Beta
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

তিন দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনে জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা

WhatsApp Image 2025-01-13 at 19.00.50
[publishpress_authors_box]

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে দ্রুত হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার বিকাল চারটার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীরা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। পৌনে পাঁচটার দিকে তারা সচিবালয়ের সামনে এসে পৌঁছায়।

এর আগে গত রবিবার সকাল সাড়ে আটটায় গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

সচিবালয় অভিমুখে যাত্রায় অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন ছয় শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী। এতে করে সচিবালয়ে যাওয়ার রাস্তায় তৈরি হয় তীব্র যানজট।

শিক্ষার্থীদের মুখে এসময় বিপ্লবে বলীয়ান নির্ভীক জবিয়ান, আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম, লজ্জা লজ্জা, ইউজিসি ইউজিসি, অনশন অনশন চলছে চলবে, প্রশাসন কী করে, আমার ভাই অনশনে ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।

দাবি না মানা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না জানিয়ে অনশনরত শিক্ষার্থী রায়হান রাব্বি বলেন, “আমাদের দাবি মেনে নিবে এ মর্মে মন্ত্রণালয় থেকে লিখিত অঙ্গীকার দিতে হবে। তারপরে আমরা অনশন ভাঙব। স্বাক্ষর হওয়ার আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”

এরই আগে আগে দুপুর দুইটায় সেনাবাহিনীকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করার বিষয়ে সচিবালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। তবে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিকে ‘অস্পষ্ট’ উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা তা সংশোধনের দাবি জানান।

দাবি মেনে নেওয়ার অঙ্গীকারের লিখিত চিঠি পেতে এক ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তেমন কোনও অঙ্গীকারনামা না পেয়ে পূর্বঘোষিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করে।

সচিবালয়ের চিঠি ইস্যু হওয়ার পর অনশনরত শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি জানান।

এর মধ্যে রয়েছে : ১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ মিটিংয়ের মাধ্যমে তা সম্পূর্ণ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালভাবে সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনও প্রকার দীর্ঘসূত্রিতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।

২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।

৩. যত দিন আবাসন ব্যবস্থা না হয়, তত দিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড রেজাউল করিম জানান, “শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত