Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে উদ্বেগজনক সূচক মূল্যস্ফীতি ফের চড়েছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসভিত্তিক) চলতি বছরের তৃতীয় মাস মার্চে দেশে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে।

আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। জানুয়ারিতে উঠেছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে।

৯ দশমিক ৮১ শতাংশ মূল্যস্ফীতির মানে হচ্ছে– ২০২৩ সালের মার্চে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, তা এই বছরের মার্চে পেতে ১০৯ টাকা ৮১ পয়সা ব্যয় করতে হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মঙ্গলবার মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এই তথ্য প্রকাশ করে।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

এতে দেখা যাচ্ছে, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

পর পর দুই মাস কমে গত বছরের শেষ দুই মাস নভেম্বর ও ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার যথাক্রমে ৯ দশমিক ৪৯ এবং ৯ দশমিক ৪১ শতাংশে নেমেছিল। তার আগের মাস অক্টোবরে এই হার উঠেছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে।

আর গত বছরের মে মাসে এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে উঠেছিল মূল্যস্ফীতির পারদ।

গত বছরের জানুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, মার্চে শহরের পাশাপাশি গ্রামেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এই মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ; শহরে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারিতে শহরে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গ্রামে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। দেশে জ্বালানি তেলের দাম ৫০ শতাংশের মতো বৃদ্ধি করার কারণে আগস্টে তা এক লাফে বেড়ে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠে যায়। সেপ্টেম্বরে তা কমে ৯ দশমিক ১০ শতাংশে নেমেছিল।

অক্টোবরে তা আরও কমে ৯ শতাংশের নিচে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে নেমে আসে। নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয় ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ডিসেম্বরে তা কমে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশে নেমে আসে।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তা আরও কমে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে নেমে আসে। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ওই বছরের মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯ অংকের ঘর ছাড়িয়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশে ওঠে।

এর পর থেকে ৯ শতাংশের উপরেই অবস্থান করছে মূল্যস্ফীতির হার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত