Beta
রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

নির্বাচনে ভরাডুবির পর পাকিস্তানের জামায়াত আমিরের পদত্যাগ

পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর আমির সিরাজুল হক সোমবার পদত্যাগ করেন।
পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর আমির সিরাজুল হক সোমবার পদত্যাগ করেন।
[publishpress_authors_box]

পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দিলেও একটিতেও এবার জেতেনি জামায়াতে ইসলামী। সেই ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন দলটির আমির সিরাজুল হক।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৪৩টিতে প্রার্থী দিয়েছিল জামায়াত। তবে আমির সিরাজুল হকসহ সবাইকে হারতে হয়েছে।

জাতীয় পরিষদ ছাড়াও ওই দিন পাকিস্তানের চারটি প্রদেশে ভোট হয়। প্রদেশগুলো হচ্ছে বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখাওয়া, পাঞ্জাব ও সিন্ধ।

এই চার প্রদেশে তারা ৫৩১ জন প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল। এদের মধ্যে কেবল ছয়জন বিজয়ী হয়েছেন- খাইবার পাখতুনখাওয়ায় তিনজন, সিন্ধে দুজন ও বেলুচিস্তানে একজন।

ভোটে দলের করুণ হালের জেরে সোমবার পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন জামায়াত আমির সিরাজুল হক। এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি লিখেছেন, “নির্বাচনে পরাজয়ের দায় নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব থেকে আমি পদত্যাগ করছি।”

পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরাজুল হক দ্বিতীয় মেয়াদে দলের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ৩১ মার্চ তার দলীয় প্রধানের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার মধ্য দিয়ে সিরাজুল হকের এক দশক দীর্ঘ নেতৃত্বের অবসান ঘটল।

পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, “আমার সর্বোচ্চ ও অক্লান্ত চেষ্টা সত্ত্বেও দল কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। দলের হয়ে কর্মীরা অনেক খেটেছেন। আল্লাহ যেন তাদের চেষ্টাকে পুরষ্কৃত করেন।”

খাইবার পাখতুনখাওয়ার সাবেক প্রাদেশিক মন্ত্রী সিরাজুল হক ২০১৪ সালে জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে তিনি পুনর্নির্বাচিত হন।

সিরাজুল হকের পদত্যাগপত্র গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান দুটোই করতে পারে জামায়াত। দলের ১০০ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ বা শূরার বৈঠকে বসবে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি।

সেখানেই আমিরের পদত্যাগপত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতের তথ্য সম্পাদক কাইসার শরিফ মোহাম্মদ হক।

কানাঘুষো চলছে, সিরাজুল হকের উত্তরসূরি হতে পারেন ঝানু রাজনীতিক লিয়াকত বেলুচ। 

কেবল জামায়াতই নয়, পাকিস্তানের আরও একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নির্বাচনে ভরাডুবির পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি হলেন ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টির (আইপিপি) প্রধান জাহাঙ্গীর তারিন।

অবশ্য কেবল দলীয় প্রধানের পদই ছাড়ছেন না, রাজনীতি থেকে চিরবিদায়েরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইপিপির এই প্রতিষ্ঠাতা।     

এদিকে ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্লামেন্টারিয়ানসের (পিটিআই-পি) প্রধান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একসময়ের সহযোগী পারভেজ খট্টক দেশটির সাম্প্রতিক নির্বাচনে দলের ভরাডুবি দেখে রাজনীতি থেকে কিছুদিনের জন্য দূরে থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত