কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর নিরাপত্তা বিধানে নামা সেনাবাহিনীকে নিয়ে অপপ্রচার চলছে বলে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এই ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সেনাবাহিনী দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়েছে বলে রবিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সহিংসতায় গড়িয়ে শতাধিক মানুষ নিহত হলে গত শুক্রবার দেশজুড়ে সান্ধ্য আইন বা কারফিউ জারির পাশাপাশি সেনা মোতায়েন করে সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ধারা অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেনা মোতায়েনের পর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এলে কারফিউ শিথিল করা হয়, অফিস-আদালতও খোলে। সেনাবাহিনী এখনও কাজ করছে।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কিছু স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াসমূহে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য দেশে এবং বিদেশে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা বলে অনুমিত।
“বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সংবিধান সমুন্নত রেখে প্রচলিত আইনের আওতায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, দেশবাসীর জানমালের নিরাপত্তা ও জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।”
‘স্বার্থান্বেষী মহলের বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সংবাদে’ বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনগণের স্বার্থে ও রাষ্ট্রের যে কোনও প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।
সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছিলেন, ৫৭ জেলায় ২৭ হাজার সৈন্য কাজ করছে।
সেনাবাহিনীর কাজের পরিধি তুলে ধরে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশব্যাপী ক্রমঅবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে গত ২০ জুলাই ভোর হতে দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দ্রুত নৈরাজ্য প্রশমন করতে সাহায্য করে।”