Beta
শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪

ট্রেন চলবে কবে, এখনও সিদ্ধান্ত নেই

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা মঙ্গলবার ঢাকার মহাখালীতে রেলপথ অবরোধ করে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা মঙ্গলবার ঢাকার মহাখালীতে রেলপথ অবরোধ করে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার জের ধরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের রেল যোগাযোগ। কবে থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বা এই পথে যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি।

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ট্রেন চলাচল শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত কয়েকদিন পর জানানো হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ১৬ জুলাই ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী, গাজীপুর, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলপথ অবরোধ করা হয়। এরপর ১৮ জুলাই সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এই কর্মসূচি চলাকালে ঢাকার মহাখালী রেল ক্রসিং এলাকায় রেললাইনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দেশের অনেক স্থানেই রেলপথ অবরোধ করা হয়, অগ্নিসংযোগ করা হয়।

সহিংসতার মধ্যে নিরাপত্তা ইস্যুতে ট্রেনের সব যাত্রা বাতিল ঘোষণা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সে ঘটনার আট দিন পরেও ট্রেন চালুর বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদত আলী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ট্রেন চলাচলের বিষয়ে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা পুরো পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে কয়েক দিনের মধ্যে আমাদের সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমসহ সবাইকে জানিয়ে দেব।” 

এর আগে বুধবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার কারফিউ শিথিলের সময় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা এবং ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে দু’টি কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। কিন্তু পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে রেলওয়ে, বন্ধ রাখা হয় ট্রেন চলাচল।

তবে ট্রেন যে চলবে না সে তথ্য পৌঁছেনি যাত্রীদের কাছে।

ফলে বৃহস্পতিবার সকালে কমলাপুর স্টেশনে ভিড় করেন যাত্রীরা।  মো. মাসুদ নামে এক যাত্রী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “জরুরি কাজে ঢাকায় এসে আটকা পড়ি। কারফিউয়ে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নারায়ণগঞ্জে ফিরতে পারছিলাম না। গতকাল ট্রেন চলাচলের কথা শুনে কমলাপুরে আসি। কিন্তু এসে শুনি ট্রেন বন্ধ। এভাবে হয়রানির কারণ কী?”

জানতে চাইলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, “আংশিক ট্রেন চলাচলের বন্ধের সুস্পষ্ট কারণ জানানো হয়নি। তবে যতটুকু মনে হচ্ছে নিরাপত্তাজনিত বিষয় বিবেচনা করেই ঢাকা থেকে নারায়ণঞ্জ ও টঙ্গী রুটে কমিউটার ট্রেন আপতত চালানো হবে না।”

রেলপুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কমলাপুরে রেলস্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত