দুটি আলাদা হত্যা মামলায় সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াক ও মনিরুল ইসলামের আলাদা দুটি আদালত এই আদেশ দেন।
এদিন গুলিতে শামীম হাওলাদার নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানকে হত্যার অভিযোগে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে জাকির হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক রাজু আহম্মেদ তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে যুবদল নেতা শামীম হত্যার অভিযোগে পল্টন মডেল থানায় করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মোস্তফা কামাল উদ্দিনকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক তন্ময় কুমার বিশ্বাস তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন।
আসামীদের পক্ষে আইনজীবীরা তাদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুজনেরই জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একইদিন দিন চট্টগ্রাম থেকে মোস্তফা কামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২৫ অক্টোবর ঢাকার আদালত তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জাকির হোসেনের মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মোহাম্মদপুর থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন শামীম হাওলাদার। ওই সময়ে তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শামীমের ফুফাতো ভাই জাকির হোসেন মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
জাকির হোসেন ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে তিনি দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে জাকির হোসেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন।
অন্যদিকে মোস্তফা কামালের মামলায় বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এসময় যু্বদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।