টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বানানো হয়েছে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়ে ‘অস্থায়ী’ এই স্টেডিয়ামের কাজ। ভেন্যুটির শেষের উপলক্ষে জমজমাট লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এবারের বিশ্বকাপ।
ভারতের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা- পাগলের প্রলাপ মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু চলমান বিশ্বকাপে আমেরিকানদের এমন দাপুটে পারফরম্যান্স যে তাদের গোনায় ধরতেই হচ্ছে ভারতকে। স্রেফ এতটুকু বললেই পরিষ্কার হয়- ভারতকে হারালে সুপার এইট নিশ্চিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের। নিউ ইয়র্কের এই ম্যাচে ভারতের সামনেও একই হাতছানি।
বুধবার (১২ জুন) বাংলাদেশ সময় রাত ৮-৩০ মিনিটে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র। দুই দলের কেউই এখন পর্যন্ত হারের মুখ দেখেনি। ভারত নেমেছে প্রতিযোগিতার হট ফেভারিট হয়ে, বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ ধরা হয়েছিল ‘আনন্দভ্রমণ’। কিন্তু মনাঙ্ক প্যাটেলের দল চমক জাগিয়ে বিশ্বকাপে এগিয়ে চলেছে।
কানাডার প্রায় ২০০ ছুঁই ছুঁই রান তাড়া করে জয় দিয়ে শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেটাকে খুব বেশি আমলে নেওয়া হয়নি। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মতো কানাডাও আইসিসির সহযোগী দেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে যা করল, তাতে ক্রিকেট দুনিয়ায় নতুন অঘটনের জন্ম দেয় আমেরিকানরা। টুর্নামেন্টের আরেক ফেভারিট, আগের বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয় তারা। সুপার ওভার নাটকে জিতে এখন সুপার এইটের অপেক্ষায় আমেরিকানরা।
অন্যদিকে ভারত বিশ্বকাপ শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয়েছে। ১২০ রান করেও জসপ্রিত বুমরার চমৎকার বোলিংয়ে পায় ৬ রানের জয়। এবার তাদের সামনে যুক্তরাষ্ট্র বাধা। পাকিস্তানের বিপক্ষে আমেরিকানরা যে পারফর্ম করেছে, তাতে নির্ভার থাকার সুযোগ নেই রোহিত শর্মাদের।
এবারই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সাক্ষাতে অঘটন ঘটিয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজরা। ভারতও কি কাটা পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে?