গত বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলেছিল পাকিস্তান। এবারের আসরেও ছিল ফেবারিট। বাবর আজমের সেই দল কিনা বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা ছিল আনুষ্ঠানিকতা। আরেক দিক থেকে সম্মান রক্ষারও।
সেই ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করল পাকিস্তান। আইরিশদের ৯ উইকেটে ১০৬ রানের চ্যালেঞ্জ বাবর আজমের দল পেরিয়ে যায় ৭ বল হাতে রেখে। ৩ উইকেট ও ৫ বলে অপরাজিত ১৩ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরা শাহিন শাহ আফ্রিদি।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৪০ করেছিল পাকিস্তান। এবারের বিশ্বকাপে তাদের পাওয়ার প্লের স্কোর-বিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ৩০/৩, বিপক্ষ ভারত ৩৫/১ ও বিপক্ষ কানাডা ২৮/১। সায়েম আইয়ুব ১৭ বলে ১৭ আর মোহাম্মদ রিজওয়ান ফিরেন ১৬ বলে ১৭ করে।
একটা সময় ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৫২ করে সহজ জয়ের পথেই ছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে ১০ রানের ব্যবধানে স্কোরটা হয়ে যায় ৬ উইকেটে ৬২। আয়ারল্যান্ড ম্যাচে ফিরে প্রবলভাবে। ফখর জামান ৫, উসমান খান ২, শাদাব খান ০ ও ইমাদ ওয়াসিম ফিরেন ৪ রান করে। ব্যারি ম্যাকার্থি ৪ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সহজ ম্যাচ কঠিন করে দেন পাকিস্তানের।
অপর প্রান্তে তখন ক্রিজ আঁকড়ে ছিলেন বাবর আজম। আব্বাস আফ্রিদির সঙ্গে সপ্তম উইকেটে তার ৩৩ রানের জুটিতে আবারও ম্যাচে ফিরে পাকিস্তান। আব্বাস ১৭ করে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন বাবর আজম। শাহিন শাহ আফ্রিদির ২ ছক্কায় ৫ বলে ১৩ রানের ইনিংসটাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে পাওয়ার প্লেতে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল আয়ারল্যান্ড। প্রথম ওভারেই শাহিন শাহ আফ্রিদি ফিরিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু বালবির্নি (০) ও লরকান টাকারকে (২)। এবারের বিশ্বকাপে পঞ্চম বোলার হিসেবে প্রথম ওভারে জোড়া উইকেট নিলেন আফ্রিদি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে (২) উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মোহাম্মদ আমির। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আফ্রিদির বলে ০ রানে এলবিডব্লিউ হন হ্যারি টেক্টর।
টপ অর্ডারের চার ব্যাটার আউট মাত্র ৩ রানে। বিশ্বকাপে এটা প্রথম চার ব্যাটারের তৃতীয় সর্বনিম্ন। ২০০৭ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কেনিয়ার শুরুর ৪ ব্যাটার আউট হয়েছিল ০ রানে, আর এবার উগান্ডার ৪ ব্যাটার নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে করেছিল ২ রান।
পাওয়ার প্লেতে ৫ উইকেটে ৩২ রান করেছিল আয়ারল্যান্ড। চতুর্থ দল হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ৬ ওভারে ৫ উইকেট হারাল আইরিশরা। উগান্ডা দুবার আর পিএনজি একবার হারিয়েছে ৫ উইকেট।
সপ্তম উইকেটে ডিলানির সঙ্গে মার্ক অ্যাডায়ারের ৪৪ রানের জুটিতে চরম বিপর্যয় এড়ায় আইরিশরা। অ্যাডায়ার করেছিলেন ১৯ বলে ১৫। শেষ দিকে জস লিটলের ১৮ বলে ২ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় ২২* আর গ্যারেথ ডিলানির ১৯ বলে ১ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় ৩১-এ স্কোরটা ১০০ পেরিয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের।
আফ্রিদি ৪ ওভারে ২২ রানে ৩টি আর ইমাদ ওয়াসিম ৪ ওভারে ৮ রানে নেন ৩ উইকেট। এবারের বিশ্বকাপে ৪৫তম বলে আজকের ম্যাচেই প্রথম উইকেট পেয়েছেন ইমাদ। এছাড়া ৪ ওভারে মোহাম্মদ আমির ১১ রানে নেন ২ উইকেট।