ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ছে। ১৭ জনের সঙ্গে আর কারা যুক্ত হচ্ছে, তা জানা যায়নি।
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কার্যসূচিতে শুক্রবার নতুন উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠান রয়েছে। বিকাল ৪টায় এই অনুষ্ঠান হবে।
তবে কয়জন কিংবা কারা এবার শপথ নিতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু লেখা হয়নি।
সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরকে পাঁচটি গাড়ি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে, প্রথম আলোয় এই খবর দেখে ধারণা করা হচ্ছে যে নতুন পাঁচজন উপদেষ্টা শপথ নিতে পারেন।
তবে যেহেতু এধরনের ক্ষেত্রে সব সময় অতিরিক্ত গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়, ফলে গাড়ির সংখ্যা দিয়েও নতুন উপদেষ্টার সংখ্যা বোঝা যাচ্ছে না।
সংবাদমাধ্যমে এরই মধ্যে সম্ভাব্য নতুন উপদেষ্টা হিসাবে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নাম এসেছে। তবে কোনও সূত্রে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের তিন দিন পর গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
সেদিন বঙ্গভবনে ইউনূসের সঙ্গে উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন ১৪ জন। এরপর ১১ আগস্ট দুজন এবং ১৩ আগস্ট একজন শপথ নেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের হাতে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা, সড়ক পরিবহন ও সেতু, খাদ্য, কৃষি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
অন্য উপদেষ্টাদের মধ্যে সালেহউদ্দিন আহমেদকে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, আসিফ নজরুলকে আইন, আদিলুর রহমান খানকে শিল্প, এ এফ হাসান আরিফকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, মো. তৌহিদ হোসেনকে পররাষ্ট্র, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, শারমিন এস মুরশিদকে সমাজকল্যাণ, ফারুক–ই–আজমকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র, সুপ্রদীপ চাকমাকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিধান রঞ্জন রায়কে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, আ ফ ম খালিদ হোসেনকে ধর্ম, ফরিদা আখতারকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, নুরজাহান বেগমকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, মো. নাহিদ ইসলামকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।