Beta
শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় ফিরল জামায়াত

national-consensus-commission-meeting-170625
[publishpress_authors_box]

বিএনপির প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষপাতের অভিযোগ তোলার পর মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল জামায়াতে ইসলামী। তবে বুধবার বৈঠকে যোগ দিয়েছে দলটি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকে বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বসেন আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্যরা।

দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় অনুপস্থিত জামায়াত নেতারা তৃতীয় দিনের বৈঠকে অংশ নেন দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে। তার সঙ্গে ছিলেন রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আযাদ।

এদিন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জেলা সমন্বয় কাউন্সিল নিয়ে আলোচনা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বিএনপি, সিপিবি, জাতীয় গণফ্রন্ট, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা বৈঠকে অংশ নেন।

আগের দিন কমিশনের বৈঠকে জামায়াতের অনুপস্থিতি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা তুলেছিল।

তার আগে জামায়াত গত ৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।

বিএনপির এক সময়ের মিত্র দল জামায়াতের নেতারা অভিযোগ তুলেছিলেন, ওই বিবৃতির মধ্য দিয়ে বিএনপির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষপাত প্রকাশ পেয়েছে।

তার প্রতিবাদেই জামায়াত মঙ্গলবারের বৈঠক বয়কট করেন বলে হামিদুর রহমান আযাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, কেননা ড. ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনেরও চেয়ারম্যান।

মঙ্গলবারের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বৈঠকে জামাাতকে ফেরাতে তারা যোগাযোগ করছেন।

“আমরা আশা করি আজ উপস্থিত না থাকতে পারলেও আগামীকাল তারা বা তাদের প্রতিনিধিরা এখানে উপস্থিত থাকবেন।”

বুধবারের বৈঠকে জামায়াত ফিরলেও সে বিষয়ে দলটির কোনও নেতার বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

এদিকে বৈঠকের আলোচনার অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে আলী রীয়াজ বলছেন, জুলাই মাসের মধ্যে একটি জাতীয় সনদ তুলে ধরার বিষয়ে আশাবাদী তারা।

“আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক। আমাদের প্রতিনিয়তই অগ্রগতি হচ্ছে এবং আমরা আশা করছি যে জুলাই মাসের মধ্যে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সনদে পৌঁছাতে পারব এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থে সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আমরা ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারব।”

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিনের প্রতিবেদন জমা পড়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে। এসব প্রতিবেদনের সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

এরপর ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ৪৫টি অধিবেশনের মাধ্যমে প্রথম পর্বের সংলাপ সম্পন্ন করে ঐকমত্য কমিশন।

কোরবানির ঈদের আগে প্রথম ধাপের আলোচনা শেষে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার জন্য ২ জুন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসেছিল ঐকমত্য কমিশন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত