নড়াইলে বঙ্গবন্ধু ৪৩তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতা হয়েছে চলতি বছর মার্চে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সাইক্লিস্ট মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত সম্প্রতি ফেইসবুকে নিজের ওয়ালে লিখেছেন, “এ বছর জাতীয় সাইক্লিং খেলতে নড়াইলে গিয়েছিলাম। কিন্তু খেলা শেষে আর কোনও আপডেট দিতে পারিনি। মনটা খারাপ ছিল। তা অবশ্যই পদকের জন্য না। এ যেন পরিষ্কার দিনে দুপুরে ডাকাতি। আর আপডেট দেওয়ার ইচ্ছাটাও হারিয়ে যায়। এসব দেখে খেলার প্রতি আগ্রহটাও নষ্ট হয়ে যায়। কেন ১৮ কোটি মানুষের দেশে এখনও একটিও অলিম্পিক পদক নেই? উত্তর ফেইসবুকে দেওয়া ভিডিওর ঘটনাটা দেখলেই পেয়ে যাবেন।”
‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ অনিয়মের ভিডিওটি এর আগে ফেইসবুকে প্রকাশ করেননি আরাফাত। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর ভিডিওটি তিনি ফেইসবুকে আপলোড করেন। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর নড়েচড়ে বসে ফেডারেশন। তড়িঘড়ি করে ১৩ আগস্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় আরাফাতের সোনা।
সেদিন যা ঘটেছিল
ইনডিভিজুয়াল টাইম ট্রায়ালে অংশ নিয়ে সেদিন সোনা জেতেন শামসুজ্জামান আরাফাত। রুপা জেতেন রাকিবুল ইসলাম এবং ব্রোঞ্জ জেতেন রাফাত মজুমদার। কিন্তু স্কোর শিটে চ্যাম্পিয়ন হিসাবে নাম ছিল বাংলাদেশ আনসারের সাইক্লিস্ট মোহাম্মদ হাসানের। যিনি নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার হয়ে অংশ নেন প্রতিযোগিতায়।
হাসানকে মোটরসাইকেল দিয়ে পেছন দিক থেকে ঠেলে সবার আগে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছে দেন প্রতিযোগিতার দায়িত্বে থাকা জাজ আবদুল হাশেম মোড়ল!
কেন এই অনিয়ম
আরাফাতের দাবি, প্রতিযোগিতা যেহেতু নড়াইলে হয়েছে এবং সেখানকার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকুর বাড়িও নড়াইলে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সহ-সভাপতিও মিকু। যে কারণে তাকে খুশি করতেই একটা পদক নড়াইলকে ‘উপহার’দেওয়ার ব্যবস্থা করে সাইক্লিং ফেডারেশন।
ঘটনার ভিডিও ও উপস্থিত দর্শকের বক্তব্য আরাফাতের কাছে ছিল। এসব নিয়ে ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের দেখালেও তখন প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যেতে বলেন তাকে। হতাশ আরাফাতকে সার্ভিসেস সংস্থার আরেক সাইক্লিস্ট সেদিন সান্ত্বনার সুরে বলেছিলেন, “এই ঘটনা নতুন কিছু না। এটার একটা নামও দিয়েছি আমরা। যেটিকে বলে জাদুর কার্পেট।”
যা বলছেন সাধারণ সম্পাদক
জাতীয় প্রতিযোগিতায় এমন জালিয়াতি কীভাবে সম্ভব? উত্তরে সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহেরুল আলম স্বপন বলেন, “আমরা ওই ফলাফল স্থগিত করেছিলাম। ওখানে সভায় তিন জাজের একজন নীরবতা পালন করে। ফলাফল চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আপিল করে ওই সাইক্লিস্ট। এরপর বিষয়টি কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তুলতে বলেন সভাপতি। তখন সর্বশেষ সভায় ভিডিওটি দেখে আমরা সবাই একমত হয়েছি, ওই প্রতিযোগীর সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। যে কারণে ওই ইভেন্টের ফল বাতিল করে পর্যায়ক্রমে টাইমিং অনুসারে রেজাল্ট ঘোষণা করেছি।”
আইন না মেনে সাইক্লিংয়ে নির্বাচন
সাইক্লিং ফেডারেশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০২১ সালের জুন মাসে। কিন্তু ওই নির্বাচনে মানা হয়নি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নীতিমালা। যেখানে নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৬ এর ‘ক’ ধারায় বলা হয়েছে, কাউন্সিলরের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২৫ বছর। কিন্তু গোপালগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর আশিকুর রহমান হামিমের বয়স ছিল ২২ বছর ১১ মাস ৩০ দিন।
তখন এই ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, তৎকালীন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে জানিয়েও কোনও প্রতিকার পাননি সাবেক সাইক্লিস্ট ও আগের কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম ঈমাম হোসেন সোহাগ। তিনি বলেন, “আমি ক্রীড়ামন্ত্রীকে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাতেও কেউ কোনও গুরুত্ব দেয়নি।”
এছাড়া নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৬ এর ‘চ’ধারায় বলা আছে, প্রার্থী বা কাউন্সিলর যে জেলা ক্রীড়া সংস্থার হয়ে প্রতিনিধি হয়ে আসবে তাকে সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী সদস্য অথবা সাধারণ সদস্য হতে হবে। কিন্তু ওয়ালিদ হোসেন ও সাইদুর রহমান, আশিকুর রহমান হামিমের কেউই খুলনা, দিনাজপুর ও গোপালগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী বা সাধারণ সদস্য নন।
পরবর্তীকালে এই নির্বাচন ঠেকাতে ও ফল বাতিল করতে সোহাগ বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করেও কোনও সুফল পাননি।
এ প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক তাহেরুল আলম স্বপন বলেন, “আমাকে খুলনা, দিনাজপুর ও গোপালগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে নাম পাঠিয়েছে। আমি গঠনতন্ত্র অনুসারেই কাউন্সিলরের নাম পাঠিয়েছিলাম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের আপত্তি বিভাগ বিষয়টি দেখেছে। মূলত এটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের, এটা আমার দেখার বিষয় না। আমি নির্বাচনে কোনও অনিয়ম করিনি।”
ক্রীড়াঙ্গনে অবহেলিত সাইক্লিং
দেশের অপ্রচলিত খেলাগুলোর একটি সাইক্লিং। অবকাঠামোগত কোনও সুযোগ সুবিধা নেই সাইক্লিস্টদের। তাদের সারা জীবনের আক্ষেপ একটা ভেলোড্রামের। কালো পিচের রাস্তায় অনুশীলন করে হুট করে আন্তর্জাতিক গেমসে গিয়ে অভ্যস্ত হতে পারেন না তারা। যে কারণে এর প্রভাব পড়ে ফলাফলে।
দেশে বিওএর অধীনে যেসব ঘরোয়া গেমসের আয়োজন করা হয়, সেখানেও অনেক সময় সাইক্লিং উপেক্ষিত থাকে। যেমনটা হয়েছিল ২০১৮ সালের বাংলাদেশ যুব গেমসে। সেবার ২১টি ডিসিপ্লিন নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল যুব গেমস। কিন্তু উপেক্ষিত রয়ে যায় সাইক্লিং।
অনেক কর্মকর্তা মনে করেন, ক্রীড়াঙ্গনের রাজনীতির শিকার সাইক্লিং। এসএম ঈমাম হোসেন সোহাগ যেমনটা বলছিলেন, “সাইক্লিং স্পোর্টস পলিটিক্সের শিকার। এখানে হ্যান্ডবল ও ভলিবলের প্রতিহিংসার শিকার আমরা। হ্যান্ডবল ও ভলিবলের আধুনিক স্থাপনা, সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কোনও রেজাল্ট নেই। কিন্তু সাইক্লিংয়ে ভেলোড্রাম নেই, রোড নেই, প্র্যাকটিসের সুযোগ সুবিধা নেই। যদি এরপরও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করি আমরা, তাহলে বিওএতে তাদের নেতাগিরি টিকবে না। তারা চায় যে কোনও রকমের সাংগঠনিকভাবে দুর্বল একটা কমিটি আসুক সাইক্লিংয়ে। যাতে সাইক্লিং সব সময় নিচে পড়ে থাকে।”
বিওএর সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান মিকু পুরো অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “সর্বশেষ আর্চারি, হ্যান্ডবল, কাবাডিতে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, এটার ধারাবাহিকতায় সাইক্লিংও আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে কমিটি কেমন হবে। আমি বলেছিলাম, সাইক্লিং নিয়ে যেহেতু আমার তেমন ধারণা নেই, তাই কিছু বলতেও পারব না, যারা সাইক্লিংয়ের সঙ্গে জড়িত তারাই যেন আসে কমিটিতে। এখানে আমার কোনও হস্তক্ষেপ ছিল না। কাউকে কমিটিতে ঢোকানোর অনুরোধও ছিল না। এমনকি ফোরামের হস্তক্ষেপ ছিল না।”
বর্তমান কমিটিতে ৩ জন সাইক্লিস্ট
এত কিছুর পরও সাইক্লিংয়ের বর্তমান ১৯ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটিতে মাত্র ৩ জন সাইক্লিস্ট রয়েছেন। তারা হলেন- ওয়ালিদ হোসেন, সাইদুর রহমান ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল টুলু।
এসএ গেমসে অনুজ্জ্বল সাইক্লিং
এ পর্যন্ত এসএ গেমসে সাইক্লিংয়ে একটা মাত্র পদক বাংলাদেশের! ২০০৬ কলম্বো এসএ গেমসে সাইক্লিং ডিসিপ্লিন গেমসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেবার কোনও পদক জেতেনি বাংলাদেশ। তবে ২০১০ সালে ঢাকায় প্রথম সাফল্য ছিল ৮০ কিলোমিটার রোড টাইম ট্রায়াল দলগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতার মাধ্যমে। অংশ নেন রিপন কুমার বিশ্বাস, মুসলিম উদ্দিন, ইখতেয়ার উদ্দিন ও আনোয়ার হোসেন। কিন্তু ২০১৬ গুয়াহাটি এসএ গেমসে সেই ব্রোঞ্জও হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। ২০১৯ কাঠমান্ডু এসএ গেমসেও কোনও পদক জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
কতটা পিছিয়ে বাংলাদেশ
নেপালে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে বাংলাদেশ অংশ নেয় টাইম ট্রায়াল ও ইনডিভিজুয়াল রোড রেসে। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় সাইক্লিস্টরাই দাপট দেখিয়ে সোনা জেতে। কিন্তু দুই দেশের টাইমিংয়ের তুলনা দিলেই বোঝা যাবে কতটা পিছিয়ে বাংলাদেশের সাইক্লিস্টরা।
পুরুষ ইনডিভিজুয়াল রোড রেসে সোনা জয়ী ভারতের সাইক্লিস্ট সাতবীর সিং সময় নেন ২ ঘণ্টা ৪৮:৩৯.৬৪৭ মিনিট। কিন্তু সেখানে ১২ জনের মধ্যে নবম হওয়া বাংলাদেশের সবুর হোসেনের টাইমিং ছিল ২ ঘণ্টা ৫১:৩২.০০৭ মিনিট।
এই ইভেন্টে নাম দিয়েও রেসে অংশ নেননি বাংলাদেশের সিরাজুল ইসলাম, রিপন কুমার বিশ্বাস ও হোসেন খন্দকার। একই অবস্থা ছেলেদের টাইম ট্রায়ালেও। ৭ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৫ম হয়ে রেস শেষ করেন বাংলাদেশের হোসেন খন্দকার। মেয়েদের টাইম ট্রায়ালে ৮ জনের মধ্যে বাংলাদেশের সুবর্ণা বর্মা চতুর্থ ও সমাপ্তি বিশ্বাস সপ্তম হয়েছিলেন।
সভাপতি আসতেন না ফেডারেশনে
কবির বিন আনোয়ার সাইক্লিং ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর একদিনও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ফেডারেশন কার্যালয়ে যাননি। দাপুটে এই আমলা আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছিলেন। চাইলে অপ্রচলিত খেলাটির উন্নতির জন্য অনেক কিছু করার সুযোগ ছিল। কিন্তু তিনি শুধু অলঙ্কার হিসেবে পদ আঁকড়ে বসে থেকেছেন, অভিযোগ সাইক্লিষ্টদের। গত সেপ্টেম্বর মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক যোগে ৪২টি ফেডারেশনের সভাপতিকে অপসারণ করলে তিনিও বাদ পড়েন দায়িত্ব থেকে।
বৈষম্যের শিকার সাইক্লিস্টরা
ফেডারেশনে প্রতিনিয়ত নানাভাবে বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন সাইক্লিস্টরা। বিশেষ করে একটি নির্দিষ্ট সার্ভিসেস সংস্থার সাইক্লিস্টদের সুযোগ-সুবিধা ও জাতীয় দলে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ আছে।
২০০৯ সাল থেকে সাইক্লিংয়ে অংশ নেন শরীফা আক্তার তানিয়া। জাতীয় প্রতিযোগিতায় এ পর্যন্ত তিনি জিতেছেন ১৪টা সোনা। তানিয়া বলেন, “টিম বাছাইয়ে ক্ষেত্রে অনিয়মের শিকার বেশি আমরাই। এ পর্যন্ত আনসার বেশিবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু আমাদের বঞ্চিত করা হতো। বিদেশে খেলতে নেওয়া হতো না। এসব দেখে খারাপ লাগত।”
পরিবর্তনের আশা
সাইক্লিস্ট দ্রাবিড় আলমের বয়স ৪২ বছর। অথচ এখনও তিনি জাতীয় প্রতিযোগিতায় পদক জিতে চলেছেন। সাইক্লিং যে সঠিক ট্র্যাকে নেই সেটা নিয়ে আফসোসের কমতি নেই তার। দেশের সব ক্রীড়া ক্ষেত্রের মতো সাইক্লিংয়েও সংস্কার চান তিনি। যাতে সাইক্লিংও এক সময় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লাল সবুজের পতাকা ওড়াতে পারে।
দ্রাবিড় আলমের কথায়, “আমরা অ্যামেচার সাইক্লিস্ট। শখের বশে সাইক্লিং করি। হঠাৎ করে আমরা ন্যাশনালে পদক পাওয়া শুরু করেছি। এর কারণ হচ্ছে গত ২০ বছরে সাইক্লিংয়ে যে পাওয়ার মিটার ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা জানে না এই ফেডারেশনের কোচ কর্মকর্তারা। এই পাওয়ার বেইজড ট্রেনিংয়ের কারণে অনেক রকম প্রযুক্তি চলে এসেছে সাইক্লিংয়ে। সেটা ব্যবহার করে আমরা উন্নতি করছি। কিন্তু বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন পুরোটা উপেক্ষা করে চলে গেছে এতদিন। তাই উন্নতিও চোখে পড়েনি।”
তিনি যোগ করেন, “পুরনো ধ্যান-ধারণা নিয়ে চলতে থাকা এসব সংগঠক ও কোচদের বাদ দেওয়া উচিৎ। ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের ধারাবাহিকতায় আমরা চাই আধুনিক চিন্তাভাবনার নতুন সংগঠকদের। যারা বাংলাদেশের সাইক্লিংকে একটা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। তাহলেই সাইক্লিং দেখা পাবে নতুন দিগন্ত।”