Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

তেহরানে রাইসিকে শেষ শ্রদ্ধা, দাফন বৃহস্পতিবার

Raisi_Funeral
[publishpress_authors_box]

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ও তাদের সঙ্গে নিহত অন্যদের বুধবার তেহরানে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

এর আগে সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

ইরানের সংবাদ সংস্থা তাসনিমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানাজার পর শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাদের লাশ স্বাধীনতা চত্বরে নেওয়া হয়। এ সময় মাতমসহ শোক মিছিল করে হাজার হাজার মানুষ।

এর আগে মঙ্গলবার তাবরিজ ও কোম শহরেও তাদের জানাজা হয়। পরে রাতে মরদেহগুলো তেহরানে নেওয়া হয়।

রাইসির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে বুধবার বিকালে তেহরানে এক অনুষ্ঠানেও ৪০ জনের বেশি উচ্চ-পদস্থ বিদেশি প্রতিনিধি অংশ নেন। সেখানে ১০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, ২০টি দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের সংসদের স্পিকার ও বিশেষ দূতরা উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে দাফন করা হবে ইব্রাহিম রাইসিকে। ওই শহরেই জন্ম হয়েছিল রাইসির। শিয়াদের ইমাম রেজা (আ.) এর মাজারও সেখানে।

গত রবিবার আজারবাইজান সীমান্তবর্তী ইরানের পূর্ব-আজারবাইজান প্রদেশে দুটি জলাধার ও বাঁধ প্রকল্পের উদ্বেধন করতে গিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

উদ্বোধন শেষে প্রদেশটির রাজধানী তাবরিজে ফেরার পথে বৈরি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি।

ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে সামনে এগোতে না পেরে হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণের চেষ্টা করলে সেটি একটি পাহাড়ি বন এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে রাইসি ও তার সহযাত্রীদের সবাই মারা যান।

পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জলফা ও ভার্জাঘানের মাঝে অবস্থিত সুঙ্গুন নামের তামার খনির কাছের এক পাহাড়ি বনে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। স্থানটি ইরানের অন্যতম বড় শহর তাবরিজ থেকে ৭০-১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

হেলিকপ্টারটিতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব-আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রাহমাতি এবং প্রদেশটিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র ইমাম আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম, প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি ও দুই পাইলটসহ মোট ৯ জন আরোহী ছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত