লেবাননের দক্ষিণ বৈরুতের একটি সরকারি হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে শিশুসহ চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রফিক হারিরি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের কার পার্কিং লক্ষ্য করে সোমবার বিকালে এই হামলা চালানো হয়। এতে চারজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছে।
একই দিন কাছাকাছি সময়ে দক্ষিণ বৈরুতের অন্তত ১৩টি বিমান হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে। এর আগে ইসরায়েলের একজন মুখপাত্র সাধারণ মানুষকে দক্ষিণ বৈরুতের কিছু এলাকা থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু সেই এলাকাগুলোর মধ্যে রফিক হারিরি হাসপাতাল ছিল না।
দক্ষিণ বৈরুতের দাহিয়েহ এলাকা থেকে করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যে সাতটি এলাকায় হামলার বিষয়ে আগে থেকে সতর্ক করা হয়েছিল সেগুলো ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। গাড়িতে ও হেঁটে তাদের এলাকা ছাড়তে দেখা যায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী যে স্থানগুলোর বিষয়ে সতর্ক করেছে তার একটির অবস্থান বৈরুত বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে। কিছু গণমাধ্যমে বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া বিমানবন্দরের কিছু জানালার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এটি ছিল লেবাননের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
তবে দিনভর হামলা চালালেও এ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।
এর আগে রবিবার রাতে বৈরুতের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। তাদের দাবি ওই প্রতিষ্ঠানটির হিজবুল্লার সঙ্গে সম্পর্কিত।
অন্যদিকে, সোমবারই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননের আরেকটি হাসপাতালের নিচে হিজবুল্লাহর বাঙ্কার শনাক্ত করেছে। যেটি এরই মধ্যে খালি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আইডিএফ মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি যদিও এর পক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি, তবু তিনি বলছেন, হারেত হরিকের সাহেল হাসপাতালের নিচেই এর অবস্থান। আর ওই বাঙ্কারে রেয়ছে হিজবুল্লাহর বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সোনা। যা ইসরায়েলের ওপর আক্রমণের অর্থায়নে ব্যবহার করবে হিজবুল্লাহ।
যদিও সাহেল হাসপাতালের পরিচালক এই দাবি অস্বীকার করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করতে লেবানন সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।