Beta
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

ইরান শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তি নয়, পাশ্চাত্যের মাথাব্যথার কারণ

এম হুমায়ুন কবির। প্রতিকৃতি অঙ্কন: সব্যসাচী মজুমদার

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ আরও কয়েকজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এটা একটা বড় ধরনের শোকের ঘটনা ঘটেছে। ইরানের সরকার ও জনগণ যথাযথভাবেই পাঁচদিনের শোক পালন করছে।

কোনও সন্দেহ নেই যে, একটি দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা যখন দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুবরণ করেন তখন সেটা সবার কাছেই বড় ধরনের আঘাত হিসেবে পরিগণিত হয়। সেই বিবেচনায় একজন মানুষ হিসেবে দেশ-বিদেশ নির্বিশেষে এ ধরনের মৃত্যুর জন্য আমরা সবাই দুঃখিত। আমার ধারণা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও মানুষজনও দুঃখিত। বাংলাদেশের দিকে থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও তাদের শোকবার্তা পাঠিয়েছেন— সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

যেহেতু দেশটা ইরান সেহেতু এই ঘটনাটা ব্যক্তিগতভাবে বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সরকার প্রধান হিসেবে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানের মৃত্যু ব্যক্তিগত ঘটনার বাইরে বড় ধরনের প্রেক্ষাপটেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিকালের ঘটনাপ্রবাহের কারণে বিশেষ করে চলমান গাজা যুদ্ধে ইরানের অবস্থান সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে পারষ্পরিকভাবে অন্যদেশের ওপর সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা— এই তিনটি দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এসব দিক বিচার-বিবেচনা করে কয়েকটি বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করা যেতে পারে।

ইরানের নীতি কাঠামো বা রাজনৈতিক ব্যবস্থা দেখলে এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছেই সর্বময় ক্ষমতা— তিনিই সব সিদ্ধান্ত নেন। সেই ক্ষেত্রে এ দুর্ঘটনার পর পরই তিনি ঘোষণা করেছেন, ইরানের নীতির কোনও ধরনের ছেদ ঘটবে না, বাইরের বিশ্বের সঙ্গে তাদের যেমন সম্পর্ক আছে তেমনই চলমান থাকবে।

এর অর্থ হচ্ছে, সম্ভাব্য মানুষের কাছে এই ধারণা যেন না জন্মায়— এই ধরনের ঘটনার ফলে দেশটিতে বড় ধরনের কোনও রাজনৈতিক পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ আছে কিনা— সেটাকে তিনি প্রত্যাখান করে দিয়ে চলমান নীতিমালাটা বজায় রাখবেন। এ ঘোষণাও তিনি দিয়েছেন।

ইরানের রাষ্ট্রপতির পদটি অনেকটা আলংকরিক পদ। কাজেই সেক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে প্রেসিডেন্ট রাইসির বিদায় একটি শূন্যতা তৈরি করলো। কিন্তু তাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে কোনও বড় ধরনের পরিবর্তন আসেনি। এই কারণেই আমার ধারণা যে, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যে কথা বলেছেন সেটা বাস্তবানুগ। তবে কথা হবে— আলোচনা হচ্ছে।

তারপরও অনেকগুলো বিষয় যেমন— এই দুর্ঘটনার কারণটা কী— এটা নিয়ে অনেকেই কিন্তু বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে দেখছেন। এটা একটা ষড়যন্ত্র হতে পারে এরকম একটা ধারণাও কিন্তু দানা বাঁধছে।

ইরানের নীতি কাঠামো বা রাজনৈতিক ব্যবস্থা দেখলে এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছেই সর্বময় ক্ষমতা— তিনিই সব সিদ্ধান্ত নেন। সেই ক্ষেত্রে এ দুর্ঘটনার পর পরই তিনি ঘোষণা করেছেন, ইরানের নীতির কোনও ধরনের ছেদ ঘটবে না, বাইরের বিশ্বের সঙ্গে তাদের যেমন সম্পর্ক আছে তেমনই চলমান থাকবে।

বাস্তব অবস্থা হলো যে, যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনও সঠিক তথ্য-উপাত্ত না পাওয়া যায় ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসা মুশকিল বা সম্ভব নয়। তবে সিদ্ধান্তে আসার সহায়ক উপাদান হতে পারে ব্ল্যাক বক্স, ফ্লাইট রেকর্ডার বা বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার। সেটা পাওয়ার পর বোঝা যাবে কী কারণে এই ঘটনাটা ঘটেছিল।

এসব না পর্যন্ত আমরা এটাকে দুর্ঘটনা হিসেবেই গ্রহণ করতে পারি। একইসঙ্গে কেউ যদি বলে এটা ষড়যন্ত্র— সেটাকেও আমরা একেবারে উড়িয়ে দিব, সেটাও বলা যাচ্ছে না। কাজেই আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরে নিই এটা একটা দুর্ঘটনা। এখন যদি ধরেন, এটা দুর্ঘটনা না হয়ে নাশকতা হয়ে থাকে, তাহলে কী দাঁড়াবে? সেখানে পাল্টা কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে?

এখানে একটা বিষয় লক্ষণীয়, ইরান ইসলামিক প্রজাতন্ত্র হলেও অনেকে মনে করেন ইরানের নীতিমালা কট্টরপন্থী। তবে তারা অন্যদিক থেকে যথেষ্ট বাস্তববাদী। কারণ আমরা যদি সাম্প্রতিক মাসগুলোতেই লক্ষ করি, মধ্যপ্রাচ্যের চলমান এত উত্তেজনার মধ্যেও ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা বজায় রেখেছে।

এছাড়া গাজা ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন— এসব দেশগুলোতে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আছে। তারা কিন্তু বেশ সক্রিয়। এই গাজা যুদ্ধের সময়েও আমরা দেখতে পাচ্ছি, হুতিরা ইয়েমেন থেকে সক্রিয়, হিযবুল্লাহরা লেবানন থেকে সক্রিয়। গাজায় হামাস বিদ্রোহ-ই করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যে এসব গোষ্ঠীগুলোকে ইরান সমর্থন দিলেও গাজা যুদ্ধ পুরো অঞ্চলকে গ্রাস করে ফেলুক— এটা কিন্তু ইরান কখনো চায়নি। সেটা চায়নি বলেইতো আমরা যদি লক্ষ্য করি, ইসরায়েল যখন সিরিয়াতে ইরানি কনসুলেটে আক্রমণ করে আটজন সিনিয়র সামরিক কর্মকতাকে নিহত করলো, তার বিপরীতে ইরান পাল্টা সামরিক ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ করে। কিন্তু সেই আক্রমণটাও ক্ষতি করার চাইতে বার্তা পাঠানোটাই প্রধান উদ্দেশ্য বলে অনেকে মনে করেন।

একইভাবে ইসরায়েলও যখন পাল্টা ইরানের ইস্পাহান শহরে আক্রমণ করে তখনও কিন্তু তারাও সংযতভাবেই কাজটা করেছে। তার অর্থ হলো— ইসরায়েল-ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র তারা পারষ্পরিকভাবে এক ধরনের সমঝোতার মধ্যে কাজটা করছে। যাতে করে পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রেণের বাইরে না চলে যায়।

মধ্যপ্রাচ্যে এসব গোষ্ঠীগুলোকে ইরান সমর্থন দিলেও গাজা যুদ্ধ পুরো অঞ্চলকে গ্রাস করে ফেলুক— এটা কিন্তু ইরান কখনো চায়নি। সেটা চায়নি বলেইতো আমরা যদি লক্ষ্য করি, ইসরায়েল যখন সিরিয়াতে ইরানি কনসুলেটে আক্রমণ করে আটজন সিনিয়র সামরিক কর্মকতাকে নিহত করলো, তার বিপরীতে ইরান পাল্টা সামরিক ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ করে। কিন্তু সেই আক্রমণটাও ক্ষতি করার চাইতে বার্তা পাঠানোটাই প্রধান উদ্দেশ্য বলে অনেকে মনে করেন।

আমরা ধারণা, ইরানের এখনকার নেতৃবৃন্দ এবং প্রেসিডেন্ট রাইসির অনুপস্থিতিতে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হয়েছেন মোহাম্মদ মোখবার, তিনিও সম্ভবত একই নীতিমালা চলমান রাখবেন। এতে মধ্যপ্রাচ্যে গাজা বলেন বা অন্যান্য জায়গা বলেন সেক্ষেত্রে এখন যে উত্তেজনা ও যুদ্ধাবস্থা আছে সেটা একইরকম থাকবে। এর ফলে এখন পর্যন্ত গুণগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ইরান এবং দেশটিতে এখন যারা ক্ষমতায় আছে তাদেরকে বলা হয় কট্টরপন্থী। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ইরানের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থটা আমরা দেখি তাহলে তার আর অন্য কোনওদিকে যাওয়া সুযোগ খুব একটা নেই।

২০১৫ সালে নিউক্লিয়ার চুক্তির মধ্য দিয়ে পাশ্চাত্য জগত ইরানের সঙ্গে একটা সমঝোতায় এসেছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন এসে সেই সমঝোতাটা ভেঙে ফেলেছে এককভাবে। ইরান নয়— যুক্তরাষ্ট্রই সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে। ফলে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের যে নীতি ট্রাম্প প্রশাসন নিয়েছিল সেটা দিয়ে কিন্তু ইরানের ওপর হামলায় জেনারেল কাসেম সোলেইমানির মৃত্যু হয়েছে।

এ আক্রমণ ও হতাহতের ঘটনায় ইরানের কট্টরপন্থীরা শক্তিশালীই হয়েছে। আর কোনও ব্যবস্থাও তাদের সামনে খোলা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রও এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্য ইরানকে কোনও সাহায্য করেনি— এখন পর্যন্তও সেটি দৃশ্যমান নয়।

অতি সম্প্রতিও আমরা দেখলাম, চীনের সমঝোতায় সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের বৈঠক হলো। আবার সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীন সফর করলেন। শি জিনপিং তাকে রাষ্ট্রীয় বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। রাশিয়াও ইরানের মিত্রশক্তি হিসেবে কাজ করছে। এটা খুবই একটি মজার বিষয়।

ইরানকে আমরা মধ্যপ্রাচ্যের একটি শক্তি হিসেবে ধরে নিই। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতি বা কূটনীতিতে বেশ কৌশলে তারা তাদের অবস্থান প্রসারিত করে যাচ্ছে। এর একটা দৃষ্টান্ত হচ্ছে, রাশিয়া ইউক্রেনে যে ড্রোনগুলো ব্যবহার করছে সেগুলো কিন্তু ইরান সরবরাহ করছে। তাহলে কী দাঁড়ালো?

ইরান শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তি নয়। তারা চেষ্টা করছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে দিতে। তাদের এই প্রচেষ্টা অনেকাংশে সফলও হয়েছে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ইরাক আক্রমণ করা। তারপর থেকে কিন্তু লক্ষ্য করা যাবে যে, গত ৭০-৮০ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র বড় শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র যে জায়গায় স্থাপন করে রেখেছিল আজকে কিন্তু দেশটি সেই জায়গায় নেই।

ইরান শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে গিয়ে ইউরোপীয় রাজনীতি বা কৌশলগত জায়গাতেও কিন্তু তারা তাদের অবস্থান ঘোষণা করেছে। এখন রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের যে সম্পর্ক বা চীনের সঙ্গে ইরানের যে সম্পর্ক সেটা কিন্তু এখন গুরু-শিষ্য পর্যায়ে নেই আর। প্রায় সমঅবস্থান থেকে তারা তাদের সম্পর্ক বজায় রাখছে।

বলা চলে, চীন-রাশিয়া-ইরান এবং উত্তর কোরিয়া— একটা অলিখিত চুক্তি একসঙ্গে কাজ করছে। এটা শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়— ইউরোপিয়ান থিয়েটারেও কাজ করছে। ইরানের এখন যে ড্রোন প্রযুক্তি বা তার যে সামরিক সক্ষমতা আছে— সেটা কিন্তু এখন ইরান বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু রপ্তানি করছে।

ইরান শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তি নয়। তারা চেষ্টা করছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে দিতে। তাদের এই প্রচেষ্টা অনেকাংশে সফলও হয়েছে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ইরাক আক্রমণ করার পর থেকে কিন্তু লক্ষ্য করা যাবে যে, গত ৭০-৮০ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র বড় শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র যে জায়গায় স্থাপন করে রেখেছিল আজকে কিন্তু দেশটি সেই জায়গায় নেই।

এমন অবস্থার কারণে এখন যতটুকু শক্তিই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যে আছে সেটিও বজায় রাখতে তাকে ইরানের সঙ্গে অলিখিত সমঝোতা করতে হচ্ছে। নিউক্লিয়ার চুক্তিতে ইরানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল ছয়টি পরাশক্তি— রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি।

অর্থাৎ ইরান ছোট দেশ হলেও তার কৌশলগত সক্ষমতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সারা বিশ্বে ইরানকে নিয়ে ভাবতে হচ্ছে— ইরান কী পদক্ষেপ নিবে সেটাও সকলকে চিন্তা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের জেরবার হয়ে যাচ্ছে। সেখানেও কিন্তু ইরানের অবস্থান লক্ষ্যণীয়।

ইরান শুধু মধ্যপ্রাচ্যের জন্য নয়, পাশ্চাত্যের জন্যও মাথাব্যথার কারণ হয়ে আছে। ইরান যা দেখিয়ে যাচ্ছে, সেটা আসলে কূটনৈতিক কৌশলগত সক্ষমতা। ফলে ইরানের নীতির কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করছি না। ইরান-সৌদিআরব সম্পর্ক যথেষ্ট স্বাভাবিক করেছে— পাশ্চাত্য বিশ্ব যতই ভিন্ন কিছু প্রচার করুক না কেন।   

লেখক: সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট।

ad

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত