Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশে ভারতের ভিসা সেন্টার অনির্দিষ্টকাল বন্ধ

৪ আগস্ট ধানমন্ডিতে পোশাকের ব্র্যান্ড ইয়েলোর শোরুমে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
৪ আগস্ট ধানমন্ডিতে পোশাকের ব্র্যান্ড ইয়েলোর শোরুমে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশে নিজেদের সব ভিসা আবেদন কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছে ভারত।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদনের অনলাইন পোর্টালে এক বার্তায় বলা হয়েছে, “অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। পরবর্তী আবেদনের তারিখ এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। আগামী কর্মদিবসে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার অনুরোধ করা হচ্ছে।” 

এর আগের দিন বুধবার বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশন ও কনস্যুলেট থেকে অপরিহার্য নয় এমন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারকে ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত। 

ভারত সরকারের একাধিক সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, হাই কমিশন ও কনস্যুলেট থেকে কর্মকর্তাদের দেশে ফিরিয়ে নিলেও বাংলাদেশে ভারতীয় কূটনীতিকরা অবস্থান করছেন এবং দূতাবাসগুলো খোলা আছে। 

ঢাকায় ভারতের হাই কমিশন এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটে তাদের কনস্যুলেট আছে। 

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে ভারতীয় ভিসা সেন্টার।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে জুলাই মাসে শুরু হওয়া ব্যাপক গণবিক্ষোভের একপর্যায়ে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন দুপুরেই তিনি প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান সেদিন জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে।

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর চাউর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লসিত জনতা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন, তার কার্যালয় ও সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ে। গণভবনে থাকা সবকিছুই তারা নিয়ে যায়।        

একই সঙ্গে দেশব্যাপী ভাঙচুর করা হয় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর বাসভবন। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দলটি ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর কার্যালয়।

দেশের এমন অরাজক পরিস্থিতি নিয়ে লোকসভায় আলোচনা ওঠান ভারতের মন্ত্রী-এমপিরা। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সেখানে জানান, বাংলাদেশে প্রায় ১৯ হাজার ভারতীয় অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে ৯ হাজার শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীদের বড় অংশকেই বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পরপরই দেশে ফেরত আনা হয়েছে।   

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত