Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কলাম

নতুন সরকারকে অনেক বড় কিছু করে দেখাতে হবে

চিররঞ্জন সরকার। প্রতিকৃতি অঙ্কন: সব্যসাচী মজুমদার।

ছাত্র জনতার অবিস্মরণীয় গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শান্তিতে নোবেলজয়ী নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতের ঘটনাকে ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান, অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস যাকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ যাকে ‘প্রধান শত্রু’ হিসেবে বিবেচনা করত। তিনি এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

আপাতত ১৭ জন উপদেষ্টা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার যাত্রা শুরু করেছে। এর মধ্যে দুজন আছেন ছাত্র-প্রতিনিধি। যারা সম্প্রতি ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিলেন। এমন তরুণদের রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক। আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বয়সের দোহাই দিয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তরুণদের উপেক্ষা করা হয়, সরিয়ে দেওয়া হয়। এবার সেই প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে দুইজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ভাবনা-চিন্তার প্রতিফলন তাদের মাধ্যমে হবে বলে আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছে।

দেশের চরমক্রান্তিকালে যারা দেশের মানুষের স্বপ্নপূরণ ও রাষ্ট্র-মেরামতের মহান দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন, সেই উপদেষ্টা পরিষদে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্ব আছে, বৈচিত্র আছে। এখন প্রয়োজন যত শিগগরি সম্ভব প্রায় অচল হয়ে পড়া রাষ্ট্রযন্ত্রটিকে সচল ও গতিশীল করা। সকলের সহযোগিতা নিয়ে শক্তহাতে সরকারের হাল ধরা।

পুলিশকে কাজে ফিরিয়ে আনতে হবে। পুলিশ যেন নির্ভয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে, এ জন্য প্রশাসনিক সহায়তার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশের প্রতি সংবেদনশীল হতে হবে। সংস্কারের পাশাপাশি পুলিশকে কাজে ফিরিয়ে আনা এই মুহূর্তে প্রধান অগ্রাধিকার হতে হবে।

বর্তমান সরকারকে অনেক বড় কিছু করে দেখাতে হবে। রাষ্ট্রের সবখানে জমে আছে জঞ্জালের স্তূপ। সবার আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সক্রিয় করতে হবে। গত দুই সপ্তাহে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ এসেছে এক লাখের বেশি। গত ৫ই মে প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার পর সুযোগসন্ধানীরা অধিকতর তৎপর হয়ে ওঠে। উত্তেজিত জনতা থানা এবং পুলিশি স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করলে ঢাকাতেই অন্তত ৮০ পুলিশ সদস্য নিহত হন। প্রাণ বাঁচাতে আত্মগোপনে চলে যান পুলিশ সদস্যরা। আক্রান্ত হয় দেশের প্রায় ৪০০ থানা। বন্ধ হয়ে যায় থানার কার্যক্রম। এই সুযোগে বেপরোয়া হয়ে ওঠে পেশাদার অপরাধী ও মহলবিশেষ। এসব রুখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাড়া-মহল্লায় গড়ে তোলা হয়েছে ডাকাত প্রতিরোধ কমিটি। মসজিদে মসজিদে করা হচ্ছে মাইকিং। পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

থানাগুলোয় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর এখন যে অবস্থা, তাতে কার্যক্রম চালু করতে সময় লাগবে। মামলা নথিবদ্ধ করার কম্পিউটার, পুলিশ সদস্যদের যানবাহন, অস্ত্র ও রসদ সামগ্রী, চেয়ার ও টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাপপত্রের সমূহ ক্ষতি হয়েছে। অস্ত্র ও মালামাল লুটের ঘটনাও ঘটেছে। বর্তমানে থানাগুলো পাহারার দায়িত্ব পালন করছেন সেনা সদস্যরা। থানাগুলোকে যেকোনো মূল্যে দ্রুত সচল করতে হবে। পুলিশকে কাজে ফিরিয়ে আনতে হবে। পুলিশ যেন নির্ভয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে, এ জন্য প্রশাসনিক সহায়তার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশের প্রতি সংবেদনশীল হতে হবে। সংস্কারের পাশাপাশি পুলিশকে কাজে ফিরিয়ে আনা এই মুহূর্তে প্রধান অগ্রাধিকার হতে হবে।

একইসঙ্গে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেও উদ্যোগী হতে হবে। অর্থনীতির ‘হৃৎপিণ্ড’ হিসেবে পরিচিত দেশের ব্যাংক খাতে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয়ও হট্টগোল হচ্ছে। গভর্নরসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকেও শৃঙ্খলা ফেরেনি। সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে দেশের ব্যাংক খাতের অবস্থা এমনিতেই নাজুক। ঋণের নামে অর্থ লোপাটের কারণে বেশির ভাগ ব্যাংকের ভিত একেবারেই দুর্বল হয়ে গেছে। আতঙ্কিত গ্রাহক আমানতের টাকা তুলে নিতে শুরু করলে দেশের অনেক ব্যাংকই দেউলিয়া হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে নতুন সরকারের প্রধান দায়িত্ব হবে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো। সুযোগসন্ধানীরা ইতিমধ্যেই ব্যাংক দখলের চেষ্টা করছেন। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। যেসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে, সেসব ব্যাংকে জরুরি ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা যেতে পারে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিয়ে যত শিগগিরি সম্ভব শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেই শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। এমনিতেই শিক্ষার্থীদের সীমাহীন ক্ষতি হয়ে গেছে। এই ক্ষতি আর বাড়তে দেওয়া যাবে না।

বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ যেন ব্যাংক থেকে সরাতে না পারে সেজন্য কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে। সন্দেহজনক লেনদেন বা অর্থ উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন স্থগিত করতে হবে। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে কারও টাকা সরানোর সহযোগিতার প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিয়ে যত শিগগিরি সম্ভব শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেই শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। এমনিতেই শিক্ষার্থীদের সীমাহীন ক্ষতি হয়ে গেছে। এই ক্ষতি আর বাড়তে দেওয়া যাবে না। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক-সবাই মিলে পারস্পরিক সহযোগিতা ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হবে।

সমাজের সবখানে নিরাপত্তা ও আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। গত কয়েক দিনের সহিংসতায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের আরো বড় ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। গত মঙ্গলবার থেকে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ও অফিস-আদালত চালু হলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। একইভাবে নিরাপত্তাঝুঁকিতে শিল্প-কারখানা পুরোপুরি চালু করা যায়নি। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য খালাস ও কাস্টমসের কার্যক্রমে রয়েছে ধীরগতি। এ কারণে ব্যাহত হচ্ছে বাণিজ্য। এগুলো আগামী রোববারের মধ্যে সচল ও সক্রিয় করতে হবে।

দীর্ঘদিন ক্ষমতা থেকে দূরে দলগুলোর নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে দখল, চাঁদাবাজি, হুমকি দেওয়া শুরু করেছে। এতে করে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। এক দলের ফ্যাসিবাদী আচরণ থেকে মুক্ত হতে না হতেই যদি অন্য দলের ফ্যাসিবাদী আচরণ শুরু হয়ে যায় তাহলে এত ত্যাগ, রক্ত ও আত্মদানের মাধ্যমে অর্জিত ছাত্রগণঅভ্যুত্থানের ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। যেকোনো মূল্যে রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

এদিকে কিছু দুষ্কৃতকারী ও ষড়যন্ত্রকারী বিভিন্ন স্থানে জনগণের জানমাল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানায় হামলা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতা থেকে দূরে দলগুলোর নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে দখল, চাঁদাবাজি, হুমকি দেওয়া শুরু করেছে। এতে করে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। এক দলের ফ্যাসিবাদী আচরণ থেকে মুক্ত হতে না হতেই যদি অন্য দলের ফ্যাসিবাদী আচরণ শুরু হয়ে যায় তাহলে এত ত্যাগ, রক্ত ও আত্মদানের মাধ্যমে অর্জিত ছাত্রগণঅভ্যুত্থানের ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। যেকোনো মূল্যে রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিভিন্ন পেশাজীবী গ্রুপগুলোতে নেতৃত্ব বদল শুরু হয়ে গেছে। একদল বিদায় হতে না হতেই আরেক দলের দাপট প্রদর্শন চলছে। প্রতিপক্ষকে হুমকি, মারধর, আক্রমণের ঘটনাও ঘটছে। দলবাজির খপ্পর থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মুক্ত রাখতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে যে দুর্নীতি, নির্যাতনের সংস্কৃতি এবং জনগণের সেবা না পাওয়ার ইতিহাস সেটা বদলাতে হবে। কোনো অনিয়ম হলে সেটার প্রতিকার যদি হয়, তাহলে মানুষের আস্থা ফিরবে। এক্ষেত্রে আগে সরকারের মানসিকতা পরিবর্তন জরুরি। সরকারের কর্তৃত্বপরায়ণ মনোভাব পরিবর্তন হলে বাহিনীর ভেতরেও সংস্কার আসবে। এসব বাহিনীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে।

এ পরিস্থিতিতে নতুন সরকারকে গণআস্থা ধরে রাখতে হলে শুরুতেই মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অর্থনীতির কিছু বিষয়ে এক ধরনের স্থিতিশীলতা আনতে হবে। মূল্যস্ফীতি কয়েকমাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে নামিয়ে আনতে হবে। মুদ্রা বিনিময় হারকে স্বাভাবিক করতে হবে, রিজার্ভ একটু বাড়াতে হবে। এগুলো দ্রুত করতে হবে। মানুষকে দ্রুত কিছু রেজাল্ট দেখাতে হবে।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারণে জনজীবনে ক্ষোভ-অসন্তোষ ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সব ধরনের মানুষের অংশ নেওয়ার পেছনে সেটাও একটা বড় কারণ। দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি ক্রমেই নিম্নমুখী, দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী, মূল্যস্ফীতি অসহনীয় অবস্থার দিকে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন সরকারকে গণআস্থা ধরে রাখতে হলে শুরুতেই মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অর্থনীতির কিছু বিষয়ে এক ধরনের স্থিতিশীলতা আনতে হবে। মূল্যস্ফীতি কয়েকমাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে নামিয়ে আনতে হবে। মুদ্রা বিনিময় হারকে স্বাভাবিক করতে হবে, রিজার্ভ একটু বাড়াতে হবে। এগুলো দ্রুত করতে হবে। মানুষকে দ্রুত কিছু রেজাল্ট দেখাতে হবে। পশ্চিমের অনেক দেশই ছয় মাসের মধ্যেই ইনফ্লেশন দশ-বারো শতাংশ থেকে তিন শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছে। আমাদের এখানেও সম্ভব। আমরা এতদিন প্রয়াজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারিনি বলেই হয়নি। এখানে মুদ্রার হার বাজারভিত্তিক রাখতে হবে, টাকা ছাপিয়ে সরকারের ব্যয় মেটানো যাবে না, টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে সাপোর্ট দেওয়া যাবে না।

চাঁদাবাজি, ঘুষ, দুর্নীতি এবং টাকা পাচার ঠেকাতে পারলে আমাদের দেশ এমনিতেই অনেকখানি এগিয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে যে, এই সরকারকে ঘিরে মানুষের অনেক প্রত্যাশা। এই প্রত্যাশা পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। ধাপে ধাপে জনপ্রত্যাশা পূরণ করে সরকার নতুন ইতিহাস রচনা করবে বলেই দেশের মানুষ আশা করে।

লেখক: লেখক ও কলামিস্ট।
ইমেইল: [email protected]

ad

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত