বগুড়ায় কারাগার থেকে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদির প্রত্যেকের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার সকাল ১১টার দিকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুমিন হাসান তাদের বিরুদ্ধে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক) সুজন মিয়া বলেন, কয়েদিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গত ২৫ জুন রাতে বগুড়া কারাগারের জাফলং নামক কনডেমড সেলের ছাদ ফুটো করে পালিয়ে যান মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদি। তারা হলেন– বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানার আজিজুল হকের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম মঞ্জুর (৬০), বগুড়া সদর থানার মো. ইসমাইল শেখের ছেলে মো. ফরিদ শেখ (২৮) ও নরসিংদীর মাধবদী থানার ইসরাফিল খাঁর ছেলে আমির হামজা (৩৮)।
অবশ্য পালিয়ে যাওয়ার পর আধাঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে বগুড়া শহরের চেলোপাড়া এলাকার চাষীবাজার থেকে চার কয়েদিকেই গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। পরে চার কয়েদির বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন বগুড়া কারাগারের জেলার ফরিদুর রহমান রুবেল।
কারাগারের ছাদ ফুটো করে চার কয়েদির পালানোর ঘটনা তদন্তে পরদিন গত বুধবার দুটি কমিটি গঠন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে জেলা প্রশাসন ও ডিআইজি প্রিজনের গঠিত কমিটি দুটি ঘটনার তদন্ত করছে, যা এখনও চলছে।
এই তদন্ত কার্যক্রম চলার মধ্যেই দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে গত সোমবার বগুড়া কারাগারের জেলার ফরিদুর রহমান রুবেলকে স্ট্যান্ড রিলিজ দিয়ে রাজশাহী ডিআইজি প্রিজন কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে একই অভিযোগে বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষী আব্দুল মতিনসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।