নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ড্রপ ইন পিচ নিয়ে বিতর্ক চলছে যথেষ্ট। এর মাঝে আইসিসি ঘোষণা দিয়েছে সেরা মাঠকর্মীদের নিয়ে ভালো পিচ উপহার দেওয়ার। সেই চেষ্টায় কিছুটা সফল তারা। আজ (শুক্রবার) আয়ারল্যান্ড-কানাডা ম্যাচে এই মাঠের ড্রপ ইন পিচে বাউন্সের উঠানামা থাকলেও বল ব্যাটে এসেছে। পেসারদের স্বর্গরাজ্যও হয়ে উঠেনি।
বদলে যাওয়া সেই পিচে আয়ারল্যান্ডকে ১২ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল কানাডা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নেওয়া কানাডার এটা প্রথম জয়। কানাডার ৭ উইকেটে ১৩৭ রানের জবাবে আয়ারল্যান্ড থামে ৭ উইকেটে ১২৫ রানে।
এই গ্রুপে আজ পাকিস্তানকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার জয়টাও অঘটনই। কারণ টেস্ট মর্যাদা পাওয়া আয়ারল্যান্ড টি-টোয়েন্টির প্রতিষ্ঠিত শক্তি। গত বিশ্বকাপে তারা হারিয়েছিল ইংল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সেই তাদের হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথম জয় পাওয়াটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে কানাডার জন্য।
১৩৮ রানের লক্ষ্যে আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও অ্যান্ডি বালবির্নি গড়েন ২৬ রানের জুটি। কানাডার কলিম সানা প্রথম ওভারের প্রথম চার বলের তিনটিই করেছিলেন ওয়াইড! তবে নিজের প্রথম ২ ওভারের স্পেল শেষ করেন ১৩ রানে।
৯ রান করা স্টার্লিংকে উইকেটের পেছনে মোভভভার ক্যাচ বানিয়ে ফেরান জার্মেই গর্ডন। এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আইরিশরা। বালবির্নি ১৭, টাকার ১০, টেক্টর ৫, ক্যাম্ফার ফেরেন ৪ রানে। ৫৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে আয়ারল্যান্ড।
তখনই প্রতিরোধ গড়েন জর্জ ডকরেল ও মার্ক অ্যাডায়ার। শেষ ৫ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ছিল ৬৪ রান। ডকরেল ও অ্যাডায়ার অবিচ্ছিন্ন থেকে শেষ দুই ওভারে ২৮ আর শেষ ওভারে লক্ষ্য কমিয়ে আনেন ১৭ রানে।
শেষ ওভারটা করতে আসেন জার্মেই গর্ডন। দ্বিতীয় বলে অ্যাডায়ারকে ফিরিয়ে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন তিনি। ২৪ বলে ৩৪ করেন অ্যাডায়ার। শেষ ওভারে মাত্র ৪ রানই নিতে পারে আয়ারল্যান্ড। ডকরেল অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৩০ রানে। ডকরেল ৪ ওভারে ১৬ রানে ২টি আর ডিলন হেইলিগার নেন ৪ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেট।
এর আগে ব্যাট করে কানাডা পায় ৭ উইকেটে ১৩৭ রানের পুঁজি। প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২০০ ছুঁই ছুঁই স্কোর করলেও শক্তিশালী আইরিশদের বিপক্ষে স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি ছোটাতে পারেননি তারা।
ব্যর্থ হয়েছে কানাডার টপঅর্ডার। প্রথম চার ব্যাটারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮ রান করেছিলেন পারগাত সিং। ৫৩ রানেই তারা হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। পঞ্চম উইকেটে নিকোলাস কিরটন ও শ্রেয়াস মোভভার ৭৫ রানের জুটিতে লড়াই করার পুঁজি পায় কানাডা। এটা পঞ্চম উইকেটে টি-টোয়েন্টিতে কানাডার সেরা রানের জুটি।
৩৫ বলে ৩ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ৪৯ করেন ম্যাচ সেরা কিরটন। আর মোভভা রান আউট হন ৩৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩৭ করে। ব্যারি ম্যাকার্থি ৪ ওভারে ২৪ রানে নেন ২ উইকেট। এছাড়া ৩২ রানে ২ উইকেট নেন ক্রেগ ইয়াং। ১টি করে উইকেট মার্ক অ্যাডায়ার ও গ্যারেথ ডিলানির।