টেস্টে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে সেটা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল শ্রীলঙ্কা। সিলেট-চট্টগ্রামের উইকেটে তারা অবলীলায় ৪০০-৫০০ করেছে। একই উইকেটে ২০০ করতে ঘাম ঝড়েছে বাংলাদেশের।
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের দুর্বল কাঠামোই এর অন্যতম কারণ। বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট বলতে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) আর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)।
এনসিএলে আবার স্তর দুটি। প্রথম স্তরের চার দল নিচের স্তরের চার দলের সঙ্গে খেলেনা! বিসিএলটা এক সময় ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক। স্পন্সররা চলে যাওয়া এটা এখন দায়সারা ভাবে আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
তারপরও টেস্টের জন্য তৈরি হতে এই দুটো টুর্নামেন্টই ভরসা। টেস্ট দলের সব ক্রিকেটারের সেখানে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকা উচিত। কিন্তু আন্তর্জাতিক ব্যস্ততার জন্য সেটাও বাধ্যতামূলক করতে পারছে না বিসিবি।
মিরপুরে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষে এ নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানালেন, ‘‘(খেলাটা) বাধ্যতামূলক করা যায় না, অনেক সময় সমস্যা থাকে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম অনেক, কিন্তু এটা হয় না।’’
সেই সমস্যাগুলোর একটা উল্লেখ করলেন জালাল ইউনুস, ‘‘আমরা চাই বেশিরভাগ প্লেয়াররা যেন এনসিএল ও বিসিএল খেলে। খেললে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। আগে কিছু প্লেয়ার ইগ্নোর করত। আর এখন তাদের সময় হচ্ছে না। ন্যাশনাল খেলার শিডিউল সো টাইট। এজন্য তারা সুযোগ পাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে এনসিএলে খেলার সময় সিরিজ চলছে।’’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে ভরাডুবির কারণ কি? এ নিয়ে ঈদের পরে সবার সঙ্গে বসার কথা জানালেন তিনি, ‘‘আমাদের যে রিসোর্স আছে তাদের নিয়েই তো খেলতে হবে। আপনি এর বাইরে কীভাবে যাবেন। আমরা কিন্তু চেষ্টা করি মানসম্পন্ন প্লেয়ার খেলানোর, আমরা নজর দিচ্ছি সেদিকে। ঈদের পর নির্বাচক, কিছু প্লেয়ার, ক্রিকেট অপারেশন্স আমরা সবাই বসব। সেখানে (এই সিরিজ নিয়ে) রিভিউ করব।’’
টেস্ট সিরিজে অভিজ্ঞ ব্যাটাররা রান পাননি। এ নিয়ে আক্ষেপও ঝড়েছে জালালের কণ্ঠে, ‘‘বড় কথা হচ্ছে, যদি ওরা (শ্রীলঙ্কা) ৫০০ রান করতে পারে আমরা ৪৫০ করতে পারলাম না কেন? টেস্টে যারা নতুন ক্রিকেটার খেলছে, ওদের একটু সময় দিতে হবে। কিন্তু অভিজ্ঞ যারা ছিল, যারা রান করে নাই, আশা করেছিলাম…। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের থেকে দুইটা জুটি হলে আমাদের হয়ে যেত। কিন্তু আমরা তাদের কাছ থেকে পাই নাই, এটা আমাদের বড় একটা আক্ষেপ। বোলিং মোটামুটি ভালো হয়েছে।’’