Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

গাজার অর্ধেকের বেশি ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত : বিবিসি

ইসরায়েলের বোমা হামলায় গাজার অনেক এলাকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। ফাইল ছবি/এএফপি
ইসরায়েলের বোমা হামলায় গাজার অনেক এলাকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। ফাইল ছবি/এএফপি
[publishpress_authors_box]

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজার অর্ধেকের বেশি ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বিবিসির নতুন এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে।

হামলা শুরুর আগের ও পরের ছবি বিশ্লেষণ করে গত ডিসেম্বরের শুরু থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বোমা হামলার তীব্রতা বৃদ্ধির চিত্র পাওয়া গেছে। এই সময়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস।

গাজার উত্তরাঞ্চলে হামলা চালানোর আগে সেখানকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে গিয়ে আশ্রয় নিতে বলে ইসরায়েল। বেশিরভাগ মানুষ সরে যাওয়ার পর ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চল রীতিমত গুঁড়িয়ে দেয়। উত্তরাঞ্চল গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর গাজার মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

বিবিসির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গাজাজুড়ে আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। আগে যেসব সড়কে লোকজন ব্যস্ত থাকত কেনাকাটায়, সেই স্থানগুলোও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং জমির ফসল মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হেয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে হাজার হাজার মানুষ তাবুতে আশ্রয় নিয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, গাজার ১৭ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা এই ভূখণ্ডের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের বেশি।

একই স্থানের পুরনো ও নতুন ছবি বিশ্লেষণের পাশাপাশি স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করেছে বিবিসি। এতে ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা আরও পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গাজা ভূখণ্ডজুড়ে অন্তত ১ লাখ ৪৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৭৫ হাজারটি ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা যথাক্রমে গাজার মোট ভবনসংখ্যার ৫০ শতাংশ ও ৬১ শতাংশ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ২৬ হাজার ৭৫১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ১০ হাজারের বেশি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত