ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে শত শত প্রাণ কেড়ে নেওয়ার মধ্যেই লেবাননে হামলা করেছে ইসরায়েল। এতে শিশুসহ নিহত হয়েছে ৭ জন। আহত হয়েছে অনেকে।
শনিবার ইসরায়েলে লেবাননের হামলার প্রতিক্রিয়ায় এ হামলা করা হয় বলে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা গত নভেম্বরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েলে হামলা চালায়নি।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কয়েক ডজন রকেট লঞ্চার ও একটি কমান্ড সেন্টারে আঘাত হানে তারা।
এ বিমান হামলায় এক শিশুসহ ৭ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয় বলে জানায় লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ইসরায়েলে লেবাননের হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মেতুলা লক্ষ্য করে লেবাননের ছোড়া তিনটি রকেট ধ্বংস করে তারা। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনায় কোনও সম্পৃক্ততা নেই উল্লেখ করে হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার চুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
২০২৩ সালে গাজায় আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে হামলা চালানো শুরু করেছিল হিজবুল্লাহ। জবাবে ইসরায়েলও লেবাননে হামলা চালাতে থাকে।
হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধ গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় থামানো হয়।
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বলা হয়, সশস্ত্র গোষ্ঠীদের ইসরায়েলে হামলা ঠেকাতে দেশের দক্ষিণে অতিরিক্ত কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করবে লেবাননের সেনাবাহিনী।

পাশাপাশি সীমান্ত এলাকা থেকে যোদ্ধা ও অস্ত্র সরাবে হিজবুল্লাহ এবং যুদ্ধের সময় লেবাননের ভেতর দখল করে রাখা এলাকা থেকে সরে যাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
তবে যুদ্ধবিরতির শর্ত না মেনে বলতে গেলে প্রায় প্রতিদিনই লেবাননে বিমান হামলা চালাতে থাকে ইসরায়েল, যাতে শনিবার পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি হয়নি।
এ বিষয়ে তাদের ভাষ্য, হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে এবং তাদের নিরস্ত্র করতে এটি অব্যাহত থাকবে।
এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার বড় ধরনের হামলা ইসরায়েল চালিয়ে বসল লেবাননে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি


