নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই ইরানে হচ্ছে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
গত মাসে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হওয়ায় এক বছর আগেই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ইরানিরা।
এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন চারজন— মোহাম্মদ বাঘার ঘালিবাফ, সাঈদ জালিলি, মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি।
অপর দুই রক্ষণশীল প্রার্থী, আমির-হোসেন কাজিজাদেহ হাশেমি ও আলিরেজা জাকানি তাদের রাজনৈতিক শিবিরে ভোট বিভক্তি এড়াতে বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ান।
ইরানের ৬ কোটি ৪০ লাখ ভোটার এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য। এদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ। ফলে এবারের নির্বাচনে তরুণদের ভোট প্রার্থীদের জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবে। ২০২১ সালের নির্বাচনের সময় দেশটিতে ভোটার ছিল ৫ কোটি ৯৩ লাখ।
বিদেশে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ইরানিও বিভিন্ন দেশে স্থাপিত ৩৪৪ মনোনীত ভোট কেন্দ্রের মাধ্যমে শুক্রবারের নির্বাচনে তাদের ভোট দেবেন।
ভোটগ্রহণ শেষ হলে শনিবার ফল ঘোষণা করা হবে। যদি চার প্রার্থীর মধ্যে কেউ ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পান, তাহলে আগামী ৫ জুলাই দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ হবে। এই ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে প্রথম ধাপে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে।
নির্বাচনের আগের জনমত জরিপে দেখা গেছে, ঘালিবাফ, পেজেশকিয়ান ও জালিলি এই তিনজনের মধ্যেই লড়াই হবে। ঘালিবাফ এবং জালিলি রক্ষণশীল শিবির থেকে প্রার্থী হয়েছেন। আর মাসুদ পেজেশকিয়ান একমাত্র সংস্কারবাদী প্রার্থী।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বার্তায় দেশের সবাইকে ভোট দিতে আহ্বান জানান।
২০২১ সালে প্রধান প্রার্থীদের অযোগ্য ঘোষণা করায় সংস্কারপন্থীরা কার্যত নির্বাচন বর্জন করেছিল। তবে এবার সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামিসহ শীর্ষ সংস্কারবাদী নেতারা জনগণকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪৯ শতাংশ। এটি ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পর সর্বনিম্ন। সংস্কারপন্থীরা ভোট বর্জন করায় গত নির্বাচনে রক্ষণশীল প্রার্থী ইব্রাহিম রাইসি বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন। এর আগে সর্বনিম্ন ভোটার উপস্থিতি ছিল ১৯৯৩ সালে, ৫০ দশমিক ৬ শতাংশ।
তথ্যসূত্র: আনাদুলু এজেন্সি