সংঘর্ষ চলাকালে পার্বত্য চট্টগ্রামে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকায় বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণপিটুনিতে মো. মামুন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়। এতে পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বসতবাড়ি, দোকানপাটে। সংঘর্ষে তিন পাহাড়ি নিহত হয়। আহত হয় অনেকে।
দীঘিনালায় সংঘাত পরদিন শুক্রবার সকালে রাঙামাটিতেও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানেও একজন নিহতের খবর পাওয়া যায়।
পার্বত্য এলাকায় দুদিন ধরে সংঘাত চলাকালে সেখানে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়- এমন অভিযোগ সোশাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা তোলে।
এরই প্রতিক্রিয়ায় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম বা পার্বত্য এলাকার কোথাও সরকারিভাবে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করার কথা সত্য নয়। কোথাও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয়নি।
“কোথাও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা দীর্ঘদিনের। আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা অভ্যন্তরীণভাবে সমাধান করতে হবে।”
“দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। তবে বাংলাদেশের মানুষ সতর্ক রয়েছে,” যোগ করেন তিনি।
ফেনীর বন্যা প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, “বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। প্রতি বছর বন্যার আশঙ্কা থাকে। ক্ষয়ক্ষতি কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, বাঁধগুলো স্থায়ী করা যায় কি না, এসব নিয়ে ভাবতে হবে।
“বন্যা মোকাবেলায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। এখন পুনর্বাসন কার্যক্রম কীভাবে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রাথমিকভাবে গৃহনির্মাণের চাহিদা এবং শিক্ষা উপকরণের ক্ষতির তথ্য নিশ্চিত করে দ্রুত সেসব সরবরাহ করতে হবে।” বাসস।