Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

ভারতে পঞ্চম দফার ভোট কোথায় কোথায়, পরীক্ষায় কারা

রাহুল গান্ধী, ওমর আবদুল্লাহ, স্মৃতি ইরানি, রাজনাথ সিং, চিরাগ পাসওয়ান, পীযূষ গয়াল।
রাহুল গান্ধী, ওমর আবদুল্লাহ, স্মৃতি ইরানি, রাজনাথ সিং, চিরাগ পাসওয়ান, পীযূষ গয়াল।
[publishpress_authors_box]

ভারতে অষ্টাদশ জাতীয় নির্বাচনে পঞ্চম দফায় ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার সকাল ৭টা থেকে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকাল ৬টা পর্যন্ত। দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলসহ ছয়টি রাজ্যে মোট ৪৯টি আসনে এদিন ভোট হচ্ছে।

প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বিজেপি সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, নারী ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর মতো প্রার্থীরা এই দফায় ভোটের পরীক্ষায় রয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া) নামে ২৬ দলের একটি জোট ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন ৪১ দলের জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সকে (এনডিএ) পরাজিত করার জন্য লড়ছে।

যদিও জনমত জরিপগুলোতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিই এগিয়ে রয়েছে। মোদীর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা আপাতদৃষ্টিতে অক্ষুণ্ণ বলে মনে হলেও এবার ভোটে আগের মতো মোদী জোয়ার ওঠেনি। সমীক্ষায় এবারের নির্বাচনে মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্ব ভোটারদের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে।

প্রথম চার দফার ভোটে গত নির্বাচনের চেয়ে কম ভোটার উপস্থিতি, প্রধানমন্ত্রী মোদীসহ বিজেপি নেতাদের মুসলিম বিদ্বেষী বক্তৃতা, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এবং প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদ (ইএসি) কর্তৃক মুসলিম জনসংখ্যার বিস্ফোরণ নিয়ে বিতর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশের মতো ঘটনা ঘটেছে।

এতে নির্বাচনকে ঘিরে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বাগযুদ্ধ আরও তীব্র হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী ও বিজেপি শুধু যেকোনও মূল্যে ক্ষমতায় যেতে চাইছে।

১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল, ৭ মে ও ১৩ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রথম চার ধাপে যথাক্রমে ৬৬ দশমিক ১, ৬৬ দশমিক ৭, ৬১ শতাংশ ও ৬৭ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে সবমিলিয়ে গড়ে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এবার হিন্দু ভোটারদের মধ্যে আগের মতো মোদী জোয়ার ওঠেনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, এ কারণেই প্রথম দফার ভোটের পর থেকেই মোদী ও বিজেপি নেতারা সাম্প্রদায়িক বিভাজনের কৌশল নিয়েছেন। ধর্মীয় আবেগ উস্কে দিয়ে হিন্দুদের আরও বেশিহারে ভোটে টানার জন্য মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য শুরু করেছেন।

একের পর এক সমাবেশে মোদী বলেন, কংগ্রেস দলের নেতৃত্বাধীন বিরোধীরা সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়কে খুশি করার চেষ্টা করছে এবং তারা ক্ষমতায় আসলে হিন্দুদের সম্পদ কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের দিয়ে দেবে। কংগ্রেস জিতলে মুসলমানরাই ভারত শাসন করবে বলেও ভয় দেখাচ্ছেন মোদী।

এমনকি তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর এক সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, পুরো বিশ্ব এ নির্বাচনের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। মোদীর আরও অভিযোগ, ভারতের দুই শীর্ষ ধনকুবের মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানির কাছ থেকে কংগ্রেস ট্রাক ভরে অর্থ নিয়েছে।

অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী উল্টো দীর্ঘদিন ধরেই দেশটির এ দুই শীর্ষ ধনীর সঙ্গে মোদীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা বলে আসছেন।

আম্বানি ও আদানিকে ঘিরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মোদীর এমন অভিযোগ বিস্ময়কর। কারণ এই দুই ব্যবসায়ীকে মদদ দেওয়ার কারণে বিজেপি সরকারকে ‘স্যুট বুট কি সরকার’ বলেও আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। মোদীর আমলেই বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় নাম উঠেছে তাদের। যে কারণে মোদী ‘ক্রনি ক্যাপিটালিজম’ করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

ক্রনি ক্যাপিটালিজম হলো এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরকারের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা লাভ করে। এই সুবিধাগুলোর মধ্যে থাকতে পারে কর ছাড়, অনুদান, লাইসেন্স এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক বাধাগুলো এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা।

কোথায় কত আসনে ভোট হচ্ছে

ঝাড়খণ্ড : পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির ১৪ আসনের ৩টিতে

• ওড়িশা : পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির ২১ আসনের ৫ আসনে

• উত্তর প্রদেশ : উত্তর ভারতীয় প্রদেশটির ৪০ আসনের ১৪টিতে

• বিহার : পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির ৪০ আসনের ৫টিতে

• মহারাষ্ট্র : পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশটির ৪৮ আসনের ১৩টিতে

• পশ্চিমবঙ্গ : পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির ৪২ আসনের ৭টিতে

• লাদাখ : কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির একমাত্র আসনে

• জম্মু ও কাশ্মীর : কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির ৫ আসনের ১টিতে আজ ভোট হচ্ছে।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসসহ এখন ভারত জোটের সঙ্গে সংযুক্ত দলগুলো এবং সেসময় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের সঙ্গে যুক্ত থাকা দলগুলো আজ যে ৪৯টি আসনে ভোট হচ্ছে তার মধ্যে মাত্র ৮টি আসনে জয় পেয়েছিল।

আর বিজেপি ও এনডিএর সঙ্গে যুক্ত দলগুলো জয় পেয়েছিল ৩৯টি আসনে।

গুরুত্বপূর্ণ আসন

আমেথি, রায়বেরেলি, লক্ষ্ণৌ সেন্ট্রাল, কায়সারগঞ্জ ও ফৈজাবাদ (উত্তরপ্রদেশ)

এই দফায় সবার দৃষ্টি থাকবে আমেথি ও রায়বেরেলির দিকে। উত্তর প্রদেশের এই দুটি আসন কংগ্রেসের নেহরু-গান্ধী পরিবারের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তবে এবার শুধু রায়বেরেলিতেই গান্ধী পরিবারের সদস্য হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন রাহুল গান্ধী। এই আসনটিতে এর আগে তার মা, সাবেক কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী নির্বাচন করতেন। সোনিয়া এই আসন থেকে চারবার লোকসভার সদস্য হয়েছেন।

রাহুল গান্ধী এর আগে আমেথি থেকেই নির্বাচন করতেন। ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধী আমেথি থেকে টানা তিনবার লোকসভার সদস্য হন। কিন্তু ২০১৯ সালে তাতে ছন্দপতন ঘটে। রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে দেন অভিনয় জগত থেকে রাজনীতির মঞ্চে আসা বিজেপির প্রার্থী স্মৃতি ইরানি। রাহুলের আগে তার দাদী ইন্দিরা গান্ধী, বাবা রাজীব গান্ধী, মা সোনিয়া গান্ধী এবং চাচা সঞ্জয় গান্ধীও আমেথি থেকে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে এবার বিজেপির মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে লড়তে আমেথিতে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠজন কিশোরী লাল শর্মাকে।

লক্ষ্ণৌ সেন্ট্রাল আসন থেকে বিজেপির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন করতে চলেছেন। তার বিরুদ্ধে লড়ছেন আসনটিতে সমাজবাদী পার্টির বর্তমান রাজ্য বিধান সভার সদস্য রবিদাস মেহরোত্রা। এই নিয়ে টানা তৃতীয় নির্বাচনে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা। ২০২২ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে মেহরোত্রা আসনটি থেকে বিধান সভা সদস্য হন।

তবে লোকসভা নির্বাচনে আসনটি বিজেপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এক সময় টানা চারবার সাধারণ নির্বাচনে লক্ষ্ণৌ কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালে জিতেছিলেন তিনি। ২০০৯ সালেও বিজেপির প্রার্থী লালজি ট্যান্ডন আসনটি থেকে নির্বাচিত হন।

২০১৪ সালের নির্বাচনে রাজনাথ সিং কংগ্রেসের রীতা বহুগুনা যোশীকে পরাজিত করে সেখান থেকে প্রথমবার লোকসভার সদস্য হন। ২০১৯ সালের নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির পুনম শত্রুঘ্ন সিনহাকে পরাজিত করে রাজনাথ সেখান থেকে দ্বিতীয়বারও লোকসভার সদস্য হন। উত্তর প্রদেশের ৮০ টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে ১৯৯১ সাল থেকেই বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত লখনউ আসনটি।

এছাড়াও উত্তর প্রদেশের কায়সারগঞ্জও এবার একটি আলোচিত নির্বাচনী এলাকা। বিজেপির সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এবার আর সেখানে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।  তবে রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (ডব্লিউএফআই) সাবেক এই সভাপতি তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার ছেলে করণ ভূষণ হয়েছেন এবার বিজেপির প্রার্থী।

উত্তর প্রদেশের আরেকটি আলোচিত আসন হল ফৈজাবাদ, যেখানে বিতর্কিত অযোধ্যা রাম মন্দিরটি অবস্থিত। আসনটির বর্তমান সাংসদ লালু সিং তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির অবধেশ প্রসাদের বিরুদ্ধে বিজেপির টিকিটে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়ছেন। সমাজবাদী পার্টি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের অংশ। ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি উত্তর প্রদেশের ৮০ আসনের ৬২টিতেই জিতেছিল। এবারও দলটি সেখানে একই ফল বা আরও বেশি আসন লাভের আশা করছে।

সরণ ও হাজিপুর (বিহার)

বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে রোহিণী আচার্য সরণে বিজেপির রাজীব প্রতাপ রড্ডিকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। তার বাবাও অতীতে এ আসন থেকে লোকসভার সদস্য হয়েছেন। যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের একটি অংশ।

হাজিপুরে এলজেপি (রাম বিলাস) প্রধান চিরাগ পাসোয়ান তার বাবা রাম বিলাস পাসোয়ানের উত্তরাধিকার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে লড়বেন যাদবের বিশ্বস্ত সহযোগী আরজেডির শিব চন্দ্র রাম। ১৯৭৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আসনটি থেকে চিরাগ পাসোয়ানের বাবা রাম বিলাস পাসওয়ান আটবার জিতেছিলেন এবং ১৯৮৪ ও ২০০৯ সালে মাত্র দুবার হেরেছিলেন।

চিরাগ তার নির্বাচনী এলাকা জামুই থেকে হাজিপুরে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা এলজেপির শক্ত ঘাঁটি। এর মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে বাবার রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে উপস্থাপন করছেন। পাসোয়ানের দল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে আছে।

মুম্বাই উত্তর (মহারাষ্ট্র)

মুম্বাইয়ের ৪৮ আসনের একটি মুম্বাই উত্তর। এটি মহারাষ্ট্রের মুম্বাই শহরতলীর একটি অংশ। এটি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। মুম্বাই উত্তর আসন থেকে কংগ্রেসের ভূষণ পাটিলের বিরুদ্ধে পীযূষ গোয়েলকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।

লাদাখ (লাদাখ)

কেন্দ্রশাসিত লাদাখ অঞ্চলের একমাত্র নির্বাচনী এলাকা লাদাখ, যাকে ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীর থেকে আলাদা করা হয়েছিল। বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সাক্ষী হওয়া আসনটিতে বর্তমান এমপি জামিয়াং সেরিং নামগ্যালকে দলটি এবার মনোনয়ন দেয়নি। কংগ্রেস পার্টি স্থানীয় অভিযোগগুলোকে পুঁজি করে জয়ের আশা করছে। প্রধানটি হল এই অঞ্চলটিকে ভারতের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় আনার দাবি। কংগ্রেস লাদাখকে তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার অর্থ এই অঞ্চলের উপজাতীয় মর্যাদার সুরক্ষা। স্থানীয়দের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এই ব্যবস্থা না থাকলে তাদের জমি, চাকরি ও শিক্ষার সুবিধা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের লোকজনের হাতে চলে যেতে পারে।

অঞ্চলটি পরিবেশগতভাবেও সংবেদনশীল এবং পরিবেশবাদীরা সেখানে অতিরিক্ত পর্যটনের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। ২০২০ সালের মে মাসে এক মারাত্মক সংঘর্ষের পর থেকে লাদাখ উত্তেজনাপূর্ণ ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধের সামনের সারিতে রয়েছে। ওই সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য এবং চার জন চীনা সৈন্য নিহত হয়েছিল।

অনেক বিশ্লেষক বলেছেন, স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিসহ বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণ থেকে বোঝা যায়, চীন লাদাখের ভারত নিয়ন্ত্রিত কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে। তবে ভারত সরকার তা অস্বীকার করেছে।

বারামুল্লা (জম্মু-কাশ্মীর)

আসনটিতে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) নেতা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ পিপলস কনফারেন্স (পিসি) এর সাজাদ লোন ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির মীর মোহাম্মদ ফায়াজের বিরুদ্ধে লড়ছেন।

হুগলি (পশ্চিমবঙ্গ)

হুগলিতে বিজেপির সংসদ সদস্য অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী করেছে আরেক অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পশ্চিমবঙ্গের সাতটি আসনে আজ ভোট হচ্ছে। এই আসনগুলো হলো হুগলি জেলার শ্রীরামপুর, হুগলি ও আরামবাগ; উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁও ও ব্যারাকপুর; হাওড়া জেলার উলুবেরিয়া ও হাওড়া।

কোন রাজ্যে কে ক্ষমতায়

• সোমবার যেসব প্রদেশে ভোট গ্রহণ হচ্ছে এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে এককভাবে ক্ষমতায় আছে বিজেপি।

• মহারাষ্ট্র ও বিহারে বিজেপি জোট সরকারের অংশ হিসেবে ক্ষমতায় আছে।

• ওড়িশায় ক্ষমতায় আছে বিজু জনতা দল (বিজেডি)। দলটি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর দিকে ঝুঁকে পড়লেও জোটে যোগ দেয়নি।

• ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোট ঝাড়খণ্ডকে শাসন করছে।

• পশ্চিমবঙ্গে ২০১১ সাল থেকে ক্ষমতায় আছে তৃণমূল কংগ্রেস। এটিও বিজেপিবিরোধী ইন্ডিয়া জোটের সদস্য।

• জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ সরাসরি নয়াদিল্লি থেকে শাসিত হয়।


এ পর্যন্ত মোট কত আসনে ভোট হয়েছে

ভারতের এবার লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হচ্ছে ৭ দফায়। এই ভোটগ্রহণ শেষ হবে আগামী ১ জুন।

লোকসভার মোট আসন সংখ্যা ৫৪৫টি। এরমধ্যে ৫৪৩টি আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। দুটি আসনে প্রেসিডেন্টের মনোনয়নের মাধ্যমে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয়।

প্রথম চার দফায় ৩৮০টি আসনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। আজ ভোটগ্রহণ শেষে এই সংখ্যা ৪২৯ হবে। বাকি থাকবে ১১৪টি আসনের ভোট।

চার দফায় তামিলনাড়ু, কেরালা, মেঘালয়, অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, মণিপুর, কর্ণাটক, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, নাগাল্যান্ড, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাট, রাজস্থান, সিকিম, ত্রিপুরা রাজ্যের এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল- আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, দাদরা ও নগর হাভেলি, দামান, দিউ, লক্ষাদ্বীপ ও পুদুচেরির সমস্ত আসনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

ষষ্ঠ দফায় ২৬ মে ৫৭টি আসনে ও সপ্তম দফায় ১ জুন ৫৭টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এরপর দেশের ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সব ভোট আগামী ৪ জুন একদিনেই গণনা করা হবে।

তথ্যসূত্র : আল জাজিরা ও হিন্দুস্তান টাইমস

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত