক ১, ৬৬ দশমিক ৭ ও ৬১ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে সবমিলিয়ে গড়ে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এবার হিন্দু ভোটারদের মধ্যে আগের মতো মোদী জোয়ার ওঠেনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, এ কারণেই প্রথম দফার ভোটের পর থেকেই মোদী ও বিজেপি নেতারা সাম্প্রদায়িক বিভাজনের কৌশল নিয়েছেন। হিন্দুদের ধর্মীয় আবেগ উস্কে দিয়ে ভোটে টানার জন্য মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য শুরু করেছেন।

একের পর এক সমাবেশে মোদী বলেন, কংগ্রেস দলের নেতৃত্বাধীন বিরোধীরা সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়কে খুশি করার চেষ্টা করছে এবং তারা ক্ষমতায় আসলে হিন্দুদের সম্পদ কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের দিয়ে দেবে। কংগ্রেস জিতলে মুসলমানরাই ভারত শাসন করবে বলেও ভয় দেখাচ্ছেন মোদী।

এমনকি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মোদি বলেছেন, পুরো বিশ্ব এ নির্বাচনের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। মোদিও আরও অভিযোগ, ধনকুবের মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানির কাছ থেকে কংগ্রেস ট্রাক ভরে অর্থ নিয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী উল্টো দীর্ঘদিন ধরেই দেশটির এ দুই শীর্ষ ধনীর সঙ্গে মোদীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা বলে আসছেন।

আম্বানি ও আদানিকে ঘিরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মোদীর এমন অভিযোগ বিস্ময়কর। কারণ এই দুই ব্যবসায়ীকে মদদ দেওয়ার ফলে বিজেপি সরকারকে ‘স্যুট বুট কি সরকার’ বলেও আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। মোদীর আমলেই বিশ্বের শীর্ষধনীদের তালিকায় নাম উঠেছে তাদের। যে কারণে মোদী ‘ক্রনি ক্যাপিটালিজম’ করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

ক্রনি ক্যাপিটালিজম হলো এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে ব্যবসাগুলো তাদের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরকারের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা লাভ করে। এই সুবিধাগুলোর মধ্যে থাকতে পারে কর ছাড়, অনুদান, লাইসেন্স এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক বাধাগুলো এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা।

যাইহোক, চতুর্থ দফার ভোটে দেশটির দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে কিছুটা গ্ল্যামার রয়েছে। পূর্বাঞ্চলে বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল থেকে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়ছেন। আর দক্ষিণে তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ আসনে বিজেপির হয়ে লড়ছেন অভিনেত্রী মাধবীলতা। তিনি চারবারের পার্লামেন্ট সদস্য অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন পার্টির নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে লড়ছেন।

কোথায় কত আসনে ভোট হচ্ছে

অন্ধ্র প্রদেশ: দক্ষিণ উপকূলীয় এই প্রদেশটির ২৫ আসনের ২৫টিতেই

তেলেঙ্গানা: দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশটির ১৭ আসনের ১৭টিতেই

ঝাড়খণ্ড: পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির ১৪ আসনের ৪টিতে

ওড়িশা: পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির ২১ আসনের ৪টিতে

উত্তর প্রদেশ: উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশটির ৮০ আসনের ১৩টিতে

মধ্য প্রদেশ: মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশটির ২৯ আসনের ৮টিতে

বিহার: পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির ৪০ আসনের ৫টিতে

মহারাষ্ট্র: পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশটির ৪৮ আসনের ১১টিতে

পশ্চিমবঙ্গ: পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির ৪২ আসনের ৮টিতে

জম্মু ও কাশ্মীর: কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির ৫ আসনের ১টিতে আজ ভোট হচ্ছে।


গুরুত্বপূর্ণ আসন কোনগুলো

হায়দরাবাদ (তেলেঙ্গানা)

আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে তার পারিবারিক ঘাঁটিতে চ্যালেঞ্জ করেছেন বিজেপির মাধবীলতা। ওয়াইসির ভাই আকবরউদ্দিন ওয়াইসি রাজ্য বিধানসভার সদস্য ও তার পিতা সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি লোকসভার সদস্য হয়েছিলেন ৬ বার।

ওয়াইসি নিজেকে ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘুদের কণ্ঠস্বর হিসেবে তুলে ধরেন এবং তাদের ইস্যুগুলো তিনি নিয়মিত তার পার্লামেন্টারি বিতর্কে উত্থাপন করেন। এজন্য ওয়াইসিকে ২০২২ সালে ‘সেরা পার্লামেন্ট সদস্য’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

শ্রীনগর (জম্মু-কাশ্মীর)

২০১৯ সালের নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মীরের এই নির্বাচনী এলাকার মাত্র ১৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। বাকিরা নির্বাচন বয়কট করেছিলেন। সে বছরেরই আগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের এই অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর থেকে এটি কাশ্মীরের প্রথম লোকসভা নির্বাচন। এই অঞ্চলের দুটি বৃহত্তম মূলধারার ভারতপন্থী দল হল ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি। শ্রীনগর আসনে দল দুটি যথাক্রমে আগা সৈয়দ ও ওয়াহেদ পাররাকে প্রার্থী করেছে।

কৃষ্ণনগর, বহরমপুর ও আসানসোল (পশ্চিমবঙ্গ)

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এই তিনটি আসনে এবার তারকা শক্তি এবং রাজনৈতিক তাৎপর্যের মিশ্রণে ভোট হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস দলের (টিএমসি) পার্লামেন্ট সদস্য বলিউড অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া শত্রুঘ্ন সিনহা আসানসোলে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়ছেন।

আর বহরমপুরে এবার তৃণমূলের টিকেট পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বা কংগ্রেস পার্টির সিনিয়র নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, যিনি ১৯৯৯ সাল থেকে সেখানকার পার্লামেন্ট সদস্য। রঞ্জন চৌধুরী বিদায়ী লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতাও ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস পার্টি জাতীয় পর্যায়ে প্রধান বিরোধী দলীয় জোটের অংশ হলেও দল দুটোর অনেক প্রার্থী পশ্চিমবঙ্গে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।

তথাপি আজ পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল নির্বাচনী লড়াই হচ্ছে কৃষ্ণনগরে। টিএমসি পার্লামেন্ট সদস্য ও মোদীর তীব্র সমালোচক মহুয়া মৈত্র সেখানে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়ছেন। লন্ডনের জে. পি. মরগান চেজের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মহুয়া মৈত্র ২০০৯ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।

মোদীর সরকারকে কঠিন সব প্রশ্ন করা তার পার্লামেন্টারি বক্তৃতাগুলো প্রায়ই ভাইরাল হয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এভাবে প্রশ্ন করার বিনিময়ে টাকা গ্রহণের অভিযোগ তুলে এই লড়াকু রাজনীতিবিদকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করায় বিজেপি সরকার। তবে তার অভিযোগ, তাকে চুপ করানোর জন্যই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরে তিনি সুপ্রিম কোর্টে তার বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেন। বিজেপি এবার তার বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে অমৃতা রায়কে।

কনৌজ ও লখিমপুর খেরি (উত্তর প্রদেশ)

সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব উত্তর প্রদেশের কনৌজে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলটি রাজ্যের ৮০ আসনের সবকটিতেই নির্বাচন করছে এবার। সমাজবাদী পার্টি একসময় উত্তর প্রদেশের প্রধান আঞ্চলিক শক্তি ও শাসকদল ছিল। কিন্তু বিজেপির উত্থানে দলটির প্রভাব কমে আসে।

বর্তমানে রাজ্যটি শাসন করছে বিজেপি। কনৌজ সুগন্ধি শিল্পের জন্য পরিচিত, যা যাদব পরিবারের ঘাঁটি। অখিলেশ, তার বাবা মুলায়ম সিং যাদব ও তার স্ত্রী ডিম্পল যাদব ১৯৯৯ সাল থেকে এই আসনটি থেকে লোকসভার সদস্য হয়ে আসছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালে ডিম্পল মোদী ও হিন্দুত্ববাদের জোয়ারের ধাক্কায় বিজেপির কাছে হেরে যান। পারিবারিক সম্মান পুনরুদ্ধারে এবার নির্বাচনী ময়দানে নেমেছেন অখিলেশ।

উত্তর প্রদেশের অন্য যে আসনটি অনেক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে তা হল লখিমপুর খেরি। আসনটিতে বিজেপির বিতর্কিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি পুনঃনির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়ছেন। তার ছেলে আশিস মিশ্র ২০২১ সালের শেষদিকে বিতর্কিত খামার আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা কৃষকদের উপর তার গাড়ি উঠিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে। এতে মিশ্র পরিবার একটি আইনী ঝড়ের মুখে পড়ে। আশিস এখন জামিনে আছেন। তবে কৃষকদের দল ও কর্মীরা মিশ্রকে বিজেপির টিকেট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ইন্দোর (মধ্য প্রদেশ)

বিজেপির শক্ত ঘাঁটি এই আসনটি একটু ভিন্ন কারণে খবরে রয়েছে। কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয় কান্তি বম শেষ মুহূর্তে এসে ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান। কংগ্রেস সেখানে আর কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি এবং অক্ষয় কান্তি বমও পরে বিজেপিতে যোগ দেন। এই আসনে বিভিন্ন দলের আরও ১৩ জন প্রার্থী লড়ছেন। তবে কংগ্রেস প্রতিবাদস্বরূপ কাউকেই ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তার ভোটারদের প্রতি। দলটি তার ভোটরদেরকে ব্যালটে ‘উপরের কোনটি নয়’ অপশনে সিল মারার আহ্বান জানিয়েছে।

কোন রাজ্যে কে ক্ষমতায়

আজ যেসব প্রদেশে ভোট গ্রহণ হচ্ছে এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে এককভাবে ক্ষমতায় আছে বিজেপি।

এছাড়া মহারাষ্ট্র এবং বিহারেও বিজেপি জোট সরকারের অংশ হিসেবে ক্ষমতায় আছে।

উড়িশ্যাতে ক্ষমতায় আছে বিজু জনতা দল (বিজেডি)। দলটি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর দিকে ঝুঁকে পড়লেও জোটে যোগ দেয়নি।

অন্ধ্র প্রদেশে ক্ষমতায় আছে যুবজানা শ্রমিক রাইথু (ওয়াইএসআর) কংগ্রেস পার্টি।

তেলঙ্গানায় ক্ষমতায় আছে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বা কংগ্রেস পার্টি।

ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোট ঝাড়খণ্ডকে শাসন করছে।

পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আছে তৃণমূল কংগ্রেস। এটিও বিজেপিবিরোধী ইন্ডিয়া জোটের সদস্য।

কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর সরাসরি নয়াদিল্লির অধীনে রয়েছে। অঞ্চলটির রাজ্য আইনসভাও স্থগিত রয়েছে।

গত নির্বাচনে এই আসনগুলোতে কারা জয়ী হয়েছিল

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসসহ এখন ভারত জোটের সঙ্গে সংযুক্ত দলগুলো এবং সেসময় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের সঙ্গে যুক্ত থাকা দলগুলো আজ যে ৯৬টি আসনে ভোট হচ্ছে তার মধ্যে মাত্র ১৩টি আসনে জয় পেয়েছিল।

আর বিজেপি ও এনডিএর সঙ্গে যুক্ত দলগুলো পেয়েছিল ৫০টি আসন।

অন্ধ্র প্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি জিতেছিল ২২টি আসন।

তেলেঙ্গানাভিত্তিক ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) জিতে নিয়েছিল ৯টি আসন।

এছাড়া অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) জয় পেয়েছিল ২টি আসনে।

এ পর্যন্ত মোট কত আসনে ভোট হয়েছে

ভারতের এবার লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হচ্ছে ৭ দফায়। এই ভোটগ্রহণ শেষ হবে আগামী ১ জুন।

লোকসভার মোট আসন সংখ্যা ৫৪৫টি। এরমধ্যে ৫৪৩টি আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। দুটি আসনে প্রেসিডেন্টের মনোনয়নের মাধ্যমে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয়।

প্রথম তিন দফায় ইতোমধ্যেই ২৮৪টি আসনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। আজ ভোটগ্রহণ শেষে এই সংখ্যা ৩৮০তে পৌঁছাবে। বাকি থাকবে ১৬৩টি আসনের ভোট।

তিন দফায় তামিলনাড়ু, কেরালা, মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, কর্ণাটক, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাট, রাজস্থান, সিকিম, ত্রিপুরা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, দাদরা ও নগর হাভেলি, দামান, দিউ, লক্ষাদ্বীপ ও পুদুচেরির সমস্ত আসনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

পঞ্চম দফায় ২০ মে ৪৯টি আসনে, ষষ্ঠ দফায় ২৬ মে ৫৭টি আসনে ও সপ্তম দফায় ১ জুন ৫৭টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এরপর দেশের ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সব ভোট আগামী ৪ জুন একদিনেই গণনা করা হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত