জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের বিষয় নিয়ে এখনই প্রতিক্রিয়া জানাতে চাইছে না দলটির দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপি।
দলীয় ফোরামে আলোচনার পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারির পরে দলীয় প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি একথা জানান।
বিএনপি মহাসচিব সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “দেখুন, এই মুহূর্তে আমি কোনও কমেন্ট করতে পারছি না। দলীয় ফোরামে আগে আলচনা করব। তারপর কমেন্ট করব। আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাব।”
গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, “চলমান পরিস্থিতিকে ডায়ভার্ট করার জন্য সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধের বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। আন্দোলন থেকে জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য এটি সরকারের আরেকটি প্রোজেক্ট।”
বিএনপি সর্বশেষ যে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে তাতে সম্মতি জানিয়েছে জামায়াত।
গত শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সেই ঐক্যেই সম্পৃক্ত হওয়ার সম্মতি জানিয়ে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী জানায়, বিএনপির ডাকা জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে তাদের সম্মতি রয়েছে।
দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুজিবুল আলমের সই করা বিবৃতিতে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম বলেন, “বিএনপির মহাসচিব সরকার পতনের দাবিতে সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য যে ‘জাতীয় ঐক্যের’ আহ্বান জানিয়েছেন তাকে সাধুবাধ জানাই এবং জাতীয় ঐক্যে সম্পৃক্ত হওয়ার সম্মতি জানাচ্ছি।”
বৃহস্পতিবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা থেকে ‘সন্ত্রাসী’ দল হিসাবে জামায়াতকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এই দলটির সহযোগী সংগঠনকেও।
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারানোর পর জামায়াত নির্বাচন করতে না পারলেও রাজনৈতিক দল হিসাবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারছিল। এখন সেই পথও বন্ধ হয়ে গেল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন রায় এবং নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের উল্লেখও করা হয়।