এপ্রিল মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯.১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতেও সাধারণ মূল্যস্ফীতি ০.৫৭ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে। গত বছরের এপ্রিলে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৭৪ শতাংশ।
চলতি বছরের মাস মার্চে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৩৫ শতাংশ। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ০.১৮ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে সার্বিক এই মূল্যস্ফীতি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এপ্রিল মাসের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের এপ্রিল মাসে দেশে যে পণ্য ও সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত গত মাসে ঠিক সেই পণ্য ও সেবা নিতে ১০৯.১৭ টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত দুই উপখাতেই আগের মাস মার্চের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমে যথাক্রমে ৮.৬৩ ও ৯.৬১ শতাংশ হয়েছে। মার্চ মাসে এই দুই উপখাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৮.৯৩ এবং ৯.৭০ শতাংশ।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে ৯.১৫ শতাংশ হয়েছে। মার্চ মাসে এই হার ছিল ৯.৪১ শতাংশ।
এপ্রিল মাসে গ্রামীণ এলাকার খাদ্য উপখাতের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮.৪০ শতাংশ, যা মার্চে ছিল ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ।
খাদ্যবহির্ভূত উপখাতের মূল্যস্ফীতি ৯.৯৭ শতাংশ থেকে কমে ৯.৮৬ শতাংশ হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশের শহর এলাকার মূল্যস্ফীতিও কমেছে। এ মাসে শহরাঞ্চলের সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৫৯ শতাংশ, মার্চ মাসে এই হার ছিল ৯.৬৬ শতাংশ।
মার্চ মাসে শহর এলাকায় খাদ্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯.১৩ শতাংশ হয়েছে। আর খাদ্যবহির্ভূত উপখাতে হয়েছে ৯.৮৮ শতাংশ।