Beta
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

রোজায় স্কুল খোলা না বন্ধ, জানা যাবে মঙ্গলবার

স্কুলের শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি।
[publishpress_authors_box]

রমজান মাসে দেশের স্কুলগুলোয় শ্রেণি কার্যক্রম চলবে কিনা, চললেও কতদিন; সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও একদিন।

রোজার প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং প্রথম ১৫ দিন নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখতে সরকারের সিদ্ধান্ত দুইমাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানির জন্য ফুল কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছেন চেম্বার আদালত।

সোমবার আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত কোনও আদেশ না দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এই শুনানির পরই স্কুল খোলা বা বন্ধ থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হবে।  

আদালতে সোমবার রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, তার সঙ্গে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। অন্যদিকে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ, তার সঙ্গে ছিলেন মাহমুদা খানম।

শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “রোজায় স্কুল খোলা রাখা নিয়ে একটি সার্কুলার জারি করা হয়। সার্কুলারে রোজার প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক এবং ১৫ দিন মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার কথা বলা হয়। এই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে একজন অভিভাবক রিট আবেদন করেন।

“সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রবিবার স্কুল খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেন। তার বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে আবেদন করি। চেম্বার আদালত আমাদের আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।”

এর আগে রবিবার রোজায় স্কুল খোলার রাখার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেয় বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ৮ ও ১১ ফেব্রুয়ারি পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫ দিন বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার কথা বলা হয়।

এই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে রাজধানী রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দা অভিভাবক মো. শফিউর রহমান চৌধুরী হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত