অপেশাদাররাই একটা সময় ক্রিকেট খেলতেন আয়ারল্যান্ডে। ধীরে ধীরে একটা কাঠামোতে দাঁড়িয়ে টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে ইউরোপের এই দেশ। তবে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার আগে আইসিসির সহযোগী দেশ হিসেবে খেলেছে বিশ্বকাপ।
আইরিশ রূপকথার জন্ম দিয়ে হারিয়েছে বড় অনেক দলকে। শুরুটা ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে। সেবারই প্রথম বিশ্বকাপে সুযোগ পায় আয়ারল্যান্ড। শুরুতেই তারা হৈচৈ ফেলে দেয় হট ফেভারিট পাকিস্তানকে হারিয়ে।
কিংস্টনে ইনজামাম উল হক, ইউনিস খান, কামরান আকমলদের মাত্র ১৩২ রানেই অলআউট করে আয়ারল্যান্ড। ৩ উইকেট নেন বয়েড র্যানকিন। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটা ডিএল মেথডে তারা জিতে ৩২ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে। ৭২ করেন নিয়াল ও’ব্রায়ান।
এরপর সুপার এইটে বাংলাদেশকেও ৭২ রানে হারিয়ে দেয় আয়ারল্যান্ড। আইরিশদের ২৪৩ রানের জবাবে বাংলাদেশ অলআউট ১৬৯-এ।
২০১১ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের শিকার ইংল্যান্ড। বেঙ্গালুরুতে ৩২৭ রানের পাহাড়ই গড়েছিল ইংল্যান্ড। কেভিন ও’ব্রায়ানের ৬৩ বলে অবিশ্বাস্য ১১৩ রানের ইনিংসে আয়ারল্যান্ড ৫ বল হাতে রেখে জিতে ৩ উইকেটে।
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৩টি জয় পায় আয়ারল্যান্ড। এর একটি নেলসনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। গেইল, হোল্ডার, স্যামি, রাসেলদের উইন্ডিজ শুরুতে করেছিল ৩০৪ রান। সেটাই ২৫ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে সহজে পেরিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৭ জয়ের ৫টিই টেস্ট মর্যাদা পাওয়া দলের বিপক্ষে আইসিসির সহযোগী হয়ে খেলা আয়ারল্যান্ডের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড হারিয়েছে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ২০০৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার সুযোগ পেয়ে হারায় বাংলাদেশকে। মাশরাফির দলকে ১৩৭-এ থামিয়ে তারা লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ১০ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে।
২০২২ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটে হারায় আয়ারল্যান্ড। ক্যারিবীয়দের ১৪৬ রানে থামিয়ে ১৭.৩ ওভারে জয় নিশ্চিত করে তারা। এরপর সুপার টুয়েলভে আয়ারল্যান্ডের কাছে ডিএলএস মেথডে ৫ রানে হারে ইংল্যান্ড। সেই ধাক্কা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড।
আজ ভারতের বিপক্ষে তাই হেলাফেলার দল হয়ে নামছে না আয়ারল্যান্ড। রোহিত শর্মার দল কি পারবে আইরিশ ভয় কাটিয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিততে?