অভিনয় বা কাজ নিয়ে নয় বেশ কয়েকদিন ধরে স্পটলাইটটা জ্যাকুলিন ফার্ন্দান্দেজের উপর তার কথিত প্রেমিক সুকেশ চন্দ্রশেখরকে নিয়ে।
২০০ কোটি রুপির মানি লন্ডারিং মামলায় সুকেশ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই বলিউড এই অভিনেত্রীকে ঘুরতে হচ্ছে আদালতে।
এরই মধ্যে আবারও খবরের শিরোনাম হয়েছে জেল থেকে ডনাল্ড ট্রাম্পকে পাঠানো তাকে নিয়ে সুকেশের চিঠির কারণে।
বেশ কয়েক বছর ধরেই কারাগারে আছেন সুকেশ একই মামলায় নাম এসেছে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজেরও। মামলার অভিযোগ, সুকেশের সমাজের উঁচুতলার ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে আর্থিক প্রতারণা করতেন।
বুধবার দিল্লি হাইকোর্টে জ্যাকুলিন দাবি করেছেন সুকেশের কাছ থেক যে উপহারগুলো পেয়েছিলেন সেগুলোর অবৈধ উৎস সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না, খবর বলিউড হাঙ্গামার।
তার আইনজীবীরা আদালতকে বলেছেন, এই অভিনেত্রী জানতেন না যে এই উপহারগুলো ২০০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলার অংশ।
শুনানির সময় বিচারপতি ব্যক্তিগত দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং জানতে চান, ‘কোনও ব্যক্তির ওপর কি দায়িত্ব থাকে যে তিনি প্রাপ্ত উপহারের উৎস সম্পর্কে জানবেন?’
ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দাবি করেছে, সুকেশের কাছ থেকে জ্যাকুলিনের পাওয়া দামী উপহারগুলো আদিতি সিং নামক এক বিখ্যাত ব্যবসায়ীর স্ত্রীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে।
এছাড়া ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০১৯ সালে সুকেশের অবৈধ কার্যকলাপের সাথে সম্পর্কিত সংবাদগুলো জ্যাকুলিন দেখেছিলেন, কিন্তু সেগুলো যাচাই করেননি।
ইডি’র আইনজীবীদের যুক্তি জ্যাকুলিন এসব খবর সম্পর্কে অবগত হলেও কোনও আইনগত ভিত্তি নেই যে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ‘অপরাধের আয়’ গ্রহণ করেছেন।
মামলাটি আরও জটিল করে তুলেছে জ্যাকুলিনের সাথে সহ-অভিযুক্ত পিঙ্কি ইরানির যোগাযোগ, যিনি নাকি শুকেশের বিশ্বস্ততা সম্পর্কে অভিনেত্রীকে বিশ্বাস করিয়েছিলেন।
আইনজীবীরা জানান, ‘ইরানি জ্যাকুলিনকে আশ্বস্ত করেছিলেন সুকেশ একজন প্রভাবশালী ‘রাজনৈতিক উপদেষ্টা’, যিনি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত।