ভারতের সাবেক দুই ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী ও দিনেশ কার্তিক মনে করছেন, বাংলাদেশকে সহজেই হারাবে ভারত। তবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে রোহিত শর্মারা মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশকে। সেটির কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া গেল ভারতের অনুশীলনে। চেন্নাই টেস্ট সামনে রেখে লাল ও কালো- দুটো আলাদা পিচে অনুশীলন করেছে তারা।
মঞ্চ তৈরি। এখন শুধু বাংলাদেশ-ভারতের মাঠে নামার পালা। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করে লাল বলের ক্রিকেটে উজ্জীবিত বাংলাদেশ। অন্যদিকে ছয় মাস পর টেস্টে ফেরার অপেক্ষায় ভারত। গত মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ লাল বলের ক্রিকেট খেলেছিল রোহিতরা।
১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাই টেস্ট দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারতের লড়াই। দুই ম্যাচের এই সিরিজ দিয়েই ভারতের পেস বোলিং কোচ হিসেবে অভিষেক হচ্ছে মরনে মরকেলের। তার অধীনে শুক্রবার থেকে পুরোদমে অনুশীলন করছেন জসপ্রিত বুমরারা।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর, বাংলাদেশ সিরিজ সামনে রেখে অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করছেন ক্রিকেটাররা। লম্বা সময় পর টেস্টে ফিরবে বলে প্রস্তুতিতে কোনও কমতি রাখতে চাইছে না স্বাগতিকরা। সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, ভারতীয় ব্যাটাররা, বিশেষ করে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও যশ্বসী জয়সওয়াল দুটো আলাদা নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। কালো পিচে বোলিং করেছেন স্পিনাররা, আর লাল পিচে ছিলেন পেসাররা।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। এরপরও ভারত বিকল্প পথ খোলা রাখছে। সেকারণেই স্পিন-পেস দুই বিভাগের বিপক্ষে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। পূর্ণশক্তির দল নিয়ে ভারত নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। স্পিন আক্রমণে রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেল। পেস বিভাগ সাজানো হয়েছে বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ ও যশ দয়ালকে নিয়ে।
ভারত সফরে দুই টেস্টের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাই টেস্টের পর কানপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৭ সেপ্টেম্বর। এরপর ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টি। ৯ অক্টোবর দিল্লিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলে ১২ অক্টোবর হায়দরবাদের ম্যাচ দিয়ে সফর শেষ করবে বাংলাদেশ।