Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা চালাত তথ্য কমিশন : টিআইবি

SS-TIB-logo-190524-qoeahhfo61o5394f5tgp75slrmoxbre7ui3tlzkcuw
[publishpress_authors_box]

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তথ্য কমিশন দলীয় ক্যাডারের মাধ্যমে পরিচালিত হতো বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে ‘তথ্য কমিশনের কার্যকারিতা ও তথ্য অধিকার আইনের সংশোধনী’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তথ্য কমিশনের একেবারে নেতৃত্ব পর্যায়ে ছিল দলীয় ক্যাডাররা। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এই অবস্থা হবে না, সেটা আমরা আশা করতেই পারি।”

ছয় মাসের বেশি সময় ধরে তথ্য কমিশন না থাকার দায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর বর্তায় মন্তব্য করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “একটি দেশে আইনগতভাবে একটি তথ্য কমিশন থাকার কথা, যা ৬ মাস ধরে নেই। এর মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো।

“কমিশন যে নেই, তা সরকারের অজানা নয়। কমিশন গঠনের দায়িত্ব যে সরকারের, সেটাও সরকারের অজানা নয়।”

প্রক্রিয়া পরিবর্তনের লক্ষ্যে সংস্কার কার্যক্রম চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ সংস্কার নির্দিষ্ট সময়ে হবে। কিন্তু তার আগেই দুর্নীতি দমন কমিশন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠিত হয়েছে বিদ্যমান আইনে।

“কেন তথ্য কমিশন গঠন হলো না, সেই প্রশ্নের জবাব সরকারকে দিতে হবে। অনতিবিলম্বে সেই দায়িত্ব সরকারের পালন করা উচিত। তথ্য কমিশনে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে, যাদের পেশাগত জীবনে আর যাই হোক তথ্য প্রকাশের পরিপন্থী অবস্থান নেই।”

সংবাদ সম্মেলনে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য দিতে বাধ্য। এজন্য লড়াই করতে হবে। তারা যে তথ্য দিচ্ছে না, তা প্রকাশ হতে হবে।

“যেগুলো ইসিতে থাকে সেগুলোর সব তথ্যই পাবলিক ইনফরমেশন। তারা এটা দিতে বাধ্য। শুধু ইসি নয়, কোথাও কোথাও হলফনামা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে আইনের পরিপন্থী।”

কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি ও দুর্নীতি হ্রাস করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দেশে গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য তথ্য কমিশন যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে তথ্য কমিশনকে একটি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাবও করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্যে মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের (এমআরডিআই) নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান বলেন, “তথ্য কমিশন একটি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা হবে এবং এর স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকবে।”

যোগ্য তথ্য কমিশন গঠন সম্পর্কে হাসিবুর রহমান বলেন, “সংসদ কার্যকর থাকাকালীন অবস্থায় কমিশনে স্পিকার মনোনীত সরকারি দলের একজন এবং বিরোধী দলের একজন সংসদ সদস্য থাকবে।

“তবে সংসদ কার্যকর না থাকলে বাছাই কমিটির সভাপতি মনোনীত একজন বিচারপতি ও তথ্য অধিকার ফোরাম মনোনীত একজন প্রতিনিধি থাকবে।”

এছাড়া পদ শূন্য হলে সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে প্রধান তথ্য কমিশনার নিয়োগ এবং তথ্য কমিশনারদের পদমর্যাদা, পারিশ্রমিক ও সুবিধা, তাদের অপসারণের কারণ ও পদ্ধতি একজন বিচারক অপসারণের নিয়মের অনুরূপ করার প্রস্তাব করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত