লেবাননে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রায় সাড়ে ৭শ’ মানুষ নিহত এবং প্রায় ১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এতে ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর মধ্যে বিরোধ সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই তাদের মধ্যে সীমান্তে সংঘর্ষ চলে আসছিল। এতে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্ত অঞ্চল থেকে বহু ইসরায়েলি তাদের বাড়িঘরে থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়।
সম্প্রতি গাজা থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলে নজর ফেরানোর কথা জানিয়েছিল ইসরায়েল। সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদে ঘরে ফেরানোর পদক্ষেপ নেওয়ারও ঘোষণা দেয়।
এরপরই গত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর যোগাযোগযন্ত্র পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর ভিত নাড়িয়ে দেয় ইসরায়েল। ওই ঘটনাকে হিজবুল্লাহর ওপর বড় ধরনের হামলার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছিল।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা শুরু করে। আর গত সোমবার থেকে গোটা লেবাননজুড়ে নির্বিচার হামলা শুরু করে। সোমবার একদিনেই লেবাননে নিহত হয় ৪৯২ জন। বুধবার ৭২ জন, আর বৃহস্পতিবার ৯২ জন নিহত হয়।
চলমান হামলার জবাবে হিজবুল্লাহও ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এমনকি প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ শহর তেল আবিবের কাছে পৌঁছে গেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির ক্ষেপণাস্ত্র। বুধবার ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে হিজবুল্লাহ। তবে ইসরায়েল তা প্রতিহত করে।
এমন পরিস্থিতিতে গত বুধবার জাতিসংঘে এক জরুরি আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এবং তাদের বেশ কয়েকটি মিত্র দেশ ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তজুড়ে অবিলম্বে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সর্বশক্তি দিয়ে লেবাননে হামলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসরায়েল শিগগিরই লেবাননে স্থল হামলা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেন, সেনাবাহিনীর রিজার্ভ ফোর্সের দুটি রেজিমেন্টকে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত নর্দার্ন কমান্ডে ডাকা হয়েছে। এর আগে গাজা থেকেও কিছু সাঁজোয়া বহরের যোদ্ধা ও প্যারাট্রুপারকে লেবানন সীমান্তে পাঠানো হয়।
এই খবরে সংঘাত আরও বাড়ার ইঙ্গিত মিললেও বিশ্লেষকরা বলছেন, শিগগিরই লেবাননে ইসরায়েলের স্থল হামলা চালানোর সম্ভাবনা কম। তবে তারা বলেন যে, পরিস্থিতি বেশ অস্থিতিশীল এবং ইসরায়েলের স্পষ্ট কৌশলের অভাব রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
ইসরায়েলি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গ আল জাজিরাকে বলেন, রিজার্ভ বাহিনীর দুটি রেজিমেন্ট “বেশি কিছু নয়, লেবাননে আক্রমণের জন্যও নয়।”
তিনি বলেন, লেবাননের চেয়ে অনেক ছোট ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েল এর চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক সেনা পাঠিয়েছে। এ ছাড়া গাজার হামাস সামরিকভাবে হিজবুল্লাহর চেয়ে কম শক্তিশালীও।
“এই মুহূর্তে, আমার মূল্যায়ন হলো- এটি এখনও দেখানোর জন্যই, তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি বদলেও যেতে পারে।”
গোল্ডবার্গ বলেন, ইসরায়েলের কোনও স্পষ্ট লক্ষ্য বা কৌশলের অভাব রয়েছে বলেও মনে হচ্ছে। ফলে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে তা অনুমান করা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।
“আমরা এখন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি, তবে আমার মনে হয় না যে, স্থল আক্রমণ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে।”
যুদ্ধের ঝুঁকি বেড়েছে
গাজায় গত প্রায় এক বছর ধরে চলমান যুদ্ধ ইতোমধ্যে ইসরায়েলি অর্থনীতি, সামরিক খাত এবং সমাজের ওপর বড় চাপ সৃষ্টি করেছে। গাজা যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েল তার রিজার্ভ বাহিনীর হাজার হাজার সেনাকে তলব করেছে, যারা তাদের চাকরি ও পরিবারকে ছেড়ে এসেছে।
কিন্তু ইসরায়েলি সমাজ সরকারের অনুসরণ করা কৌশল নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে হামাসকে পরাজিত করার পরিবর্তে গাজা থেকে জিম্মিদের মুক্তির প্রতি মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছে।
হিজবুল্লাহর রকেট হামলার ফলে গত বছরের শেষের দিক থেকে প্রায় ১০ হাজার ইসরায়েলি নাগরিক দেশের উত্তরাঞ্চলে তাদের বাড়িঘর থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বল প্রয়োগ করে লেবানন থেকে হামলার হুমকি দূর করা হবে এবং যারা উত্তরাঞ্চল থেকে বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে তাদের নিরাপদে ফেরানো হবে।
গোল্ডবার্গ বলেন, “গত প্রায় এক বছর ধরেই সরকার তাদের বলছে যে, ইসরায়েলিদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার একমাত্র উপায় হলো একটি যুদ্ধ। সুতরাং, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাবনা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। তবে নেতানিয়াহু যুদ্ধ শুরু করতে ভয় পান, কারণ তার ধারণা- তিনি যদি স্থল আক্রমণ শুরু করেন তবে ইসরায়েলি জনগণ, যারা তাকে বিশ্বাস করে না, একে শুধু নেতানিয়াহুর যুদ্ধ বলে মনে করবে।”
তবে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলায়, বিশেষ করে গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলের ডিভাইস হামলা এবং পরবর্তী সময়ে বিমান হামলায় দলটির একজন নেতা এবং আরও কয়েকজন কমান্ডার নিহত হওয়ায়, গত এক বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখনই সর্বাত্মক যুদ্ধের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
বৈরুতের লেবানিজ আমেরিকান ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ইমাদ সালামেই বুধবার আল জাজিরাকে বলেন, “লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসনের সম্ভাবনা ইসরায়েলি রাজনৈতিক ও সামরিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গতি পাচ্ছে।
“ইসরায়েল সরকার যদি এই কৌশলটি বেছে নেয়, তবে সম্ভবত ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই আক্রমণ শুরু হতে পারে। কারণ ইসরায়েল হয়তো ভাবছে, গত কয়েকদিনের আকস্মিক হামলায় হিজবুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ এবং কমান্ড কাঠামো যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে। সুতরাং, পুনরায় সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাওয়ার আগেই দলটির ওপর দ্রুত হামলা চালাতে হবে।”
সালামেই বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রায় অনিবার্যভাবে একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে, যা লেবাননের বেসামরিক জনসংখ্যার ওপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলবে।
“তবে দুর্বল হলেও হিজবুল্লাহ সম্ভবত গেরিলা কৌশল নেবে এবং প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করবে। এতে সংঘর্ষ দীর্ঘায়িত হবে এবং দক্ষিণ লেবানন দখল করা ইসরায়েলের জন্য অনেক বেশি ব্যয়বহুল করে তুলবে।”
তিনি বলেন, “লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহ যেভাবে শেকড় গেড়ে বসেছে তাতে দ্রুত বা সহজ জয় পাবে না ইসরায়েল। বরং তা উভয়পক্ষের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিণতিসহ দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে পরিণত হবে।”
২০০৬ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের সময় হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা অপ্রতিসম কৌশলসহ ব্যাপক দক্ষতা প্রদর্শন করেছিল, যা ইসরায়েলকে অবাক করে। ওই যুদ্ধে লেবাননের ১২০০-র বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক। আর ইসরায়েলের নিহত হয়েছিল ১৫৮ জন, যাদের বেশিরভাগই ছিল সৈনিক।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, তখন থেকেই হিজবুল্লাহ উত্তরোত্তর শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে। এখন তাদের হাতে রয়েছে বিশাল অস্ত্রভাণ্ডার এবং টানেল নেটওয়ার্ক। এ ছাড়া সিরিয়ার সঙ্গে সীমান্ত থাকায় তারা যুদ্ধের রসদ সরবরাহ বজায় রাখতেও সক্ষম, যে সুবিধা গাজার হামাসের নেই।
অস্পষ্ট লক্ষ্য, প্রচুর খরচ
ইসরায়েলের চলমান হামলার পেছনে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলটি অস্পষ্ট। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি হতে পারে গাজায় টানা যুদ্ধের ফলে ইসরায়েলে যে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে, তা থেকে নজর ফেরানো এবং সামরিক বাহিনীর খ্যাতি পুনরুদ্ধারের কৌশল। কারণ গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধের পরও ইসরায়েলি বাহিনী তার লক্ষ্য অর্জন তথা হামাসকে ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, নতুন আরেকটি স্থল যুদ্ধে জড়ালে ইসরায়েল রাজনৈতিকভাবে খুব সামান্যই লাভবান হবে। এর ফলে দেশটির বেসামরিক নাগরিকদেরও বিশাল মূল্য দিতে হবে। আর তাছাড়া লেবাননের মাটিতে হিজবুল্লাহ কৌশলগতভাবে বেশি সুবিধা পাবে।
বৈরুতের সেন্ট জোসেফ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক করিম এমিল বিতার আল জাজিরাকে বলেন, “লেবাননে ইসরায়েল স্থল আগ্রাসন চালালে, উল্টো হিজবুল্লাহ অনুভব করতে পারে যে, তারা তাদের ‘কমফোর্ট জোনে’ ফিরে এসেছে। কারণ তারা ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করতে অভ্যস্ত, আর তারা দক্ষিণ লেবাননের প্রতিটি গ্রামকে জানে।
”এ ছাড়া তাদের এখনও প্রচুর যোদ্ধা রয়েছে, যারা ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রতিরোধের জন্যও প্রস্তুত।”
গত এক সপ্তাহের ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৯৭৫-৯০ সালের গৃহযুদ্ধের পর লেবাননে সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এতে ইসরায়েল মনস্তাত্ত্বিকভাবে বেশ উদ্দীপিত হয়েছে। তবে স্থল হামলার পর পরিস্থিতি ঘুরেও যেতে পারে, ইসরায়েল নিজের উল্লেখযোগ্য সেনা হতাহতের মুখোমুখি হতে পারে।
করিম এমিল বিতার বলেন, “লেবাননের প্রচুর বেসামরিক নাগরিক হতাহতের বিনিময়ে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল তার বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য অর্জন করতে পেরেছে। কিন্তু তারা যদি স্থল হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের খেলা হতে পারে এবং তারা উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে পারে। কারণ দুর্বল হয়ে গেলেও, হিজবুল্লাহর এখনও ইসরায়েলের ক্ষতি করার সক্ষমতা রয়েছে।”
হিজবুল্লাহকে উত্তেজিত করার চেষ্টা
লেবাননে ইসরায়েলের টানা বিমান হামলার আপাতত উদ্দেশ্য মনে হচ্ছে, হিজবুল্লাহকে ইসরায়েলের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ করতে বা এমনভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য করা যাতে ইসরায়েল আরও হামলা চালানোর অজুহাত পায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা হয়নি।
আরব সেন্টার ওয়াশিংটন ডিসির সিনিয়র ফেলো এবং প্যালেস্টাইন/ইসরায়েল প্রোগ্রামের প্রধান ইউসুফ মুনায়ের আল জাজিরাকে বলেছেন, “ইসরায়েল সত্যিই দ্রুত কিছু করার চেষ্টা করছে এই আশায় যে, তারা হিজবুল্লাহর ওপর একসঙ্গে এত বেশি চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে যে, বিষয়টির দ্রুত সমাপ্তির জন্য আলোচনার চেষ্টা করা ছাড়া তাদের আর কোনও উপায় থাকবে না।”
মুনায়ের বলেন, লেবাননেও ইসরায়েল গাজায় ব্যবহৃত একই কৌশল অনুসরণ করছে তথা বেসামরিক অবকাঠামো এবং বেসামরিক জনগণের বাড়িতে আক্রমণ করছে।
“ইসরায়েলের আশা- তারা যদি অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক বিমান হামলা চালাতে পারে, তাহলে তারা পরিস্থিতি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারবে কোনও স্থল আক্রমণ ও দীর্ঘ যুদ্ধ ছাড়াই এবং যুদ্ধের খরচও বেঁচে যাবে।
“ডিভাইস বিস্ফোরণসহ পরবর্তী হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ইসরায়েল আশা করছিল যে, তারা এত গুরুত্বপূর্ণ, এত নজিরবিহীন কিছু করার মাধ্যমে হিজবুল্লাহকে থমকে দিতে সক্ষম হবে। এতে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধে জড়ানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেটি ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে না।”
ইসরায়েলের হামলার জবাবে, হিজবুল্লাহ শুধু ইসরায়েলের বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং ড্রোন দিয়ে একটি নৌ ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে। বুধবার প্রথমবারের মতো হিজবুল্লাহর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব পর্যন্ত পৌঁছায়।
কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা শুধু ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনাকেই লক্ষ্যবস্তুকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। হিজবুল্লাহর এই সংযম প্রদর্শন ইসরাইলকে অবাক করে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
গোল্ডবার্গ বলেন, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সামরিক বাহিনী উভয়ই চায় হিজবুল্লাহ এমন কিছু করুক যাতে ইসরায়েল আরও ব্যাপক হামলা চালানোর অজুহাত পায়। কিন্তু হিজবুল্লাহ তেমন কিছুই করছে না, তাদের মিত্র ইরানও তা করছে না।
“ইসরায়েল হিজবুল্লাহকে উত্তেজিত করার জন্য পূর্ণ শক্তি দিয়ে চেষ্টা করেছে। কিন্তু হিজবুল্লাহ এখনও কিছুই করেনি।”
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা