Beta
শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কমলাপুরে যে সমস্যায় পড়লেন ভারতের বাঙালি কোচ

ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের বাঙালি কোচ শুক্লা দত্ত। ছবি: সংগৃহীত।
ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের বাঙালি কোচ শুক্লা দত্ত। ছবি: সংগৃহীত।
Picture of ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঢাকায় পা রেখেই ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের কোচ শুক্লা দত্ত বলেছিলেন, “আমি ফরিদপুরের মেয়ে।” এই বাংলার সঙ্গে একটা নাড়ীর টান রয়েছে ভারতের সাবেক এই ফুটবলারের। পশ্চিমবঙ্গের কোচ শুক্লার পূর্বপুরুষের ভিটেবাড়ি এখনও রয়েছে বাংলাদেশে।

সেই কোচই ভাষাগত বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন রবিবার। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফের লিগ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার খানিক আগে মোসাম্মৎ সাগরিকার দুর্দান্ত একটি গোলে হেরে গেছে ভারত।

এই জয়ে বাংলাদেশ এক ম্যাচ বাকি থাকতেই উঠে গেছে টুর্নামেন্টের ফাইনালে। কিন্তু ভারতের ভাগ্য এখন সুতার ওপর দুলছে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি নেপালের সঙ্গে ভারতের ম্যাচটি তাই অলিখিত সেমিফাইনাল হয়ে উঠেছে।

ভারতকে হারানোর উল্লাস বাংলাদেশের মেয়েদের। রবিবার কমলাপুর স্টেডিয়ামে। ছবি: বাফুফে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচে ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে বারবারই চীৎকার করে ফুটবলারদের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন শুক্লা। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকে যে মুহূর্তে গোল খেয়েছে ভারত, ওই সময় নাকি ফুটবলাররা কোনও কথায় শুনতে পাচ্ছিলেন না।

যেহেতু শুক্লা বাঙালি এবং ভারতের সব মেয়ে অবাঙালি, তাই সমস্যাটা হচ্ছিল বেশি। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে সেই কথাটাই বললেন তিনি, “আমার কথা ওরা শুনতে পায়নি। মাঠে এত আওয়াজ। বাদ্যি বাজছে। ব্যান্ড বাজছে। এর জন্য হয়তো শুনতে পায়নি।”

কোচ যোগ করেন, “একটা ম্যাচে কখন কি হতে পারে বাইরে থেকে বোঝা যায়।  আমি সেটা বুঝতে পেরেছি। বলছি ওপর থেকে বল ডিপ হবে (পেছনে গিয়ে পড়বে)। সেটা হয়তো বুঝতে পারেনি। আমি তো বাংলায় কথা বলি সাধারণত। তারপর আমাকে হিন্দিতে বলতে হচ্ছে। আমি বাঙালি। এই ধর ধর, এটা তো বলতে পারিনা। ওরা সব ইন্ডিয়ান মেয়ে। আমার কথাটা রিপ্লাই করা যাচ্ছিল না। বারবার এভাবে বলাও যায় না। আসলে ভাষাগত একটা সমস্যা হয়েছিল তখন।”

বাংলাদেশের মেয়েদের খেলা দেখে প্রশংসা করেছেন শুক্লা, “আসলে বাংলাদেশ খুবই ভালো খেলেছে। সুযোগ পেয়েছি আমরাও কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি।”

সাগরিকা নেপালের বিপক্ষে করেছেন জোড়া গোল। ভারতের ম্যাচেও জয়ের বড় ভূমিকা রেখেছেন। এই স্ট্রাইকারকে নিয়ে কি কোনও পরিকল্পনা ছিল?

“সাগরিকা খেলছে না কে খেলছে সেটা বিষয় না। বাংলাদেশের কারও নিয়ে আমার কোনও প্লান ছিল না। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে ধরব, আটকাবো। এসব ভাবিনি। অলআউট খেলব বলেই ঠিক করেছি। যখন প্রতিপক্ষ আক্রমণে ওঠে নির্দিষ্ট কাউকে ধরে খেলতে হবে সেটা বলিনি। বাংলাদেশের প্রত্যেকে ভালো খেলেছে।” উত্তরে বলেন শুক্লা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত