দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে মন্দা চলছে। ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারী হতাশ। অনেক বিনিয়োগকারী বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
অথচ এই মন্দা পুঁজিবাজার চাঙা করতে কোনও সুখবর নেই অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রস্তাবিত বাজেটে। উল্টো মূলধনি মুনাফা বা ক্যাপিটাল গেইনের ওপর কর বসানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন, তাতে নতুন করে মূলধনি মুনাফার ওপর করারোপের এ প্রস্তাব করেছেন।
যদিও বাজেটের আগে থেকেই দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জসহ (ডিএসই) বাজারসংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দাবি ছিল, ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে নতুন করে যেন করারোপ করা না হয়। কিন্তু সেই দাবি শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়নি।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেটে প্রস্তাব করেছেন, ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত মূলধনি মুনাফায় কোনও কর বসবে না। তবে ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করলে তার ওপর কর দিতে হবে।
উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, সেকেন্ডারি বাজারে শেয়ার লেনদেন করে কোনও বিনিয়োগকারী এক বছরে ৫৫ লাখ টাকা মুনাফা করেছেন। সেক্ষেত্রে মুনাফার ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধার আওতায় থাকবে। বাকি ৫ লাখ টাকা মুনাফা ওই বিনিয়োগকারীর মোট আয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে।
তাতে ওই বিনিয়োগকারীর নির্দিষ্ট একটি অর্থবছরে তার মোট আয়ের ওপর যে হারে কর প্রযোজ্য হবে, সেই হারে কর দিতে হবে। তবে কোনও বিনিয়োগকারী যদি কোনও শেয়ার একটানা ৫ বছর ধরে রেখে ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করেন, সেক্ষেত্রে ওই মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ হারে করারোপ হবে।