চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম মাস জুলাইয়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দুই অংকের ঘরে পৌঁছেছে। গেল মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত মাসের সাধারণ মূল্যস্ফীতির এই হার গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গত মাসে খাদ্য উপখাতের মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছে। আর খাদ্য বহির্ভূত উপখাতের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
এর আগে ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে এর চেয়ে বেশি ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। তারপর আর কখনও এই হার ১০ শতাংশ ছাড়ায়নি।
সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ওয়েবসাইটে তুলে ধরা মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
অর্থাৎ গত বছরের জুলাই মাসে দেশের বাজারে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেতে, এ বছরের একই মাসে সেই পণ্য বা সেবা নিতে ১১১ টাকা ৬৬ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।
এর আগ জুন মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। সে হিসাবে জুলাই মাসে আগের মাসের তুলনায় ১ দশমিক ৯৪ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়েছে।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।
বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ, যা জুন মাসের তুলনায় প্রায় ৪ শতাংশ বেশি। জুনে খাদ্য উপখাতের মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ।
গত মাসে খাদ্য বহির্ভূত উপখাতেও মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ হয়েছে। জুন মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর মূল্য ও মজুরি উইংয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বিবিএস মূলত সারাদেশের নির্ধারিত বাজারগুলো থেকে নির্ধারিত পণ্য ও সেবার মূল্য সংগ্রহ করে। কী কারণে বেড়েছে বা কমেছে সে ব্যখ্যা বিবিএস দেয় না।
তিনি বলেন, “তবে গত মাসে ছাত্র বিক্ষোভের কারণে দেশের সকল ধরনের পরিবহণ ও পণ্যের জোগান চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। মূলত যোগাযোগ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় দেশে বিশেষ করে খাদ্য পণ্যের দাম বেড়েছে। এর ফলে মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে।”