Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

ইসরায়েলে ‘সরাসরি হামলার নির্দেশ’ ইরানের সর্বোচ্চ নেতার

হামলায় নিহত হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার ছবি হাতে এক নারী। বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি চত্বর থেকে তোলা ছবি - নিউইয়র্ক টাইমস
হামলায় নিহত হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার ছবি হাতে এক নারী। বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি চত্বর থেকে তোলা ছবি - নিউইয়র্ক টাইমস
[publishpress_authors_box]

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।

দেশটির তিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার সকালে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে খামেনি এই নির্দেশ দেন।

তেহরানে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার বদলা হিসেবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানোর এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে ইরানের ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে যে তিন কর্মকর্তার বরাত দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ইরানের অভিজাত জাতীয় বিপ্লবী গার্ডের দুই সদস্যও রয়েছেন উল্লেখ করে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার অনুমতি না থাকায় ওই তিন কর্মকর্তা তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া মঙ্গলবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরদিনই তেহরানের বাসভবনে হামলায় নিহত হন।

পরে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে আকস্মিক হামলা হয়। এতে হানিয়া ও তার এক দেহরক্ষী নিহত হন। তদন্তের পর হামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল বিবৃতিতে।

অন্যদিকে, সৌদি মিডিয়া আল হাদাছা জানায়, হানিয়ার বাসভবনে হামলায় ‘নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহার করা হয়।

ফার্স নিউজ জানায়, ‘আকাশ থেকে ছোড়া’ ক্ষেপণাস্ত্রে নিহত হয়েছেন হানিয়া। আর লেবাননের আল মায়াদিন মিডিয়া জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের বাইরে থেকে ছোড়া হয়েছে।

এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান ও হামাস। গাজায় হামাসের সঙ্গে প্রায় ১০ মাস ধরে যুদ্ধ চালিয়ে আসা ইসরায়েল হানিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার না করলেও অস্বীকারও করেনি।

বিদেশের মাটিতে নিজেদের শত্রুকে হত্যা করা ইসরায়েলের জন্য অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী ও সামরিক কমান্ডারদের ইসরায়েলের গুপ্ত হত্যার শিকার হওয়ার নজির রয়েছে।

গাজায় গত প্রায় ১০ মাস ধরে চলা যুদ্ধে ইরান তার আঞ্চলিক মিত্র ও সহযোগী বাহিনীগুলোর মাধ্যমে ইসরায়েলের ওপর চাপ অব্যাহত রাখলেও সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি।

মাঝে গত এপ্রিলে সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সাত সামরিক কমান্ডার নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধ হিসেবে ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুড়লে দেশ দুটির সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর শঙ্কা তৈরি হয়। পরে ইসরায়েল আর পাল্টা পদক্ষেপ না নেওয়ায় সেবার ঘটনা বেশিদূর এগোয়নি।

এবার হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জের ধরে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি ইসরায়েলে ‘সরাসরি হামলা চালানোর নির্দেশ’ দেওয়ায় আবারও দেশ দুটির সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হলো।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত