বাংলাদেশে সহিংসতা বন্ধে ভারত সরকারকে চাপ দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী যুক্তরাষ্ট্রে সফরে আছেন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের একদল আইনপ্রণেতার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এ নিয়ে তিনি ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমি আশাবাদী, বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে। আমরা দেশটির বর্তমান সরকার বা ভবিষ্যতের যেকোনও সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখব।”
বাংলাদেশে সহিংসতা বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “আমরা বিষয়টি (বাংলাদেশ) উত্থাপন করেছি এবং তারা আমাদের সঙ্গেও কথা বলেছে। দেখুন, আমরা যেকোনও ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে। আমরা এটি বন্ধ করতে চাই। এটি দ্রুততম সময়ে বন্ধ করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের উপর ন্যস্ত।
“আমাদের পক্ষ থেকে, আমাদের সরকারের দায়িত্ব চাপ দেওয়া, যাতে সহিংসতা বন্ধ হয়।”
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে রাহুল গান্ধী বলেন, “প্রতিবেশী দেশে ‘উগ্রপন্থী উপাদান’ নিয়ে ভারতে উদ্বেগ রয়েছে। আমরা এই বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
রাহুল গান্ধী জানান, পররাষ্ট্রনীতি প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকারের সঙ্গে কংগ্রেস কাজ করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে উগ্রপন্থা নিয়ে উদ্বেগ, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার মতো বিষয়গুলো রয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পাশাপাশি ভারতীয় প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
ওয়াশিংটনের ইউএস ক্যাপিটলের পাশের রেবার্ন হাউস অফিস বিল্ডিংয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের আয়োজন করেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য ব্র্যাডলি জেমস শেরম্যান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য জোনাথন জ্যাকসন, রো খান্না, রাজা কৃষ্ণমূর্তি, বারবারা লি, শ্রী থানেদার, জেসুস জি ‘চুই’ গার্সিয়া, ইলহান ওমর, হ্যাঙ্ক জনসন ও জেন শাকোস্কি।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, রাহুল গান্ধী গত সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে কূটনীতিক ডোনাল্ড লু ও আইনপ্রণেতা প্রমিলা জয়পালের সঙ্গেও দেখা করেছেন।
তথ্যসূত্র : এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এএনআই।