পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্কের জন্য ২১ নভেম্বর তারিখ ঠিক করেছে আদালত। এই মামলার আসামির তালিকায় রয়েছে দুবাইয়ে পালিয়ে থাকা আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের নাম।
বর্তমানে এই নামে পরিচিত হলেও অবশ্য তার আসল নাম রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লা। মূলত মামুন ইমরান হত্যা মামলা হওয়ার পর ভারতে পালিয়ে যান তিনি, সেখানে গিয়ে আরাভ খান নাম ধারণ করেন। পরবর্তীতে এই নামেই ভারতের নাগরিকত্ব নেন।
সোমবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে ছিল আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানি।
আরাভ খানের আইনজীবী রুহুল আমিন জানান, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২১ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন বিচারক। যুক্তিতর্ক শেষ হলে রায় ঘোষণা করা হবে।
এই মামলার ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আরাভ ওরফে রবিউলের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া (২১), নিহত পুলিশ সদস্য মামুন ইমরানের বন্ধু রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১), সারোয়ার হোসেন (২৩) এবং ১৬ বছর বয়সী দুই কিশোরী।
আসামিদের মধ্যে আরাভ ওরফে রবিউল ও সুরাইয়া পলাতক। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় দুই কিশোরী জামিনে রয়েছে, যাদের বিচার হচ্ছে শিশু আদালতে। বাকি আসামিরা কারাগারেই রয়েছেন।
২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল সিএমএম আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান।
এর আগে ২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের জঙ্গল থেকে পরিদর্শক মামুন ইমরান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় তার ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে ঢাকার বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
