টানা তিন ম্যাচে ২০০’র বেশি রান। টি-টোয়েন্টির আকাশে রীতিমতো উড়ছিল ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষে দিল্লিতে ২২১ রানের পর হায়দরাবাদে সূর্যকুমার যাদবের দল করেছিল ২৯৭।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রথম ম্যাচেও ডারবানে ভারত করে ৮ উইকেটে ২০২। তবে রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচে উড়ন্ত ভারতকে মাটিতে নামিয়েছে প্রোটিয়ারা। পোর্ট এলিজাবেথে ৮৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল সফরকারীরা। হার্দিক পান্ডিয়ার দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত তারা থামে ৬ উইকেটে ১২৪ রানে।
জবাবে শুরুর ধাক্কা সামলে দ.আফ্রিকা ম্যাচ জিতেছে ৬ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে। একটা পর্যায়ে ৬৬ রানে ৬ আর ৮৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বরুণ চক্রবর্তী নেন ৪ ওভারে ১৭ রানে ৫ উইকেট।
তবে ট্রিস্টান স্টাবস ৪১ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়েই ছাড়েন মাঠ। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। স্টাবসকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ৯ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকা জেরাল্ড কোয়েটজি। এই জয়ে ৪ ম্যাচের সিরিজে সমতা ফিরল ১-১’এ।
প্রথম দুই ওভারেই দুই ওপেনার হারায় ভারত। ডারবানে সেঞ্চুরি করা সঞ্জু স্যামসন কোন রান না করেই বোল্ড হন মার্কো ইয়ানসেনের বলে। ৪ রান করা ওপেনার অভিষেক শর্মাকে ফেরান জেরাল্ড কোয়েটজে।
আন্দিলে সিমেলেন ফেরান অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে। এলবিডব্লিউ হওয়া সূর্যকুমার ফেরেন ৯ বলে ৪ করে। তিলক ভার্মা ২০ ও অক্ষর প্যাটেল ২৭ রান করে হাল ধরেছিলেন কিছুটা। তবে ইনিংসটা বড় করতে পারেননি দুজনের কেউ।
শেষ পর্যন্ত হার্দিক পান্ডিয়ার ৪৫ বলে ৩৯’এ ভারত পুঁজি পায় ৬ উইকেটে ১২৪ রানের। মার্কো ইয়ানসেনের করা শেষ ওভারের প্রথম ৪ বলে কোনো রান পাননি হার্দিক। চার বলে তার ক্যাচ পড়ে দুবার! তবে শেষ দুই বলে নেন ৬ রান।