Beta
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

জনগণের দৃষ্টি সরাতেই জামায়াত নিষিদ্ধের উদ্যোগ : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
[publishpress_authors_box]

কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরাতেই সরকার জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের বিষয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সরকার একটা ইস্যু তৈরি করে সেই ইস্যুকে ডাইভারশনের দিকে নিয়ে যায়। এখন আবার এটাকে ভিন্ন দিকে নিতে এটি তাদের আরেকটি প্রজেক্ট।”

চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, “আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। পাকিস্তান আমলে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বাম রাজনীতি যারা করতেন মির্জা গোলাম হাফিজ থেকে শুরু করে, হাজী মোহাম্মদ দানেশ থেকে শুরু করে তারা সবাই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

“যারা স্বৈরাচারী, যাদের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে না তারা এই ধরনের সিদ্ধান্ত বহু নিয়েছে এবং এগুলো তাদের নিতে হয় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে।”

এই সিদ্ধান্ত কেন এতদিন পর নেওয়া হলো বা এখন নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে অনেকের অনেক যুক্তি থাকতে পারে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, “তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা খুব পরিস্কার করে বলি যে, আমরা বিশ্বাস করি বহুদলীয় গণতন্ত্রে। আমরা বিশ্বাস করি যারা যারা এখানে রাজনীতি করে তাদের অধিকার আছে রাজনীতি করার।”

কার রাজনীতি গ্রহণ করবে আর কার রাজনীতি গ্রহণ করবে না সেটা জনগণই ঠিক করবে বলে মনে করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

তিনি বলেন, “এখন দরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচন, অবাধ নির্বাচন। আজকে যে এত ক্রাইসিস, এর মূলে হচ্ছে এদেশে কোনও প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার নেই। প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার না হলে তো এই সমস্যার সমাধান হবে না। জনগণের প্রতিনিধি দরকার এবং জনগণের কাছে যাদের জবাবদিহিতা থাকবে, দায়-দায়িত্ব থাকবে, তা না হলে এটা সম্ভব না।”

বর্তমান সরকারের জবাবদিহিতা নেই, বৈধতা নেই অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এখন যেভাবে ডিবি অফিসে ছাত্রদের নিয়ে গিয়ে বলানো হচ্ছে সেই একইভাবে কৌশল করে তারা বিভিন্ন নির্বাচনের বৈতরণী পার হয়েছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এদেশে জঙ্গিবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে আওয়ামী লীগ। এই সরকার পরিকল্পিভাবে এদেশে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। এর বেশি কিছু আমার বলার নেই।”

এর আগে সোমবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক থেকে সর্বসম্মতভাবে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আানিসুল হকও  জানান, সরকার নির্বাহী আদেশে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএনপির জাতীয় ঐক্যে জামায়াতের সম্মতি

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, বিএনপির ডাকা জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে তাদের সম্মতি রয়েছে।

গত শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সেই ঐক্যেই সম্পৃক্ত হওয়ার সম্মতি জানিয়ে বিবৃতি দিল জামায়াত।

দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুজিবুল আলমের সই করা বিবৃতিতে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম বলেন, “বিএনপির মহাসচিব সরকার পতনের দাবিতে সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য যে ‘জাতীয় ঐক্যের’ আহ্বান জানিয়েছেন তাকে সাধুবাধ জানাই এবং জাতীয় ঐক্যে সম্পৃক্ত হওয়ার সম্মতি জানাচ্ছি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত