লাল বলের ক্রিকেটে সময় ভালো যাচ্ছিল না। একাদশ থেকেও বাদ পড়েছিলেন। কিন্তু ফরম্যাট পাল্টাতেই দ্যুতিময় পারফরম্যান্স শুবমান গিলের। আগের দুই ম্যাচে সম্ভাবনা জাগিয়েও যা পারেননি, শেষ ওয়ানডেতে তা পূরণ করলেন। এই ওপেনারের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়েছে ভারত। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নামার আগে এর চেয়ে ভালো ‘প্রস্তুতি’ আর কী হতে পারে!
আহমেদাবাদের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছে রোহিত শর্মারা। গিলের সেঞ্চুরির পর বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইংলিশদের হারিয়েছে ১৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ভারত স্কোরে জমা করে ৩৫৬ রান। কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৪.২ ওভারে ২১৪ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০তে জিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিশনে নামছে স্বাগতিকরা।
নাগপুরের প্রথম ওয়ানডেতে খুব কাছে গিয়েও সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি গিলের। আউট হয়েছিলেন ৮৭ রানে। কটকের দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়ে খেলেছিলেন ৬০ রানের ইনিংস। এবার শতক পূরণ করলেন গিল। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে রোহিত শর্মা (১) আউট হওয়ার পর বিরাট কোহলিকে নিয়ে গড়েন বড় স্কোরের ভিত। দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েন ১২১ রানের জুটি।
বড্ড খারাপ সময় যাচ্ছিল কোহলির। সেই অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরেছে তার মনে। ৫৫ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। গিল অবশ্য হাফসেঞ্চুরি করে থামেননি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করে খেলেন ১১২ রানের ইনিংস। ম্যাচসেরার পুরস্কার জয়ী এই ব্যাটার ১০২ বলের ইনিংসটি সাজান ১৪ চার ও ৩ ছক্কায়।
কোহলির আউটের পর গিল সঙ্গ পেয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ারের। চারে নেমে এই ব্যাটারও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। তিনি ৬৪ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় খেলে যান ৭৮ রানের ইনিংস। লোকেশ রাহুল ২৯ বলে ৪০ রান করে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ ১০ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড।
৩৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল দারুণ। উদ্বোধনী জুটিতে পেয়ে যায় ৬০ রান। ঝড়ো শুরুর পর বেন ডাকেট ২২ বলে ৩৪ রান করে আউট হলেও রানের চাকা ঘুরতে থাকে ফিল সল্ট ও টম ব্যান্টনের ব্যাটে। কিন্তু ব্যান্টন ৩৮ রান করে বিদায় নেওয়ার পরই সব এলোমেলো। পরের ৮ উইকেট হারিয়েছে ৮৮ রানে। জো রুট করেন ২৪ রান। অধিনায়ক জস বাটলার ৬ রানে আউট।
ভারতের চার বোলার- আর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানা, অক্ষর প্যাটেল ও হার্দিক পান্ডিয়া প্রত্যেক পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।