একসময় ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখা হতো এভাবে- পাকিস্তানের বোলিং বনাম ভারতের ব্যাটিং। সময়ের পালাবদলে ভারতের পেস বোলিংয়ের উন্নতি হয়েছে, বিপরীতে ধার কমেছে পাকিস্তানের। তবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মহারণে পাকিস্তানের সেই গতিঝড় ফিরেছে। যে ঝড়ের সামনে বেসামাল ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ।
রবিবার (৯ জুন) নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির-নাসিম শাহরা। তাদের তোপে ১৯ ওভারে ১১৯ রানে অলআউট হয়েছে ভারত।
নিউইয়র্কের পিচ নিয়ে আগেই সমালোচনা হয়েছে। লো স্কোরিং এই পিচ ব্যাটারদের জন্য আরও কঠিন হয়ে যায় বৃষ্টিতে। ফলে টস জিতে ফিল্ডিং নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। অবশ্য ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল ভারত, কিন্তু এক ওভার পরই খেলা বন্ধ হয়ে যায় বৃষ্টিতে।
পিচ আরও পেসারদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে চার পেসার- নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আমির, হারিস রউফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি দুর্বোধ্য হয়ে ওঠেন রোহিতদের জন্য।
নাসিম ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। হারিসেরও শিকার ৩ উইকেট। অন্যদিকে ২ উইকেট পেলেও ভারতের ব্যাটারদের সবচেয়ে বেশি পরীক্ষায় ফেলেছিলেন আমির। তার আউট সুইংয়ে ব্যাটাররা পরাস্ত হয়েছেন বারবার। বাঁহাতি এই পেসার ৪ ওভারে খরচ করেছেন ২৩ রান।
পাকিস্তানের উইকেট উৎসবের শুরুটা করেছিলেন নাসিম। আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ব্যর্থ বিরাট কোহলি (৪)। অধিনায়ক রোহিতের (১৩) শুরুটা ভালো হলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এরপর একে একে কাটা পড়েছেন অক্ষর প্যাটেল (২০), সূর্যকুমার যাদব (৭), শিবম দুবে (৩), রবীন্দ্র জাদেজা (০) ও হার্দিক পান্ডিয়া (৭)।
সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝে সর্বোচ্চ ইনিংস ঋষভ পন্তের। তবে তার ইনিংসে আছে ভাগ্যের ছোঁয়া। দুই দফা ‘জীবন’ পেয়ে খেলেছেন ৪২ রানের ইনিংস। ৩১ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৬ বাউন্ডারিতে।