বৃষ্টিতে এক সেশনই খেলা হল জ্যামাইকায়। ৩০ ওভারে বাংলাদেশ প্রথম দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৬৯ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩টা ক্যাচ না ছাড়লে দিনটা ভয়াবহ হতে পারত মেহেদী হাসান মিরাজদের জন্য।
এই তিন ক্যাচের দুটিই আবার ওপেনার সাদমান ইসলামের। ৩৫ রানে থাকার সময় সাদমানের ক্যাচ হাত ফস্কে বুকে লাগে ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের। এর আগে ১৫ রানে স্লিপে আলিক আথানেজের হাতে জীবন পান তিনি।
দুবার জীবন পেয়ে সাদমান করেছেন ফিফটি। জাকির হোসেনের জায়গায় সুযোগ পাওয়া সাদমান দিন শেষ করেছেন ১০০ বলে তিন বাউন্ডারি ১ ছক্কায় ৫০ রানে। শাহাদাত হোসেন অপরাজিত ৬৩ বলে ১২ রানে।
সাবধানী শাহাদাত ফুলটস বলেও বড় শট খেলেননি, ফেরত পাঠিয়েছেন বোলারের কাছে। জেডেন সিলসের বলে ড্রাইভ করে অবশ্য দ্বিতীয় স্লিপে একবার জীবন পান তিনি।
মাহমুদুল হাসান জয় ৩ আর মুমিনুল হক আউট হয়েছেন কোনো রান না করে। দুটি উইকেটই কেমার রোচের। অ্যান্টিগা টেস্টে দুই ইনিংসে স্লিপে ক্যাচ দেওয়া জয় এবার রোচের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটকিপার জশুয়া দা সিলভাকে। মুমিনুলও ক্যাচ দেন তাকে।
সোবার্সকে ছাড়িয়ে ব্রাথওয়েট
সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারই বলা হয় স্যার গ্যারি সোবার্সকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তিনি টানা রেকর্ড ৮৫ টেস্ট খেলেছিলেন ১৯৫৫ থেকে ১৯৭২ সালে। মধ্যে। টেস্টে ২৩৫ উইকেটের পাশাপাশি ৫৭.৭৮ গড়ে করেছেন ৮০৩২ রান।
জ্যামাইকায় সেই সোবার্সকে টানা টেস্ট খেলার হিসেবে পেছনে ফেললেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। তিনি খেললেন টানা ৮৬ টেস্ট। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টানা ৭২ টেস্ট খেলেছেন ডেসমন্ড হেইন্স আর ৬৪টি ব্রায়ান লারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩০ ওভারে ৬৯/২ (জয় ৩, সাদমান ৫০*, মুমিনুল ০, শাহাদাত ১২*; রোচ ২/২০, জোসেফ ০/১০)