শেষ হতে চলেছে গ্রেগ বার্কলের মেয়াদ। এ বছরের ডিসেম্বরে আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে মেয়াদ শেষ হবে তার। তার চেয়ার বসছেন কে? আলোচনায় সবচেয়ে এগিয়ে ভারতীয় বোর্ডের সেক্রেটারি জয় শাহ।
‘পিটিআই’ জানিয়েছে আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়াটা নিশ্চিত জয় শাহর, তবে কবে থেকে- এই প্রশ্নটা নিয়েই আলোচনা হবে কাল কলম্বোয় শুরু হতে যাওয়া আইসিসির চারদিন ব্যাপী সভায়।
আইসিসির সভাপতি হতে হলে অপেক্ষা করতে হবে জয় শাহকে। কারণ বিসিসিআই সেক্রেটারি হিসেবে আরও এক বছর মেয়াদ আছে তার। এরপর নিয়ম অনুযায়ী শুরু হবে ‘কুলিং অফ’ অধ্যায়। সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই আইসিসিকে বেছে নিতে হবে নতুন চেয়ারম্যান।
যদি গ্রেগ বার্কলেই নতুন দায়িত্ব পান তাহলে জয় শাহর জন্য তাকে পদত্যাগ করতে হবে মেয়াদের মাঝপথে। অন্য কেউ দায়িত্ব পেলেও একই ব্যাপার। তাই দুই বছর মেয়াদে তিনবার চেয়ারম্যান থাকার নিয়মটাই বদলে যেতে পারে এই সভায়। এর পরিবর্তে তিন বছর মেয়াদে একজনকে দুবার বেছে নেওয়া হতে পারে প্রেসিডেন্ট পদে। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছয় বছরের মেয়াদটা ঠিকই থাকবে।
যদি তাই হয় তাহলে আরও এক বছর দায়িত্ব পেতে পারেন গ্রেগ বার্কলে। আর ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে আইসিসির চেয়ারম্যান হয়ে যাবেন জয় শাহ। এরপর তিন বছর মেয়াদ পূর্ণ করে ২০২৮ সালে হবেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। তাকে সুযোগ করে দিতে আইসিসি নিয়ম বদলায় কিনা সেটাই দেখার।
আইসিসির সভায় আলোচনা হবে বিশ্বকাপে ২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি নিয়েও (আনুমানিক,পুরো অঙ্ক জানায়নি আইসিসি)। যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট প্রসার করতে গিয়ে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার পথও বের হতে পারে এই সভায়।
ভারত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে কিনা, এটা আলোচনার বিষয়বস্তুতে নেই। তবে বিষয়টি দুই বোর্ডই আলোচনায় তুলবে বলে জানিয়েছে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম। সরকারের অনুমতি ছাড়া পাকিস্তানে আসার উপায় নেই ভারতের, তাই এশিয়া কাপের মতো তারাও হাইব্রিড মডেলে শ্রীলঙ্কা বা আরব আমিরাতে খেলতে চায় নিজেদের ম্যাচগুলো।
তবে পাকিস্তান ২০২৫ সালের ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের খসড়া সূচিতে ভারতের সব ম্যাচ রেখেছে লাহোরে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে এসে ভারতের খেলা বা না খেলা নিয়ে উত্তেজনাই ছড়াতে পারে আইসিসির সভায়। টেবিলে হতে পারে দরকষাকষিও।