লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলীতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার ভোরে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দেশটির সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকুর নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে তেল আবিব।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারি লেবাননে হামলা ও শুকুরের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাগারি বলেন, “ইসরায়েলি নাগরিকদের উপর কোনও সন্ত্রাসী হামলা সহ্য করবে না আইডিএফ। আমরা হিজবুল্লাহর কমাণ্ডারদের ও তাদের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছি।
“হিজবুল্লাহর চলমান আগ্রাসন ও নৃশংস হামলার কারণে লেবানন ও মধ্যপ্রাচ্যকে উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা বৃহত্তর যুদ্ধ ছাড়াই সমস্যার সমাধান করতে চাই। তবে আইডিএফ যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।”
হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসারাল্লাহর ডান হাত হিসেবে পরিচিত শুকুরকে হাজি মহসিন নামেই অনেকে চেনেন। তাকে ধরিয়ে বা তার অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য দিলে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৮৩ সালে বৈরুতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি ব্যারাকে বোমা হামলার জন্য দায়ী করা হয় শুকুরকে।
লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৌ হাবিব ইসরায়েলের হামলার পর জানিয়েছেন ‘যুদ্ধ এড়িয়ে’ কীভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানানো যায় এনিয়ে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে লেবানন কাজ করছে।
তিনি বলেন, “এই ভয়টাই আমরা পাচ্ছি। আশা করি এটি যুদ্ধে গড়াবে না। বৈরুতে হামলা চালানো হবে, এমনটা আমরা আশা করিনি। ভেবেছিলাম, ইসরায়েলে এই রেড লাইন অতিক্রম করবে না।”
লেবানন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দেবে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় নিহত তিনজনের মধ্যে দুইজনই শিশু। এতে ৭৪ জন আহত হয়েছে। তবে এই হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার শুকুর নিহত হয়েছেন কিনা, এবিষয়ে কোনও বক্তব্য দেয়নি লেবানন কর্তৃপক্ষ।
তিনদিন আগে ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমির একটি মাঠে রকেট হামলা চালানো হয়। এই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল হিজবুল্লাহকে দায়ী করে। যদিও হিজবুল্লাহ অস্বীকৃতি জানায়।
গোলানে হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতেই বৈরুতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
তথ্যসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।