আরব আমিরাত সফরের শুরুটা যাচ্ছেতাই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। আফগানিস্তানের কাছে তারা ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল ২-১’এ। সফরের শেষটাও হলো হার দিয়ে।
দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের একটিতে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরেছিল প্রোটিয়ারা। সোমবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতেও হারল তারা। আবুধাবিতে পল স্টার্লিংয়ের দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে ৬৯ রানে। এই সফরে ৮ ম্যাচের ৪টিই হারল প্রোটিয়ারা।
আয়ারল্যান্ডের ৯ উইকেটে ২৮৪ রানের জবাবে প্রোটিয়ারা অলআউট ২১৫-তে। শক্তিশালী এই দলের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ওয়ানডেতে জিতল আয়ারল্যান্ড। ২০২১ সালে ডাবলিনে ঐতিহাসিক প্রথম জয়টি পেয়েছিল তারা।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতে আগেই জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে ফিরছে দেশে। তবে আয়ারল্যান্ডের মতো ‘পুচকে’ দলের কাছে শেষ ম্যাচে হারটা নিশ্চিতভাবেই পোড়াবে অনেক দিন।
এই হারের তিক্ততা সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। মিরপুর ও চট্টগ্রামে দুটি টেস্ট খেলবে তারা। ইনজুরির জন্য আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন ফাস্ট বোলার নান্দ্রে বার্গার। এবার অনিশ্চিত অধিনায়ক টেস্বা বাভুমাও। চোটের জন্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেটা খেলতে পারেননি তিনি।
শুরুতে ব্যাট করে আইরিশ দুই ওপেনার অ্যান্ডি বালিবির্নি ও অধিনায়ক পল স্টার্লিং গড়েন ১০১ রানের জুটি। তাতে বড় স্কোরের ভিত পেয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। বালবির্নি ফেরেন ৪৫ করে।
৯২ বলে ৮ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় ৮৮ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পল স্টার্লিংয়ের। এছাড়া হ্যার টেক্টর করেছিলেন ৪৮ বলে ৬০। লিজাড উইলিয়ামস নেন ৫৬ রানে ৪ উইকেট।
২৮৪ রানের জবাবে ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই চাপটা কাটাতে না পেরে ৪৬.১ ওভারে ২১৫ রানে অলআউট তারা। ছয় নম্বরে নেমে জেসন স্মিথ ৯১ না করলে হারের ব্যবধানটা বড় হতে পারত আরও।
৩টি করে উইকেট নেন গ্রাহাম হাম ও ক্রেগ ইয়ং। ৩ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লিজাড উইলিয়ামস।